alt

জাতীয়

অন্যের অপকর্মে ‘ফেঁসে গেছেন’, রিমান্ড শুনানিতে জানালেন মালয়েশিয়া ফেরত চারজন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মালয়েশিয়া প্রবাসীরা রিমান্ড শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, অন্যদের অপকর্মের জন্য তারা ফেঁসে গেছেন।

মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম মিনহাজুর রহমান বিমানবন্দর থানার মামলায় চার প্রবাসীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন। শুনানিতে আদালতে দাঁড়িয়ে আসামিরা এসব কথা বলেন।

রিমান্ডে পাঠানো চারজনের মধ্যে তিনজনকে গত শুক্রবার মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো হয়। তারা হলেন নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম ও জাহেদ আহমেদ। আর মাহফুজকে সোমবার কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনিও কিছুদিন আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এন্টি টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক কে. এম. তারিকুল ইসলাম প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। তিনি শুনানিতে বলেন, আসামিরা মালয়েশিয়ায় ছিলেন, সেখানকার পুলিশ তাদের জঙ্গি সন্দেহে ইমিগ্রেশনে হস্তান্তর করে। তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয় এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন কি না, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড প্রয়োজন।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আজিজুল হক দিদার ও পুলিশের এসআই এসএম বখতিয়ার খালেদও রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি দেন। তারা বলেন, প্রকৃত তথ্য বের করা ও রেমিটেন্সের ক্ষতি যেন না হয়, সে জন্য জিজ্ঞাসাবাদ জরুরি।

অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চান। শুনানিতে বিচারক বলেন, মামলার সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন। আসামিরা জড়িত হোক বা না হোক, তদন্ত করতে হবে, কারণ এতে দুই দেশের সম্পর্ক, সরকারের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয় জড়িত।

আদালত আসামিদের বক্তব্যও শোনেন। জাহেদ আহমেদ বলেন, কোম্পানি থেকে ছয়জনকে চোখ বেঁধে থানায় নেয়া হয়। তার ফোন জব্দ করা হয়, রুম তল্লাশি করা হয়, কিন্তু কিছু পাওয়া যায়নি। দুইজনের কারণে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। তিনি আরও বলেন, জঙ্গি হলে তার সাজা হতো, কিন্তু তাকে দুই বছরের জন্য ব্ল্যাকলিস্ট করা হয়েছে।

মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম বলেন, তিনি মাত্র চার মাস ওই কোম্পানিতে কাজ করেছেন। অন্যদের কারণে তিনি ফেঁসে গেছেন। মালয়েশিয়ায় রেইডের সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল। তিনি নিজ খরচে দেশে ফিরেছেন।

মাহফুজ জানান, গত ১৭ জুন কুয়ালালামপুরে গিয়ে কোম্পানির হয়ে তিন দিন কাজ করেন।

শুনানি শেষে বিচারক বলেন, প্রমাণের ভিত্তিতে মামলাটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করতে হবে। বিষয়টি বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। রিমান্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি ভয়ের কিছু নয়, হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে জিজ্ঞাসাবাদ হবে।

গত ৩ জুলাই সোহাগ, রেদোয়ানুল ও জাহেদকে মালয়েশিয়ার পুলিশ দেশে ফেরত পাঠায়। পরদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এলে এন্টি টেররিজম ইউনিট তাদের হেফাজতে নেয়। ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। পরে বিমানবন্দর থানায় মামলা হওয়ার পর এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মামলায় মোট ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করে দীর্ঘদিন ধরে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিলেন। তারা সেদেশের জননিরাপত্তা বিপন্ন করা ও বাংলাদেশি নাগরিকদের প্ররোচিত করার কাজ করছিলেন। সংগঠনের সদস্য হিসেবে তহবিল সংগ্রহ, অর্থ প্রেরণ ও বছরে ৫০০ রিঙ্গিত চাঁদা দিতেন।

এছাড়া গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, তারা দেশে ফিরে উগ্রবাদী কার্যক্রম চালানোর মাধ্যমে দেশের অখণ্ডতা, স্বাধীনতা ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার আশঙ্কা রয়েছে।

মালয়েশিয়ায় ‘সন্ত্রাসবাদে জড়িত’ অভিযোগে ৩৫ প্রবাসীর বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলা

ছবি

ভর মৌসুমেও ইলিশের দেখা মিলছে না

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা থেকে বাসায় ফেরার পথে প্রবাসীকে অপহরণের পর হত্যা 

জিএম কাদেরের সিদ্ধান্ত মানেন না আনিসুল-রুহুল-মুজিবুল

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৩ জন, নতুন আক্রান্ত ৪২৫

খসড়া টেলিযোগাযোগ নীতিমালা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে ৩ কোম্পানির চিঠি

ছবি

টানা বর্ষণে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগ

ট্রাম্পের ৩৫ শতাংশ শুল্ক, সমঝোতার আশা ছাড়েনি বাংলাদেশ

ছবি

বিমান বাহিনী প্রধানের সাথে তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থার সচিব অধ্যাপক হালুক গরগুনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি

নিউমুরিং টার্মিনাল বিদেশি পরিচালনায় দেওয়া অবৈধ কি না—রিটের শুনানি বুধবার

ছবি

ঢাকাসহ ৪ বিভাগে ভারি বর্ষণের আভাস, চট্টগ্রামে ভূমিধসের শঙ্কা

ছবি

৩৫% শুল্ক: ইউনূসকে লেখা ট্রাম্পের চিঠিতে কী আছে

ছবি

ট্রাম্পের ৩৫% শুল্কের খড়্গ: সমঝোতার আশায় বাংলাদেশ

দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কর্মক্ষম: ইউএনএফপিএ

ছবি

উপজেলা পর্যায়ে আদালত স্থাপনে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত

শেখ হাসিনার সাবেক এপিএস লিকুর জমি ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে যুবককে মধ্যযুগীয় নির্যাতন

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কক্সবাজারে সুপেয় পানির সংকট মেটাতে নতুন প্রকল্প

সাগরে লঘুচাপ, বাড়তে পারে বৃষ্টি

১০ জুলাই এসএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামার বিরুদ্ধে মামলা

৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতি জুনে

নির্বাচনে শীর্ষে বিএনপি, পরে জামায়াত ও এনসিপি

ছবি

জুলাই ঘোষণা ও সনদ দিতে ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবে না: নাহিদ

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনালের দায়িত্ব নিলো নৌবাহিনীর ড্রাই ডক

ছবি

ঢাকা শিশু হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর চাপ

বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের বেঞ্চ নয়, আইনজীবীদের বিক্ষোভ

ছবি

চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের আন্দোলন, ছত্রভঙ্গে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড

‘জুলাই গণহত্যা’: শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১০ জুলাই

মুজিবুল হক চুন্নু বহিষ্কার, জাতীয় পার্টির নতুন মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী

নির্বাচন যত দেরি হবে, বাংলাদেশ ততই পেছাবে: সিলেটে মির্জা ফখরুল

যশোরে ‘ওসিসহ নারীকে আটকে চাঁদাবাজির’ অভিযোগ, ভিডিও ফাঁসে তোলপাড়

ব্যাংক খাত নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, জানালেন গভর্নর

দুদক আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা, সরকার বলছে অনুসন্ধান চলবে

ছবি

‘২৯ নম্বর সুপারিশ’ নিয়ে বিএনপির অবস্থান ‘বিভ্রান্তিকর ও স্ববিরোধী’: দুদক সংস্কার কমিশন

ছবি

প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

tab

জাতীয়

অন্যের অপকর্মে ‘ফেঁসে গেছেন’, রিমান্ড শুনানিতে জানালেন মালয়েশিয়া ফেরত চারজন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মালয়েশিয়া প্রবাসীরা রিমান্ড শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, অন্যদের অপকর্মের জন্য তারা ফেঁসে গেছেন।

মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম মিনহাজুর রহমান বিমানবন্দর থানার মামলায় চার প্রবাসীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন। শুনানিতে আদালতে দাঁড়িয়ে আসামিরা এসব কথা বলেন।

রিমান্ডে পাঠানো চারজনের মধ্যে তিনজনকে গত শুক্রবার মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো হয়। তারা হলেন নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম ও জাহেদ আহমেদ। আর মাহফুজকে সোমবার কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনিও কিছুদিন আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এন্টি টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক কে. এম. তারিকুল ইসলাম প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। তিনি শুনানিতে বলেন, আসামিরা মালয়েশিয়ায় ছিলেন, সেখানকার পুলিশ তাদের জঙ্গি সন্দেহে ইমিগ্রেশনে হস্তান্তর করে। তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয় এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন কি না, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড প্রয়োজন।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আজিজুল হক দিদার ও পুলিশের এসআই এসএম বখতিয়ার খালেদও রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি দেন। তারা বলেন, প্রকৃত তথ্য বের করা ও রেমিটেন্সের ক্ষতি যেন না হয়, সে জন্য জিজ্ঞাসাবাদ জরুরি।

অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চান। শুনানিতে বিচারক বলেন, মামলার সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন। আসামিরা জড়িত হোক বা না হোক, তদন্ত করতে হবে, কারণ এতে দুই দেশের সম্পর্ক, সরকারের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয় জড়িত।

আদালত আসামিদের বক্তব্যও শোনেন। জাহেদ আহমেদ বলেন, কোম্পানি থেকে ছয়জনকে চোখ বেঁধে থানায় নেয়া হয়। তার ফোন জব্দ করা হয়, রুম তল্লাশি করা হয়, কিন্তু কিছু পাওয়া যায়নি। দুইজনের কারণে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। তিনি আরও বলেন, জঙ্গি হলে তার সাজা হতো, কিন্তু তাকে দুই বছরের জন্য ব্ল্যাকলিস্ট করা হয়েছে।

মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম বলেন, তিনি মাত্র চার মাস ওই কোম্পানিতে কাজ করেছেন। অন্যদের কারণে তিনি ফেঁসে গেছেন। মালয়েশিয়ায় রেইডের সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল। তিনি নিজ খরচে দেশে ফিরেছেন।

মাহফুজ জানান, গত ১৭ জুন কুয়ালালামপুরে গিয়ে কোম্পানির হয়ে তিন দিন কাজ করেন।

শুনানি শেষে বিচারক বলেন, প্রমাণের ভিত্তিতে মামলাটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করতে হবে। বিষয়টি বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। রিমান্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি ভয়ের কিছু নয়, হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে জিজ্ঞাসাবাদ হবে।

গত ৩ জুলাই সোহাগ, রেদোয়ানুল ও জাহেদকে মালয়েশিয়ার পুলিশ দেশে ফেরত পাঠায়। পরদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এলে এন্টি টেররিজম ইউনিট তাদের হেফাজতে নেয়। ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। পরে বিমানবন্দর থানায় মামলা হওয়ার পর এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মামলায় মোট ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করে দীর্ঘদিন ধরে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিলেন। তারা সেদেশের জননিরাপত্তা বিপন্ন করা ও বাংলাদেশি নাগরিকদের প্ররোচিত করার কাজ করছিলেন। সংগঠনের সদস্য হিসেবে তহবিল সংগ্রহ, অর্থ প্রেরণ ও বছরে ৫০০ রিঙ্গিত চাঁদা দিতেন।

এছাড়া গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, তারা দেশে ফিরে উগ্রবাদী কার্যক্রম চালানোর মাধ্যমে দেশের অখণ্ডতা, স্বাধীনতা ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার আশঙ্কা রয়েছে।

back to top