alt

জাতীয়

ট্রাম্পের ৩৫ শতাংশ শুল্ক, সমঝোতার আশা ছাড়েনি বাংলাদেশ

রেজাউল করিম : মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি নিরসনের বিষয়ে সমাধান না এলে ১ আগস্ট থেকে পণ্য রপ্তানিতে ৩৫ শতাংশ বর্ধিত হারে শুল্ক দিতে হবে, বলেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার,(০৮ জুলাই ২০২৫) তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই ঘোষণা চূড়ান্ত নয়। ওয়ান টু ওয়ান নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে এটা ঠিক হবে। অন্যদিকে, এতদিন সময় পেয়েও শুল্ক কমাতে না পারাকে দুর্বলতা হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। কারণ বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম ইতোমধ্যেই আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক কমিয়ে এনেছে।

ট্রাম্পের চিঠির পরও ইতিবাচক ফলাফল আশা করছে সরকার

বিমান, মিলিটারি ইকুইপমেন্ট ও খাদ্য আমদানি করে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর আশা

এই শুল্কারোপ হলে রপ্তানিতে প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে পড়ার শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

শুল্ক আলোচনায় সরকারের দুর্বলতা দেখছেন অর্থনীতিবিদরা

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করে গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে। গত ৩ এপ্রিল হঠাৎ ট্রাম্প প্রশাসন পাল্টা অর্থাৎ বাড়তি ৩৭ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দেয়। এতে মোট শুল্ক দাঁড়ায় ৫২ শতাংশ। শুল্কারোপের কার্যকরের তারিখ ছিল গত ৯ এপ্রিল। তবে ওই দিনই যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের মতো বাংলাদেশের ওপর আরোপ করা নতুন শুল্ক হারের ঘোষণাও তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখে। স্থগিতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ। তবে এর মধ্যেই মঙ্গলবার এক চিঠিতে ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, আগামী ১ আগস্ট থেকেই বর্ধিত শুল্কারোপ হবে।

এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘ওখানে আমাদের বাণিজ্য উপদেষ্টা আছেন। উনি ৩ দিন আগে গেছেন। আজকেই (মঙ্গলবার) কমার্স টিম যাচ্ছে। ৮ তারিখে মিটিং। ওদের ৮ তারিখ মানে কালকে (আজ) খুব ভোরবেলা। মিটিংয়ের পর আমরা বুঝতে পারবো। ইউএসটিআর’র সঙ্গে যখন আলাপ করবেন উনি (বাণিজ্য উপদেষ্টা) ম্যান্ডেটরি। এর আগের দিন কথা বলেছেন। কালকের পর আপনারা বুঝতে পারবেন।’

আলোচনায় ইতিবাচক ফলাফল আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, যাই হোক, সেটার পরিপ্রেক্ষিতে অন্য পদক্ষেপগুলো নেব। এখন পর্যন্ত আলোচনা মোটামুটি পজিটিভ। ৬ তারিখ বোধহয় একটা মিটিং হয়েছে, সেটাও মোটামুটি পজিটিভ।’

চিঠি তো ইতোমধ্যে ইস্যু হয়ে গেছে এমন প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা প্রেসিডেন্ট দিয়েছেন। এটা ওয়ান টু ওয়ান যখন নেগোসিয়েশনে ঠিক হবে। চিঠি তো বহু আগে দিয়ে দিতো, ৩৫ শতাংশ। এটা আবার ১৪টা দেশের জন্য বলছে একই। কিন্তু ওয়ান টু ওয়ান নেগোসিয়েশন হবে, সেজন্যই তো ইউএসটিআর’র সঙ্গে কথা বলা। এটা (চিঠি) নয়।’

একই আশা ব্যক্ত করেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘সামনে এক মাস হাতে রেখে আজ ডকুমেন্ট হ্যান্ডওভার করা হয়েছে। নেগোসিয়েশনের ডেট দেয়া হয়েছে। যেটা তাদের পক্ষ থেকেই দেয়া হয়েছে। তার মানে নেগোসিয়েশনের দরজা খোলা। আমরা নেগোসিয়েশনে এনগেজ হচ্ছি, কথা বলছি। আমার উপদেষ্টা সেখানে আছেন। আমি আজ সন্ধ্যায় যাচ্ছি। আমরা আশা করি, একটা ইতিবাচক ফলাফল পাব।’

যা বলছেন অর্থনীতিবিদরা?

যুক্তরাষ্ট্রে সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন। তিনি সংবাদকে বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, সরকারের কথাবার্তায় গোছালো প্রস্তুতি ছিল না। যাদের দিয়ে নেগোসিয়েশন করানো হচ্ছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে, তারা কি আসলে সেই যোগ্যতা রাখেন সবাই? নয়তো সময় তো আমরা কম পাইনি। তাহলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। সময় যে এখনও নেই সেটা না। কিন্তু এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার খুব কাছাকাছি চলে এসেছি।’ গত প্রসঙ্গে মঙ্গলবার কথা হয় সেন্টার ফর পলিসি

ডায়ালগ- সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। ভিয়েতনামের উদাহরণ টেনে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক কমানোর ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনাম। দরকষাকষির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্ক চুক্তি করেছে দেশটি। তাহলে আমরা কী করলাম? ভিয়েতনামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি-রপ্তানির বাজার অনেক বিস্তৃত হলেও অন্তত তাদের সমপরিমাণ শুল্কও যদি বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে পারে তাহলেও ‘আমাদের বাণিজ্য স্বার্থ কিছুটা রক্ষা হতে পারে।’

এক্ষেত্রে অবশ্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বা ডব্লিউটিওর সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে সংস্থাটির নীতিমালায় ব্যত্যয় হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ডব্লিউটিও’র নীতি অনুযায়ী ‘ফেভার ওয়ান ফেভার অল’ সুবিধা দিতে হয়। ফলে কোনো দেশকে শুল্ক সুবিধা নিয়ে বাড়তি সুযোগ দেয়া যাবে না যেটি যুক্তরাষ্ট্র হয়তো করছে।’

শুল্ক কমানোর বিপরীতে কোন ধরনের প্রস্তাব দেবে বাংলাদেশ?

পাল্টা শুল্ক কমানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে সরকারি খাতে ফুড ড্রিংক কেনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রাধান্য দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান। সেই সঙ্গে বোয়িং বিমান এবং মিলিটারি ইকুইপমেন্ট কেনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে গুরুত্ব দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেছেন, ‘ট্রেড বাড়ানোর জন্য তারা যদি কিছু শুল্ক ছাড় দেয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবে ট্রেড যেটা ব্যবসায়ীরা করেন ওটা তারা সিদ্ধান্ত দেবেন। কিন্তু সরকারি ট্রেড বাড়ানোর জন্য আমরা যেগুলো ফ্যাসিলিটিজ করব, যেমন আমাদের বিমান বহরের প্রায় সব এয়ারক্রাফট বোয়িং। বিমানের ইনফ্রাস্ট্রাকচার যা আছে সেটাও বোয়িং। কাজেই বোয়িং ফ্লাইট কেনার জন্য আমাদের কিছু আদেশ দেয়ার কথা রয়েছে শিগগির। আমরা সেভাবে নেগোসিয়েশন করেছি বোয়িংয়ের সঙ্গে। এছাড়া তুলা আমদানিকে প্রমোট করব। তুলার ওপর এমনিতেই শূন্য শুল্ক। কিন্তু সেখানে আমেরিকান তুলা আমদানি যাতে বেশি হয় সেজন্য কিছু ফ্যাসিলিটি এখানে তৈরি করবো।’

আরও কীভাবে দরকষাকষি করা যায় এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মোটা দাগে আমাদের যুক্তিগুলো থাকবে প্রথমত. শুল্ক কমানো এবং দ্বিতীয়ত. আমাদের ট্রেড রিলেটেড আরও যে ইস্যুগুলো আছে সেগুলোর কারণে আমরা যাতে অসুবিধাজনক পরিস্থিতিতে না পড়ি। মোদ্দা কথা হলো, বাংলাদেশের জন্য আমাদের প্রধান বিবেচ্য বাণিজ্য স্বার্থ সংরক্ষণ করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের যে এক্সিস্টিং বাণিজ্য আছে সেই বাণিজ্য রক্ষা করা। আমাদের কাছে তারা কিছু চেয়েছে, সেটা হলো শুল্ক কমানো। পর্যায়ক্রমে শুল্ক, ভ্যাট, সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি, রেগুলেটরি ডিউটি এগুলো যেন আমরা কমাই। আমরা সেটা এনবিআরের সঙ্গে কনসালটেশন করার পরে, সরকারের অন্যান্য অংশের সঙ্গে কনসাল্ট করে সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেবো।’

শুল্ক কমাতে না পারলে কোন ধরনের সংকটে পড়বে বাংলাদেশ?

শুল্ক কমাতে না পারলে নানা ধরনের সংকটে পড়বে বাংলাদেশ। বিশেষ করে রপ্তানি বাণিজ্য কমে যেতে পারে। বাণিজ্য সচিব বলেছেন, ‘প্রেশার হবে। সেটা তো সবাই বোঝে। সেটা যাতে না হয় সে জন্য আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি। আশা করছি ভালো কিছুই পাব।’

এতে ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলছেন, ‘মার্কিন শুল্ক বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করবে। ওভারঅল একটা নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট হবে। আর যারা ঠু মাচ ডিপেন্ড অন ইউএস মার্কেট (যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল), তারা অলমোস্ট দেউলিয়া হয়ে যাবে। আগস্টের এক তারিখ পর্যন্ত সময় থাকায় সরকার এখনও আলোচনার কথা বলছে, দেখা যাক কী হয়।’

বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল সংবাদকে বলেন, ‘এই শুল্কহার থাকলে বাংলাদেশের বহু পোশাকশ্রমিকের চাকরি ঝুঁঁকিতে পড়বে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র আমাদের প্রধান রপ্তানি গন্তব্য। বাংলাদেশকে এখনই মার্কিন আমদানিকারকদের সঙ্গে সক্রিয় যোগাযোগ, উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্য আলোচনা ফের শুরু এবং বাংলাদেশি পণ্যের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে।’

চিঠিতে যা বলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

নতুন শুল্কারোপের কথা জানিয়ে ১৪টি দেশের নেতাদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সেসব চিঠি তিনি নিজের ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছেও একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। সেখানে বলা হয়েছে, যেখানে পহেলা আগস্ট থেকে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্কারোপ হবে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘দুঃখজনকভাবে, আমাদের সম্পর্কটি বর্তমানে সমতা থেকে অনেক দূরে। তাই, পহেলা আগস্ট ২০২৫ থেকে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো বাংলাদেশি যে কোনো এবং সব পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্কারোপ করবো। এই শুল্ক এড়াতে যদি ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে পণ্য পাঠানো হয়, সেটিও উচ্চ শুল্কের আওতায় পড়বে। তবে বাংলাদেশ বা আপনার দেশের কোম্পানিগুলো যদি যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য উৎপাদন বা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তাদের কোনো শুল্ক দিতে হবে না।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘এক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশ যদিও শুল্ক হার বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রও পাল্টা হারে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবে। শুল্কের হার বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত দুই দেশের সম্পর্কের ওপর নির্ভর করবে। যদি আপনি এতদিন ধরে বন্ধ থাকা বাণিজ্য বাজার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুলতে চান এবং আপনার শুল্ক ও অশুল্ক নীতিমালা এবং বাণিজ্য বাধাগুলো দূর করতে চান, তাহলে আমরা এই চিঠির কিছু অংশ পুনর্বিবেচনা করতে পারি।’

ছবি

নারীর প্রতি সহিংসতায় আশঙ্কাজনক চিত্র, সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান

ছবি

গত বছর ধর্ষণের ঘটনা ৫১৬টি, এ বছর ছয় মাসেই ৪৮১টি

ডিপজলের বিরুদ্ধে তরুণীর মামলা, মারধর-অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগ

শিবলী রুবাইয়াতের জমিসহ ১০ তলা ভবন জব্দের আদেশ

সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদারসহ ৪ জনের নামে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা

শার্শায় গণধর্ষণ: ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১

টিকটকে পরিচয়, ইমোতে ব্ল্যাকমেইল, গ্রেপ্তার ১

আবারও যমুনা, সচিবালয় ও আশপাশের এলাকায় সমাবেশ নিষিদ্ধ

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মোবারকের আপিল শুনানি বুধবার

ছবি

মায়ের বানানো লোহার খাঁচায় ৩ শিশু, ক্ষুধা নিবারণই লক্ষ্য

ছবি

নার্স সংকটে চমেক হাসপাতালের আইসিইউ, ঝুঁকিতে রোগীরা

ছবি

প্রথমবারের মতো অনুমোদন পেলো ছোট্ট শিশুদের ম্যালেরিয়ার ওষুধ

ছবি

খুলনায় মেলা ঘিরে চাঁদাবাজির অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী দুই নেতাকে শোকজ

ছবি

রাতে ভোট করে সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ সুনাম নষ্ট করেছে: সিইসি

হবিগঞ্জে দুই সাংবাদিকের বিরোধের জেরে সংঘর্ষ: নিহত ১, আহত শতাধিক

মালয়েশিয়ায় ‘সন্ত্রাসবাদে জড়িত’ অভিযোগে ৩৫ প্রবাসীর বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলা

ছবি

ভর মৌসুমেও ইলিশের দেখা মিলছে না

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা থেকে বাসায় ফেরার পথে প্রবাসীকে অপহরণের পর হত্যা 

জিএম কাদেরের সিদ্ধান্ত মানেন না আনিসুল-রুহুল-মুজিবুল

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৩ জন, নতুন আক্রান্ত ৪২৫

খসড়া টেলিযোগাযোগ নীতিমালা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে ৩ কোম্পানির চিঠি

ছবি

টানা বর্ষণে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগ

ছবি

অন্যের অপকর্মে ‘ফেঁসে গেছেন’, রিমান্ড শুনানিতে জানালেন মালয়েশিয়া ফেরত চারজন

ছবি

বিমান বাহিনী প্রধানের সাথে তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থার সচিব অধ্যাপক হালুক গরগুনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি

নিউমুরিং টার্মিনাল বিদেশি পরিচালনায় দেওয়া অবৈধ কি না—রিটের শুনানি বুধবার

ছবি

ঢাকাসহ ৪ বিভাগে ভারি বর্ষণের আভাস, চট্টগ্রামে ভূমিধসের শঙ্কা

ছবি

৩৫% শুল্ক: ইউনূসকে লেখা ট্রাম্পের চিঠিতে কী আছে

ছবি

ট্রাম্পের ৩৫% শুল্কের খড়্গ: সমঝোতার আশায় বাংলাদেশ

দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কর্মক্ষম: ইউএনএফপিএ

ছবি

উপজেলা পর্যায়ে আদালত স্থাপনে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত

শেখ হাসিনার সাবেক এপিএস লিকুর জমি ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে যুবককে মধ্যযুগীয় নির্যাতন

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কক্সবাজারে সুপেয় পানির সংকট মেটাতে নতুন প্রকল্প

সাগরে লঘুচাপ, বাড়তে পারে বৃষ্টি

১০ জুলাই এসএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামার বিরুদ্ধে মামলা

tab

জাতীয়

ট্রাম্পের ৩৫ শতাংশ শুল্ক, সমঝোতার আশা ছাড়েনি বাংলাদেশ

রেজাউল করিম

মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি নিরসনের বিষয়ে সমাধান না এলে ১ আগস্ট থেকে পণ্য রপ্তানিতে ৩৫ শতাংশ বর্ধিত হারে শুল্ক দিতে হবে, বলেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার,(০৮ জুলাই ২০২৫) তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই ঘোষণা চূড়ান্ত নয়। ওয়ান টু ওয়ান নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে এটা ঠিক হবে। অন্যদিকে, এতদিন সময় পেয়েও শুল্ক কমাতে না পারাকে দুর্বলতা হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। কারণ বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম ইতোমধ্যেই আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক কমিয়ে এনেছে।

ট্রাম্পের চিঠির পরও ইতিবাচক ফলাফল আশা করছে সরকার

বিমান, মিলিটারি ইকুইপমেন্ট ও খাদ্য আমদানি করে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর আশা

এই শুল্কারোপ হলে রপ্তানিতে প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে পড়ার শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

শুল্ক আলোচনায় সরকারের দুর্বলতা দেখছেন অর্থনীতিবিদরা

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করে গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে। গত ৩ এপ্রিল হঠাৎ ট্রাম্প প্রশাসন পাল্টা অর্থাৎ বাড়তি ৩৭ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দেয়। এতে মোট শুল্ক দাঁড়ায় ৫২ শতাংশ। শুল্কারোপের কার্যকরের তারিখ ছিল গত ৯ এপ্রিল। তবে ওই দিনই যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের মতো বাংলাদেশের ওপর আরোপ করা নতুন শুল্ক হারের ঘোষণাও তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখে। স্থগিতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ। তবে এর মধ্যেই মঙ্গলবার এক চিঠিতে ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, আগামী ১ আগস্ট থেকেই বর্ধিত শুল্কারোপ হবে।

এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘ওখানে আমাদের বাণিজ্য উপদেষ্টা আছেন। উনি ৩ দিন আগে গেছেন। আজকেই (মঙ্গলবার) কমার্স টিম যাচ্ছে। ৮ তারিখে মিটিং। ওদের ৮ তারিখ মানে কালকে (আজ) খুব ভোরবেলা। মিটিংয়ের পর আমরা বুঝতে পারবো। ইউএসটিআর’র সঙ্গে যখন আলাপ করবেন উনি (বাণিজ্য উপদেষ্টা) ম্যান্ডেটরি। এর আগের দিন কথা বলেছেন। কালকের পর আপনারা বুঝতে পারবেন।’

আলোচনায় ইতিবাচক ফলাফল আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, যাই হোক, সেটার পরিপ্রেক্ষিতে অন্য পদক্ষেপগুলো নেব। এখন পর্যন্ত আলোচনা মোটামুটি পজিটিভ। ৬ তারিখ বোধহয় একটা মিটিং হয়েছে, সেটাও মোটামুটি পজিটিভ।’

চিঠি তো ইতোমধ্যে ইস্যু হয়ে গেছে এমন প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা প্রেসিডেন্ট দিয়েছেন। এটা ওয়ান টু ওয়ান যখন নেগোসিয়েশনে ঠিক হবে। চিঠি তো বহু আগে দিয়ে দিতো, ৩৫ শতাংশ। এটা আবার ১৪টা দেশের জন্য বলছে একই। কিন্তু ওয়ান টু ওয়ান নেগোসিয়েশন হবে, সেজন্যই তো ইউএসটিআর’র সঙ্গে কথা বলা। এটা (চিঠি) নয়।’

একই আশা ব্যক্ত করেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘সামনে এক মাস হাতে রেখে আজ ডকুমেন্ট হ্যান্ডওভার করা হয়েছে। নেগোসিয়েশনের ডেট দেয়া হয়েছে। যেটা তাদের পক্ষ থেকেই দেয়া হয়েছে। তার মানে নেগোসিয়েশনের দরজা খোলা। আমরা নেগোসিয়েশনে এনগেজ হচ্ছি, কথা বলছি। আমার উপদেষ্টা সেখানে আছেন। আমি আজ সন্ধ্যায় যাচ্ছি। আমরা আশা করি, একটা ইতিবাচক ফলাফল পাব।’

যা বলছেন অর্থনীতিবিদরা?

যুক্তরাষ্ট্রে সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন। তিনি সংবাদকে বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, সরকারের কথাবার্তায় গোছালো প্রস্তুতি ছিল না। যাদের দিয়ে নেগোসিয়েশন করানো হচ্ছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে, তারা কি আসলে সেই যোগ্যতা রাখেন সবাই? নয়তো সময় তো আমরা কম পাইনি। তাহলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। সময় যে এখনও নেই সেটা না। কিন্তু এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার খুব কাছাকাছি চলে এসেছি।’ গত প্রসঙ্গে মঙ্গলবার কথা হয় সেন্টার ফর পলিসি

ডায়ালগ- সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। ভিয়েতনামের উদাহরণ টেনে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক কমানোর ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনাম। দরকষাকষির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্ক চুক্তি করেছে দেশটি। তাহলে আমরা কী করলাম? ভিয়েতনামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি-রপ্তানির বাজার অনেক বিস্তৃত হলেও অন্তত তাদের সমপরিমাণ শুল্কও যদি বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে পারে তাহলেও ‘আমাদের বাণিজ্য স্বার্থ কিছুটা রক্ষা হতে পারে।’

এক্ষেত্রে অবশ্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বা ডব্লিউটিওর সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে সংস্থাটির নীতিমালায় ব্যত্যয় হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ডব্লিউটিও’র নীতি অনুযায়ী ‘ফেভার ওয়ান ফেভার অল’ সুবিধা দিতে হয়। ফলে কোনো দেশকে শুল্ক সুবিধা নিয়ে বাড়তি সুযোগ দেয়া যাবে না যেটি যুক্তরাষ্ট্র হয়তো করছে।’

শুল্ক কমানোর বিপরীতে কোন ধরনের প্রস্তাব দেবে বাংলাদেশ?

পাল্টা শুল্ক কমানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে সরকারি খাতে ফুড ড্রিংক কেনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রাধান্য দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান। সেই সঙ্গে বোয়িং বিমান এবং মিলিটারি ইকুইপমেন্ট কেনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে গুরুত্ব দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেছেন, ‘ট্রেড বাড়ানোর জন্য তারা যদি কিছু শুল্ক ছাড় দেয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবে ট্রেড যেটা ব্যবসায়ীরা করেন ওটা তারা সিদ্ধান্ত দেবেন। কিন্তু সরকারি ট্রেড বাড়ানোর জন্য আমরা যেগুলো ফ্যাসিলিটিজ করব, যেমন আমাদের বিমান বহরের প্রায় সব এয়ারক্রাফট বোয়িং। বিমানের ইনফ্রাস্ট্রাকচার যা আছে সেটাও বোয়িং। কাজেই বোয়িং ফ্লাইট কেনার জন্য আমাদের কিছু আদেশ দেয়ার কথা রয়েছে শিগগির। আমরা সেভাবে নেগোসিয়েশন করেছি বোয়িংয়ের সঙ্গে। এছাড়া তুলা আমদানিকে প্রমোট করব। তুলার ওপর এমনিতেই শূন্য শুল্ক। কিন্তু সেখানে আমেরিকান তুলা আমদানি যাতে বেশি হয় সেজন্য কিছু ফ্যাসিলিটি এখানে তৈরি করবো।’

আরও কীভাবে দরকষাকষি করা যায় এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মোটা দাগে আমাদের যুক্তিগুলো থাকবে প্রথমত. শুল্ক কমানো এবং দ্বিতীয়ত. আমাদের ট্রেড রিলেটেড আরও যে ইস্যুগুলো আছে সেগুলোর কারণে আমরা যাতে অসুবিধাজনক পরিস্থিতিতে না পড়ি। মোদ্দা কথা হলো, বাংলাদেশের জন্য আমাদের প্রধান বিবেচ্য বাণিজ্য স্বার্থ সংরক্ষণ করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের যে এক্সিস্টিং বাণিজ্য আছে সেই বাণিজ্য রক্ষা করা। আমাদের কাছে তারা কিছু চেয়েছে, সেটা হলো শুল্ক কমানো। পর্যায়ক্রমে শুল্ক, ভ্যাট, সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি, রেগুলেটরি ডিউটি এগুলো যেন আমরা কমাই। আমরা সেটা এনবিআরের সঙ্গে কনসালটেশন করার পরে, সরকারের অন্যান্য অংশের সঙ্গে কনসাল্ট করে সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেবো।’

শুল্ক কমাতে না পারলে কোন ধরনের সংকটে পড়বে বাংলাদেশ?

শুল্ক কমাতে না পারলে নানা ধরনের সংকটে পড়বে বাংলাদেশ। বিশেষ করে রপ্তানি বাণিজ্য কমে যেতে পারে। বাণিজ্য সচিব বলেছেন, ‘প্রেশার হবে। সেটা তো সবাই বোঝে। সেটা যাতে না হয় সে জন্য আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি। আশা করছি ভালো কিছুই পাব।’

এতে ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলছেন, ‘মার্কিন শুল্ক বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করবে। ওভারঅল একটা নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট হবে। আর যারা ঠু মাচ ডিপেন্ড অন ইউএস মার্কেট (যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল), তারা অলমোস্ট দেউলিয়া হয়ে যাবে। আগস্টের এক তারিখ পর্যন্ত সময় থাকায় সরকার এখনও আলোচনার কথা বলছে, দেখা যাক কী হয়।’

বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল সংবাদকে বলেন, ‘এই শুল্কহার থাকলে বাংলাদেশের বহু পোশাকশ্রমিকের চাকরি ঝুঁঁকিতে পড়বে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র আমাদের প্রধান রপ্তানি গন্তব্য। বাংলাদেশকে এখনই মার্কিন আমদানিকারকদের সঙ্গে সক্রিয় যোগাযোগ, উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্য আলোচনা ফের শুরু এবং বাংলাদেশি পণ্যের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে।’

চিঠিতে যা বলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

নতুন শুল্কারোপের কথা জানিয়ে ১৪টি দেশের নেতাদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সেসব চিঠি তিনি নিজের ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছেও একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। সেখানে বলা হয়েছে, যেখানে পহেলা আগস্ট থেকে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্কারোপ হবে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘দুঃখজনকভাবে, আমাদের সম্পর্কটি বর্তমানে সমতা থেকে অনেক দূরে। তাই, পহেলা আগস্ট ২০২৫ থেকে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো বাংলাদেশি যে কোনো এবং সব পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্কারোপ করবো। এই শুল্ক এড়াতে যদি ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে পণ্য পাঠানো হয়, সেটিও উচ্চ শুল্কের আওতায় পড়বে। তবে বাংলাদেশ বা আপনার দেশের কোম্পানিগুলো যদি যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য উৎপাদন বা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তাদের কোনো শুল্ক দিতে হবে না।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘এক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশ যদিও শুল্ক হার বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রও পাল্টা হারে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবে। শুল্কের হার বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত দুই দেশের সম্পর্কের ওপর নির্ভর করবে। যদি আপনি এতদিন ধরে বন্ধ থাকা বাণিজ্য বাজার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুলতে চান এবং আপনার শুল্ক ও অশুল্ক নীতিমালা এবং বাণিজ্য বাধাগুলো দূর করতে চান, তাহলে আমরা এই চিঠির কিছু অংশ পুনর্বিবেচনা করতে পারি।’

back to top