দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সংস্কার কমিশনের ২৯ নম্বর সুপারিশ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যকে ‘বিভ্রান্তিকর, স্ববিরোধী ও হতাশাজনক’ বলে অভিহিত করেছে কমিশন।
সোমবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে কমিশন জানায়, দুদকের তদন্ত কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রিতা, প্রশাসনিক জটিলতা এবং অকার্যকরতা দূর করতেই এই সুপারিশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, আদালতের অনুমতি ছাড়া এনবিআরের কাছ থেকে দুদক যেন প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারে—এটাই সুপারিশটির মূল উদ্দেশ্য।
কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “বিএনপি বলেছে—আদালতের অনুমতি নেওয়ার বিধান অব্যাহত রাখা উচিত। কিন্তু এ ধরনের বিধান বাস্তবে দুদকের কার্যক্রমে বিলম্ব ও জটিলতা তৈরি করে, যা দুর্নীতিবিরোধী তদন্তকে বাধাগ্রস্ত করে।”
তিনি বলেন, “যে তথ্য এনবিআরের কাছে রয়েছে, তা পেতে দুদককে আদালতের আদেশ নিতে হবে—এটা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়।”
এনবিআরের নীতিমালা অনুযায়ী, করদাতার রিটার্ন, হিসাব বিবরণী বা দলিল আদালতের আদেশ ছাড়া প্রকাশ করা যায় না। তবে সংস্কার কমিশন মনে করে, এসব বিধিনিষেধ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর তদন্তের পথে অন্তরায়।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আদালতের অনুমতি ছাড়া এনবিআরের গোপনীয় তথ্য দুদকের কাছে দেওয়া যাবে না—এ বিধান রাখার পক্ষে আমরা।” একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, কমিশনের বেশিরভাগ প্রস্তাবের সঙ্গে দলটি একমত।
এই প্রেক্ষাপটে কমিশন বিএনপিকে অন্য প্রস্তাবগুলোতে একমত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানালেও, ২৯ নম্বর সুপারিশে দলের বিরোধিতা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “এই সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে দুর্নীতিবিরোধী তদন্তের গতি, কার্যকারিতা ও নিরপেক্ষতা বাড়বে, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।”
---
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সংস্কার কমিশনের ২৯ নম্বর সুপারিশ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যকে ‘বিভ্রান্তিকর, স্ববিরোধী ও হতাশাজনক’ বলে অভিহিত করেছে কমিশন।
সোমবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে কমিশন জানায়, দুদকের তদন্ত কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রিতা, প্রশাসনিক জটিলতা এবং অকার্যকরতা দূর করতেই এই সুপারিশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, আদালতের অনুমতি ছাড়া এনবিআরের কাছ থেকে দুদক যেন প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারে—এটাই সুপারিশটির মূল উদ্দেশ্য।
কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “বিএনপি বলেছে—আদালতের অনুমতি নেওয়ার বিধান অব্যাহত রাখা উচিত। কিন্তু এ ধরনের বিধান বাস্তবে দুদকের কার্যক্রমে বিলম্ব ও জটিলতা তৈরি করে, যা দুর্নীতিবিরোধী তদন্তকে বাধাগ্রস্ত করে।”
তিনি বলেন, “যে তথ্য এনবিআরের কাছে রয়েছে, তা পেতে দুদককে আদালতের আদেশ নিতে হবে—এটা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়।”
এনবিআরের নীতিমালা অনুযায়ী, করদাতার রিটার্ন, হিসাব বিবরণী বা দলিল আদালতের আদেশ ছাড়া প্রকাশ করা যায় না। তবে সংস্কার কমিশন মনে করে, এসব বিধিনিষেধ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর তদন্তের পথে অন্তরায়।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আদালতের অনুমতি ছাড়া এনবিআরের গোপনীয় তথ্য দুদকের কাছে দেওয়া যাবে না—এ বিধান রাখার পক্ষে আমরা।” একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, কমিশনের বেশিরভাগ প্রস্তাবের সঙ্গে দলটি একমত।
এই প্রেক্ষাপটে কমিশন বিএনপিকে অন্য প্রস্তাবগুলোতে একমত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানালেও, ২৯ নম্বর সুপারিশে দলের বিরোধিতা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “এই সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে দুর্নীতিবিরোধী তদন্তের গতি, কার্যকারিতা ও নিরপেক্ষতা বাড়বে, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।”
---