বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর আরোপ করা বাড়তি শুল্ক পুনর্বিবেচনার অনুরোধে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিন মাস পর দেওয়া এই চিঠিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, পূর্বঘোষিত ৩৭ শতাংশ নয়, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক কার্যকর হবে ১ আগস্ট থেকে।
এতে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশ নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কের আওতায় এসেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, একই সময়ে প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করে শুল্ক হ্রাসে সফল হয়েছে, ভারতও চুক্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।
চিঠিতে ট্রাম্প লিখেছেন, “আপনার দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি ও গভীর বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, যা আমাদের অর্থনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এই ঘাটতি কাটাতে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।”
ট্রাম্পের চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, নতুন শুল্ক হার খাতভিত্তিক নয়, বরং সব ধরনের বাংলাদেশি পণ্যের ওপর এককভাবে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
যদি বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে সরাসরি পণ্য উৎপাদনে আগ্রহী হয়, সেক্ষেত্রে কোনো শুল্ক বসবে না এবং দ্রুত অনুমোদনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে (অন্য দেশ হয়ে) পাঠানো পণ্যের ওপরও একই হারে শুল্ক কার্যকর হবে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যদি পাল্টা শুল্ক বাড়ানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র সেই বাড়তি হারে শুল্ক যোগ করে নেবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেন, “এই সিদ্ধান্ত আমাদের দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ভিত্তিতেই নেওয়া হয়েছে। তবে, আপনারা যদি বাজার উন্মুক্ত করেন ও শুল্ক, অশুল্ক বাধা সরিয়ে নেন, তাহলে এই সিদ্ধান্তের কিছু অংশ পুনর্বিবেচনার সুযোগ থাকবে।”
প্রসঙ্গত, ইউনূস এর আগে ট্রাম্পকে লেখা চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক এজেন্ডার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর কথা উল্লেখ করেন। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বাংলাদেশ ৬২৬টি পণ্যে শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা দেয়, যার মধ্যে ১১০টির শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়।
তবে ট্রাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী, এতসব উদ্যোগেও মার্কিন প্রশাসন ‘প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া’ পায়নি। তিনি এই শুল্ককে ‘ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেন।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের গড় শুল্ক ১৫ শতাংশ। নতুন করে ৩৫ শতাংশ আরোপ হলে এটি দাঁড়াবে ৫০ শতাংশে—যা সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একক বাজার।
এই চিঠির সুর যদিও কড়া, তবে তাতে সম্ভাবনার দরজাও খোলা রেখেছেন ট্রাম্প। “আপনারা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের জন্য যদি দরজা খোলেন, তাহলে আমরা পুনর্বিবেচনা করতে পারি।”
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর আরোপ করা বাড়তি শুল্ক পুনর্বিবেচনার অনুরোধে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিন মাস পর দেওয়া এই চিঠিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, পূর্বঘোষিত ৩৭ শতাংশ নয়, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক কার্যকর হবে ১ আগস্ট থেকে।
এতে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশ নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কের আওতায় এসেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, একই সময়ে প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করে শুল্ক হ্রাসে সফল হয়েছে, ভারতও চুক্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।
চিঠিতে ট্রাম্প লিখেছেন, “আপনার দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি ও গভীর বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, যা আমাদের অর্থনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এই ঘাটতি কাটাতে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।”
ট্রাম্পের চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, নতুন শুল্ক হার খাতভিত্তিক নয়, বরং সব ধরনের বাংলাদেশি পণ্যের ওপর এককভাবে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
যদি বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে সরাসরি পণ্য উৎপাদনে আগ্রহী হয়, সেক্ষেত্রে কোনো শুল্ক বসবে না এবং দ্রুত অনুমোদনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে (অন্য দেশ হয়ে) পাঠানো পণ্যের ওপরও একই হারে শুল্ক কার্যকর হবে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যদি পাল্টা শুল্ক বাড়ানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র সেই বাড়তি হারে শুল্ক যোগ করে নেবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেন, “এই সিদ্ধান্ত আমাদের দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ভিত্তিতেই নেওয়া হয়েছে। তবে, আপনারা যদি বাজার উন্মুক্ত করেন ও শুল্ক, অশুল্ক বাধা সরিয়ে নেন, তাহলে এই সিদ্ধান্তের কিছু অংশ পুনর্বিবেচনার সুযোগ থাকবে।”
প্রসঙ্গত, ইউনূস এর আগে ট্রাম্পকে লেখা চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক এজেন্ডার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর কথা উল্লেখ করেন। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বাংলাদেশ ৬২৬টি পণ্যে শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা দেয়, যার মধ্যে ১১০টির শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়।
তবে ট্রাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী, এতসব উদ্যোগেও মার্কিন প্রশাসন ‘প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া’ পায়নি। তিনি এই শুল্ককে ‘ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেন।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের গড় শুল্ক ১৫ শতাংশ। নতুন করে ৩৫ শতাংশ আরোপ হলে এটি দাঁড়াবে ৫০ শতাংশে—যা সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একক বাজার।
এই চিঠির সুর যদিও কড়া, তবে তাতে সম্ভাবনার দরজাও খোলা রেখেছেন ট্রাম্প। “আপনারা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের জন্য যদি দরজা খোলেন, তাহলে আমরা পুনর্বিবেচনা করতে পারি।”