জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারে খাবার পানির সংকট দিন দিন বেড়েই চলেছে। বৃষ্টিপাতের পরিবর্তন, লবণাক্ত পানির প্রবাহ, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন কারণে এ সংকট তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা, যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর।
জেলা শহরসহ ৯ উপজেলার ৭২টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকাতেই দ্রুত নিচে নামছে ভূ-গর্ভস্থ সুপেয় পানির স্তর। জেলার সরকারি প্রায় অর্ধলাখ নলকূপের সোয়া এক হাজার অকেজো হয়ে পড়েছে। পানি উঠছে না আরও প্রায় হাজার খানেক নলকূপে। দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়াসহ উপকূল-সমতলে সংকট একই ধরনের। ভোগান্তি রয়েছে উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয় ক্যাম্পেও। ‘অনাবৃষ্টি’ ও ‘অতি তাপমাত্রার’ ফলে এ ভোগান্তি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, গ্রীষ্ম শুরু হতেই পানির সংকট দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ টিউবওয়েল থেকে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। শহরে পানি কিনে পানের সুযোগ থাকলেও গ্রামে সুপেয় পানির জন্য নলকূপই ভরসা। নলকূপে পানি না পাওয়ায় গ্রামে অনেকেই পানযোগ্য এক কলসি পানি আনতে দূর দুরান্তে যেতে হয়।
সদরের লিংকরোড়ের আব্দুল করিম জানান, মে মাসের দিকে এক মাসেরও অধিক সময় ধরে নলকূপে পানি পাওয়া যায়নি। এতে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এ অবস্থায় কক্সবাজার শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় পানীয় জল হিসেবে বোতলজাত পানির ওপর নির্ভরতা বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব দেখাচ্ছে প্রকৃতি। জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাব থেকে যেন মুক্তি মিলছে না কক্সবাজারবাসীর। জেলার সর্বত্র দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট।
তবে, সংকট নিরসনে ‘ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিস অ্যান্ড লাইভলিহুড ফর ডিসপ্লেসড রোহিঙ্গা পিপল অ্যান্ড হোস্ট কমিউনিটিস ইমপ্রুভমেন্ট’ বা ‘বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং স্থানীয় জনসমাজের সমন্বিত সেবা ও জীবন-জীবিকা উন্নয়ন’ নামের প্রকল্পটি গত মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পটিতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
কক্সবাজার পৌরসভার জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল বিভাগের মতে, কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য অগভীর নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। জেলায় সুপেয় পানির স্তর প্রতিবছর ১০-১২ ফুট হারে নিচে নামছে। ১০ বছর আগেও শহরের আশপাশের এলাকায় ১২০-১৫০ ফুটের মধ্যে ভূ-গর্ভস্থ সুপেয় পানির স্তর পাওয়া গেলেও এখন ৩০০-৪০০ ফুটের বেশি গভীরে যেতে হচ্ছে। গত কয়েক বছরে সাগরতীরের কলাতলী এলাকায় পানির স্তর ১০-১৫ ফুট নিচে নেমেছে। ফলে অকেজো হয়েছে এখানকার কয়েকশ আবাসিক হোটেলের অসংখ্য পানির পাম্প। ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে এমন অবস্থা বলে মনে করছে পরিবেশ সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটির বড় অংশ ঋণ ও অনুদানের অর্থায়নে কক্সবাজার ও নোয়াখালীর ১১ উপজেলায় বাস্তবায়ন হবে। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ২৩২ কোটি ২৮ লাখ টাকা ঋণ দেবে। এছাড়া ৩০৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা অনুদান এবং ১১২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা সরকার (জিওবি) জোগান দেবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এটি বাস্তবায়ন করবেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি টেকনাফ-উখিয়ার স্থানীয় জনসমাজের পানি, স্যানিটেশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিষেবা উন্নয়ন হবে।
প্রকল্পের আওতায় প্রধান প্রধান কার্যক্রম হলো, বিদ্যমান পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ অব্যাহত রাখা, ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা, উখিয়ায় ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষণাগারের উন্নয়ন এবং টেকনাফ পৌরসভায় নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য পাইপ লাইন তৈরি করা। প্রকল্পের কার্যক্রমে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কক্সবাজারের উখিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত পানি সঞ্চালন লাইন, বিতরণ নেটওয়ার্ক এবং গৃহসংযোগ করা হবে। এছাড়া পানি শোধনাগার ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জন্য সেকেন্ডারি লাইন নির্মাণ, বিদ্যমান মিনি পাইপ ওয়াটার স্কিম ও স্যানিটেশন সুবিধা পরিচালন, ভাসানচরে ফিজিক্যাল স্লাজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উন্নয়ন এবং সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুবিধার সংস্কার ও পুনর্বাসন করবে প্রকল্পটি। প্রকল্পটি ২০২৮ সালের জুনে শেষ হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ওই এলাকার মানুষের জীবনমানের কী উন্নয়ন ঘটবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা) এহতেশামুল রাসেল খান সংবাদকে বলেন, ‘এই প্রজেক্টের যে ফোকাল পারসন গোলাম মুক্তাদির তার সঙ্গে কথা বলেন।’
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রজেক্টের ফোকাল পারসন গোলাম মুক্তাদির সংবাদকে বলেন, ‘প্রকল্পটির মূল কাজ মিনি ওয়াটার পাইপ সাপ্লাই সিস্টেম উন্নয়ন করা। আমরা সেখানে কয়েকটি স্থানে ওয়াটার পাইপ সিস্টেম চালু করব। প্রকল্পের আরেকটি প্রধান কাজ হচ্ছে উখিয়ায় যে পানির সঞ্চালন লাইন আছে সেখান থেকে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লাইনটি সম্প্রসারণ করা হবে। এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে। প্রকল্পটি মূলত এডিবির অর্থায়নের কারণে তাদের কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করা হবে।’
এখন পর্যন্ত টেকনাফ পৌরসভায় কোনো নিরাপদ পানির সরবরাহ নেই বলেও জানান গোলাম মুক্তাদির।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টেকনাফে সুপেয় পানির কোনো উৎস পাওয়া যায় নাই। এ কারণে এই এলাকায় সুপেয় পানির সংকট লেগেই থাকে।
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারে খাবার পানির সংকট দিন দিন বেড়েই চলেছে। বৃষ্টিপাতের পরিবর্তন, লবণাক্ত পানির প্রবাহ, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন কারণে এ সংকট তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা, যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর।
জেলা শহরসহ ৯ উপজেলার ৭২টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকাতেই দ্রুত নিচে নামছে ভূ-গর্ভস্থ সুপেয় পানির স্তর। জেলার সরকারি প্রায় অর্ধলাখ নলকূপের সোয়া এক হাজার অকেজো হয়ে পড়েছে। পানি উঠছে না আরও প্রায় হাজার খানেক নলকূপে। দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়াসহ উপকূল-সমতলে সংকট একই ধরনের। ভোগান্তি রয়েছে উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয় ক্যাম্পেও। ‘অনাবৃষ্টি’ ও ‘অতি তাপমাত্রার’ ফলে এ ভোগান্তি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, গ্রীষ্ম শুরু হতেই পানির সংকট দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ টিউবওয়েল থেকে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। শহরে পানি কিনে পানের সুযোগ থাকলেও গ্রামে সুপেয় পানির জন্য নলকূপই ভরসা। নলকূপে পানি না পাওয়ায় গ্রামে অনেকেই পানযোগ্য এক কলসি পানি আনতে দূর দুরান্তে যেতে হয়।
সদরের লিংকরোড়ের আব্দুল করিম জানান, মে মাসের দিকে এক মাসেরও অধিক সময় ধরে নলকূপে পানি পাওয়া যায়নি। এতে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এ অবস্থায় কক্সবাজার শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় পানীয় জল হিসেবে বোতলজাত পানির ওপর নির্ভরতা বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব দেখাচ্ছে প্রকৃতি। জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাব থেকে যেন মুক্তি মিলছে না কক্সবাজারবাসীর। জেলার সর্বত্র দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট।
তবে, সংকট নিরসনে ‘ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিস অ্যান্ড লাইভলিহুড ফর ডিসপ্লেসড রোহিঙ্গা পিপল অ্যান্ড হোস্ট কমিউনিটিস ইমপ্রুভমেন্ট’ বা ‘বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং স্থানীয় জনসমাজের সমন্বিত সেবা ও জীবন-জীবিকা উন্নয়ন’ নামের প্রকল্পটি গত মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পটিতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
কক্সবাজার পৌরসভার জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল বিভাগের মতে, কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য অগভীর নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। জেলায় সুপেয় পানির স্তর প্রতিবছর ১০-১২ ফুট হারে নিচে নামছে। ১০ বছর আগেও শহরের আশপাশের এলাকায় ১২০-১৫০ ফুটের মধ্যে ভূ-গর্ভস্থ সুপেয় পানির স্তর পাওয়া গেলেও এখন ৩০০-৪০০ ফুটের বেশি গভীরে যেতে হচ্ছে। গত কয়েক বছরে সাগরতীরের কলাতলী এলাকায় পানির স্তর ১০-১৫ ফুট নিচে নেমেছে। ফলে অকেজো হয়েছে এখানকার কয়েকশ আবাসিক হোটেলের অসংখ্য পানির পাম্প। ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে এমন অবস্থা বলে মনে করছে পরিবেশ সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটির বড় অংশ ঋণ ও অনুদানের অর্থায়নে কক্সবাজার ও নোয়াখালীর ১১ উপজেলায় বাস্তবায়ন হবে। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ২৩২ কোটি ২৮ লাখ টাকা ঋণ দেবে। এছাড়া ৩০৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা অনুদান এবং ১১২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা সরকার (জিওবি) জোগান দেবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এটি বাস্তবায়ন করবেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি টেকনাফ-উখিয়ার স্থানীয় জনসমাজের পানি, স্যানিটেশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিষেবা উন্নয়ন হবে।
প্রকল্পের আওতায় প্রধান প্রধান কার্যক্রম হলো, বিদ্যমান পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ অব্যাহত রাখা, ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা, উখিয়ায় ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষণাগারের উন্নয়ন এবং টেকনাফ পৌরসভায় নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য পাইপ লাইন তৈরি করা। প্রকল্পের কার্যক্রমে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কক্সবাজারের উখিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত পানি সঞ্চালন লাইন, বিতরণ নেটওয়ার্ক এবং গৃহসংযোগ করা হবে। এছাড়া পানি শোধনাগার ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জন্য সেকেন্ডারি লাইন নির্মাণ, বিদ্যমান মিনি পাইপ ওয়াটার স্কিম ও স্যানিটেশন সুবিধা পরিচালন, ভাসানচরে ফিজিক্যাল স্লাজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উন্নয়ন এবং সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুবিধার সংস্কার ও পুনর্বাসন করবে প্রকল্পটি। প্রকল্পটি ২০২৮ সালের জুনে শেষ হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ওই এলাকার মানুষের জীবনমানের কী উন্নয়ন ঘটবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা) এহতেশামুল রাসেল খান সংবাদকে বলেন, ‘এই প্রজেক্টের যে ফোকাল পারসন গোলাম মুক্তাদির তার সঙ্গে কথা বলেন।’
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রজেক্টের ফোকাল পারসন গোলাম মুক্তাদির সংবাদকে বলেন, ‘প্রকল্পটির মূল কাজ মিনি ওয়াটার পাইপ সাপ্লাই সিস্টেম উন্নয়ন করা। আমরা সেখানে কয়েকটি স্থানে ওয়াটার পাইপ সিস্টেম চালু করব। প্রকল্পের আরেকটি প্রধান কাজ হচ্ছে উখিয়ায় যে পানির সঞ্চালন লাইন আছে সেখান থেকে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লাইনটি সম্প্রসারণ করা হবে। এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে। প্রকল্পটি মূলত এডিবির অর্থায়নের কারণে তাদের কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করা হবে।’
এখন পর্যন্ত টেকনাফ পৌরসভায় কোনো নিরাপদ পানির সরবরাহ নেই বলেও জানান গোলাম মুক্তাদির।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টেকনাফে সুপেয় পানির কোনো উৎস পাওয়া যায় নাই। এ কারণে এই এলাকায় সুপেয় পানির সংকট লেগেই থাকে।