মুজিবুল হক চুন্নুকে বাদ দিয়ে দলের তরুণ নেতা শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদে নিয়োগ দিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সময় সংসদের বিরোধী দল ছিল জাতীয় পার্টি। হাসিনা সরকার পতনের পর দলটির বিরোধ আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
গত ২৮ জুন দলের সম্মেলন আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল জাতীয় পার্টির দলীয় বৈঠকে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দলটির সম্মেলন স্থগিত করেন চেয়ারম্যান।
মসিউর রহমান রাঙ্গাকে বহিষ্কার করে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মুজিবুল হক চুন্নুকে মহাসচিব করেছিলেন জিএম কাদের।
জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০ (ক) ধারায় দলের কোনো ধরনের কারণ দর্শনোর নোটিশ ছাড়াই যে কাউকে পদ বা দল থেকে অব্যাহতি বা বহিষ্কার করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে চেয়ারম্যানকে, যা নিয়ে জ্যেষ্ঠ ও পুরনো নেতাদের একাংশের ক্ষোভ আছে। তাদের ভাষায় গঠনতন্ত্রের ওই ধারা পার্টির চেয়ারম্যানকে ‘স্বৈরাচারী’ করে তুলেছে।
জাপার দূর্গ রংপুরে প্রতিক্রিয়া
রংপুর থেকে লিয়াকত আলী বাদল জানান, জাতীয় পার্টির মহাসচিবসহ তিন শীর্ষ নেতাকে অব্যাহতি দেবার ঘটনায় দলের দূর্গ বলে পরিচিত রংপুরে নেতা কর্মীরা দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলকে নির্বাচন করাতে বাধ্য করার মূল কারিগর ওই তিন নেতা।
সেই সঙ্গে অব্যাহতি পাওয়া দলের মহাসচিব মুজিবল হক চুন্নু কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদারকে অব্যাহতি দেবার সিদ্ধান্ত দলের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত। তাদের অব্যাহদি দেয়ায় জাতীয় পার্টি আগামীতে আরও শক্তিশালী হবে। সেই সঙ্গে রংপুরসহ পুরো বিভাগে একজন নেতাকর্মীও তাদের সঙ্গে নেই। সবাই জিএম কাদেরের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আছে বলে দাবী শীর্ষ নেতাদের।
সোমবার,(০৭ জুলাই ২০২৫) জাতীয় পার্টি থেকে দেয়া এক নির্দ্দেশনায় মহাসচিব মুজিবল হক চুন্নু কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদারকে অব্যাহতি দেবার সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় জাপার দূর্গ বলে পরিচিত রংপুরসহ বিভাগের ৮ জেলার শীর্ষ নেতাসহ তৃণমূল নেতাকর্মীরা উল্লাস প্রকাশ করেছে।
এ ব্যাপারে রংপুর মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির সোমবার সন্ধ্যায় এ প্রতিনিধিকে বলেন অব্যাহতি পাওয়া তিন নেতা দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জাপাকে ফ্যাসিবাদের দোসর বানানোর মূল কারিগর। তারা ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার সঙ্গে আঁতাত করে দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত এরশাদকে অংশ নিতে বাধ্য করেছিল। তারা রওশন এরশাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারা এরশাদকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করেছিল। ২০১৮ সালে একই কায়দায় এরশাদকে সিএমএইচে জোর করে ভর্তি করিয়ে, রওশন এরশাদকে দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের বাধ্য করানো হয়েছিল। এরশাদ কোনো অবস্থাতেই
শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন অংশ না নেবার ঘোষণা দিয়েছিল সেটা দেশবাসীর নিশ্চয় মনে আছে। রওশন এরশাদ আর ওই নেতা হচ্ছে অবৈধ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে এরশাদকে বাধ্য করার মূল হোতা।
এস এম ইয়াসির আরও বলেন, ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে জিএম কাদের অংশ নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে দলের কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে চিঠি দিয়ে পাঠিয়েছিলেন। তিনি নিজেও সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিতে পার্টি অফিসে এসেছিলেন, কিন্তু ওই তিনি নেতা তাকে বিভিন্নভাবে সংবাদ সম্মেলন বিলম্ব করতে প্ররোচিত করছিলেন। শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার নির্দেশে ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তারা আর কয়েকশ’ পুলিশ জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয় ঘিরে রেখে জিএম কাদেরকে সংবাদ সম্মেলন না করাতে বাধ্য করান।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অধীনে ২০১৪ থেকে ’২৪ সাল পর্যন্ত ৩টি নির্বাচনেই অংশ না নেবার সিদ্ধান্ত নিলেও আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমিন হাওলাদার ও মুজিবুল হক চুন্নু শেখ হাসিনার সঙ্গে আঁতাত করে নিজেরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার নিশ্চয়তা নিয়ে জাতদীয় পার্টিকে নির্বাচন করাতে বাধ্য করিয়েছে। দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সময়োযোগী এর মাধ্যমে ফেরাউনের হাত থেকে রক্ষা পেল দলটি।
অন্যদিকে দলের অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আজমল হক লেবু জানান গত ২৫ জুন ঢাকায় দলের উদ্যেগে বিশেষ সভায় দেশের ৬৪টি জেলা ও মহানগর কমিটির নেতারা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়ে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারী ৩ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দলের চেয়ারম্যানের ওপর সর্বময় ক্ষমতা প্রদান করেছিলেন। একইভাবে দুদিন পর দলের প্রেসিডিয়াম সভাতেও সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছিল ওই তিন নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার ফলে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের তিন নেতাকে অব্যাহতি দেয়া দলের জন্য মঙ্গল হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
সেই সঙ্গে জাতীয় পার্টির দূর্গ রংপুরে তিন নেতার অব্যাহতি সামান্যতম প্রভাব পড়বে না বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে জাপার শীর্ষ নেতা দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের অত্যন্ত ঘনিষ্ট বলে পরিচিত জাপার কো-চেয়ারম্যান সাবেক রংপুর সিটি মেয়র মহানগর জাপার সভাপতি দলের প্রভাবশালী নেতা মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সঙ্গে সোমবার সন্ধ্যার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিনিধিকে জানান অব্যাহতি পাওয়া তিন নেতা দলের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করার চক্রান্ত করছিল। তারা চক্রান্তকারী এদের মতো নেতার জন্যই জাতীয় পার্টি ফ্যাসিষ্ট হাসিনার তিনটি অবৈধ নির্বাচন করাতে বাধ্য করা হয়েছিলো। তিনি বলেন, এটা দলের ৬৪ জেলার নেতা ও প্রেসিডিয়াম সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত বলেই তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন ওই তিন চক্রান্তকারী নেতাকে অব্যাহতি দেয়ায় জাতীয় পার্টির দূর্গ রংপুরসহ পুরো বিভাগে ন্যূনতম প্রভাব পড়বে না। বরং দল চক্রান্তকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেল বলেই তিনি মনে করেন।
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
মুজিবুল হক চুন্নুকে বাদ দিয়ে দলের তরুণ নেতা শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদে নিয়োগ দিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সময় সংসদের বিরোধী দল ছিল জাতীয় পার্টি। হাসিনা সরকার পতনের পর দলটির বিরোধ আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
গত ২৮ জুন দলের সম্মেলন আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল জাতীয় পার্টির দলীয় বৈঠকে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দলটির সম্মেলন স্থগিত করেন চেয়ারম্যান।
মসিউর রহমান রাঙ্গাকে বহিষ্কার করে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মুজিবুল হক চুন্নুকে মহাসচিব করেছিলেন জিএম কাদের।
জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০ (ক) ধারায় দলের কোনো ধরনের কারণ দর্শনোর নোটিশ ছাড়াই যে কাউকে পদ বা দল থেকে অব্যাহতি বা বহিষ্কার করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে চেয়ারম্যানকে, যা নিয়ে জ্যেষ্ঠ ও পুরনো নেতাদের একাংশের ক্ষোভ আছে। তাদের ভাষায় গঠনতন্ত্রের ওই ধারা পার্টির চেয়ারম্যানকে ‘স্বৈরাচারী’ করে তুলেছে।
জাপার দূর্গ রংপুরে প্রতিক্রিয়া
রংপুর থেকে লিয়াকত আলী বাদল জানান, জাতীয় পার্টির মহাসচিবসহ তিন শীর্ষ নেতাকে অব্যাহতি দেবার ঘটনায় দলের দূর্গ বলে পরিচিত রংপুরে নেতা কর্মীরা দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলকে নির্বাচন করাতে বাধ্য করার মূল কারিগর ওই তিন নেতা।
সেই সঙ্গে অব্যাহতি পাওয়া দলের মহাসচিব মুজিবল হক চুন্নু কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদারকে অব্যাহতি দেবার সিদ্ধান্ত দলের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত। তাদের অব্যাহদি দেয়ায় জাতীয় পার্টি আগামীতে আরও শক্তিশালী হবে। সেই সঙ্গে রংপুরসহ পুরো বিভাগে একজন নেতাকর্মীও তাদের সঙ্গে নেই। সবাই জিএম কাদেরের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আছে বলে দাবী শীর্ষ নেতাদের।
সোমবার,(০৭ জুলাই ২০২৫) জাতীয় পার্টি থেকে দেয়া এক নির্দ্দেশনায় মহাসচিব মুজিবল হক চুন্নু কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদারকে অব্যাহতি দেবার সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় জাপার দূর্গ বলে পরিচিত রংপুরসহ বিভাগের ৮ জেলার শীর্ষ নেতাসহ তৃণমূল নেতাকর্মীরা উল্লাস প্রকাশ করেছে।
এ ব্যাপারে রংপুর মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির সোমবার সন্ধ্যায় এ প্রতিনিধিকে বলেন অব্যাহতি পাওয়া তিন নেতা দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জাপাকে ফ্যাসিবাদের দোসর বানানোর মূল কারিগর। তারা ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার সঙ্গে আঁতাত করে দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত এরশাদকে অংশ নিতে বাধ্য করেছিল। তারা রওশন এরশাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারা এরশাদকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করেছিল। ২০১৮ সালে একই কায়দায় এরশাদকে সিএমএইচে জোর করে ভর্তি করিয়ে, রওশন এরশাদকে দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের বাধ্য করানো হয়েছিল। এরশাদ কোনো অবস্থাতেই
শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন অংশ না নেবার ঘোষণা দিয়েছিল সেটা দেশবাসীর নিশ্চয় মনে আছে। রওশন এরশাদ আর ওই নেতা হচ্ছে অবৈধ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে এরশাদকে বাধ্য করার মূল হোতা।
এস এম ইয়াসির আরও বলেন, ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে জিএম কাদের অংশ নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে দলের কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে চিঠি দিয়ে পাঠিয়েছিলেন। তিনি নিজেও সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিতে পার্টি অফিসে এসেছিলেন, কিন্তু ওই তিনি নেতা তাকে বিভিন্নভাবে সংবাদ সম্মেলন বিলম্ব করতে প্ররোচিত করছিলেন। শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার নির্দেশে ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তারা আর কয়েকশ’ পুলিশ জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয় ঘিরে রেখে জিএম কাদেরকে সংবাদ সম্মেলন না করাতে বাধ্য করান।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অধীনে ২০১৪ থেকে ’২৪ সাল পর্যন্ত ৩টি নির্বাচনেই অংশ না নেবার সিদ্ধান্ত নিলেও আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমিন হাওলাদার ও মুজিবুল হক চুন্নু শেখ হাসিনার সঙ্গে আঁতাত করে নিজেরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার নিশ্চয়তা নিয়ে জাতদীয় পার্টিকে নির্বাচন করাতে বাধ্য করিয়েছে। দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সময়োযোগী এর মাধ্যমে ফেরাউনের হাত থেকে রক্ষা পেল দলটি।
অন্যদিকে দলের অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আজমল হক লেবু জানান গত ২৫ জুন ঢাকায় দলের উদ্যেগে বিশেষ সভায় দেশের ৬৪টি জেলা ও মহানগর কমিটির নেতারা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়ে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারী ৩ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দলের চেয়ারম্যানের ওপর সর্বময় ক্ষমতা প্রদান করেছিলেন। একইভাবে দুদিন পর দলের প্রেসিডিয়াম সভাতেও সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছিল ওই তিন নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার ফলে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের তিন নেতাকে অব্যাহতি দেয়া দলের জন্য মঙ্গল হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
সেই সঙ্গে জাতীয় পার্টির দূর্গ রংপুরে তিন নেতার অব্যাহতি সামান্যতম প্রভাব পড়বে না বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে জাপার শীর্ষ নেতা দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের অত্যন্ত ঘনিষ্ট বলে পরিচিত জাপার কো-চেয়ারম্যান সাবেক রংপুর সিটি মেয়র মহানগর জাপার সভাপতি দলের প্রভাবশালী নেতা মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সঙ্গে সোমবার সন্ধ্যার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিনিধিকে জানান অব্যাহতি পাওয়া তিন নেতা দলের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করার চক্রান্ত করছিল। তারা চক্রান্তকারী এদের মতো নেতার জন্যই জাতীয় পার্টি ফ্যাসিষ্ট হাসিনার তিনটি অবৈধ নির্বাচন করাতে বাধ্য করা হয়েছিলো। তিনি বলেন, এটা দলের ৬৪ জেলার নেতা ও প্রেসিডিয়াম সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত বলেই তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন ওই তিন চক্রান্তকারী নেতাকে অব্যাহতি দেয়ায় জাতীয় পার্টির দূর্গ রংপুরসহ পুরো বিভাগে ন্যূনতম প্রভাব পড়বে না। বরং দল চক্রান্তকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেল বলেই তিনি মনে করেন।