বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে। এই মশার কামড়ে প্রতিদিন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৪২৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ২ জন ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ও ১ জন খুলনা বিভাগে মারা গেছেন।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার,(০৮ জুলাই ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শুধু হাসপাতালেই ১৩ হাজার ১৮৮ জন ভর্তি হয়েছেন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৩শ’র বেশি ডেঙ্গু রোগী।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৮ জন, ঢাকা বিভাগে ৩৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩৮ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৫৫ জন, খুলনা বিভাগে ১৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ জন, রাজশাহীতে ৪৮ জন, সিলেট বিভাগে একজন আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৭৬১ জন ও ঢাকা উত্তর সিটিতে ১০৭৯ জন। জুলাই মাসের গত ৮ দিনে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেল্থ ইমার্জেন্সি ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭৫
জন, পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে ২৬ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১২ জন, শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৬ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৪ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২৭ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ৩৩ জন। এইভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে এখনও ৩০২ জন ভর্তি আছে। সব মিলিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও ভর্তি আছে ১৩৫১ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন মোট ৫১ জন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গু হলে ৩ থেকে ৫ দিন জ্বর, মাথা ও শরীর ব্যথা হয়। ওই সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে বাড়িতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, তরল পানীয় (স্যালাইন, ফলের রস, স্যুপ) খাইতে দিতে হবে।
জ্বর কমানোর জন্য কেবল প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন বা ব্যথানাশক নিষিদ্ধ। কারণ এগুলো রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
জ্বর কমে যাওয়ার পর হঠাৎ শরীর খারাপ হওয়া, বারবার বমি, পেটব্যথা, রক্তপাত, ঘনঘন দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট বা মলিন চামড়া, অস্থিরতা, অজ্ঞানভাব, মাথা ঘুরানোর মতো উপসর্গ দেখা গেলে এবং গর্ভবর্তী নারীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ। যদি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থাকে (যেমন নিউমোনিয়া) তখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার অকার্যকর ও বিপজ্জনক।
বর্ষা মৌসুমে অর্থাৎ জুন মাস থেকে অক্টোবর মাসে হঠাৎ জ্বরজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। এতে ভাইরাস জ্বর, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর ভিড় হাসপাতালে বাড়ে। তাই রোগ নির্ণয়ে সচেতনতা ও দ্রুত চিকিৎসা নেয়া দরকার।
চিকুনগুনিয়ায় মৃত্যুঝুঁকি কম হলেও জ্বর পরবর্তী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (গিঁটে ব্যথা, র্যাশ, দুর্বলতা) রোগীদের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এটি সাধারণ ভাইরাস জ্বর ভেবে উপেক্ষা করা উচিত নয় বলেও পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
## খুলনায় ডেঙ্গুতে এক তরুণের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত চারজন
খুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আওয়াল (২২) নামের এক তরুণ মারা গেছেন। খুলনা থেকে নিজস্ব বার্তা পরিবেশক জানান, মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আওয়াল ফুলতলা উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন।
খুমেকের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ও ডেঙ্গু ইউনিটের ফোকাল পারসন খান আহমেদ ইশতিয়াক বলেন, মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে আওয়ালকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার দেহের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কাজ করছিল না। ভর্তির দু-এক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি মারা যান। তার মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে।
ইশতিয়াক বলেন, এর আগে গত শনিবার রাতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যায় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু। তাকেও একেবারে শেষ সময়ে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৬১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ছয়জন।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত খুলনা বিভাগের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৫০২ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৩১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬৫ জন। এ সময়ে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন চারজন, তাদের সবাই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
বিভাগের ১০টি জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) নতুন করে ১৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, এর মধ্যে খুলনায় ৪ জন।
## দাউদকান্দিতে ডেঙ্গুতে এক দিনে নতুন আক্রান্ত ৬৩ জন
দাউদকান্দি? উপজেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলেছে। দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলায় নতুন করে আরও ৬৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে ৩৪১ রোগী বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করান। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ৬৩ জনের। এর মধ্যে ১৩ জন দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত ১৮ জুন থেকে মঙ্গলবার ৮ জুলাই সকাল ১০টা পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৯ হাজার ৪৪১ জন নারী, পুরুষ ও শিশুর রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৭৭০ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ ৩০ জন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত দাউদকান্দিতে মৃতের সংখ্যা ৭ জন।
এদিকে, ডেঙ্গু মহামারীতে বেড়েছে ডাবের চাহিদা। এই সুযোগে এলাকায় প্রতিটি ডাব ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে। এই মশার কামড়ে প্রতিদিন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৪২৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ২ জন ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ও ১ জন খুলনা বিভাগে মারা গেছেন।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার,(০৮ জুলাই ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শুধু হাসপাতালেই ১৩ হাজার ১৮৮ জন ভর্তি হয়েছেন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৩শ’র বেশি ডেঙ্গু রোগী।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৮ জন, ঢাকা বিভাগে ৩৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩৮ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৫৫ জন, খুলনা বিভাগে ১৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ জন, রাজশাহীতে ৪৮ জন, সিলেট বিভাগে একজন আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৭৬১ জন ও ঢাকা উত্তর সিটিতে ১০৭৯ জন। জুলাই মাসের গত ৮ দিনে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেল্থ ইমার্জেন্সি ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭৫
জন, পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে ২৬ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১২ জন, শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৬ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৪ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২৭ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ৩৩ জন। এইভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে এখনও ৩০২ জন ভর্তি আছে। সব মিলিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও ভর্তি আছে ১৩৫১ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন মোট ৫১ জন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গু হলে ৩ থেকে ৫ দিন জ্বর, মাথা ও শরীর ব্যথা হয়। ওই সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে বাড়িতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, তরল পানীয় (স্যালাইন, ফলের রস, স্যুপ) খাইতে দিতে হবে।
জ্বর কমানোর জন্য কেবল প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন বা ব্যথানাশক নিষিদ্ধ। কারণ এগুলো রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
জ্বর কমে যাওয়ার পর হঠাৎ শরীর খারাপ হওয়া, বারবার বমি, পেটব্যথা, রক্তপাত, ঘনঘন দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট বা মলিন চামড়া, অস্থিরতা, অজ্ঞানভাব, মাথা ঘুরানোর মতো উপসর্গ দেখা গেলে এবং গর্ভবর্তী নারীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ। যদি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থাকে (যেমন নিউমোনিয়া) তখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার অকার্যকর ও বিপজ্জনক।
বর্ষা মৌসুমে অর্থাৎ জুন মাস থেকে অক্টোবর মাসে হঠাৎ জ্বরজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। এতে ভাইরাস জ্বর, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর ভিড় হাসপাতালে বাড়ে। তাই রোগ নির্ণয়ে সচেতনতা ও দ্রুত চিকিৎসা নেয়া দরকার।
চিকুনগুনিয়ায় মৃত্যুঝুঁকি কম হলেও জ্বর পরবর্তী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (গিঁটে ব্যথা, র্যাশ, দুর্বলতা) রোগীদের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এটি সাধারণ ভাইরাস জ্বর ভেবে উপেক্ষা করা উচিত নয় বলেও পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
## খুলনায় ডেঙ্গুতে এক তরুণের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত চারজন
খুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আওয়াল (২২) নামের এক তরুণ মারা গেছেন। খুলনা থেকে নিজস্ব বার্তা পরিবেশক জানান, মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আওয়াল ফুলতলা উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন।
খুমেকের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ও ডেঙ্গু ইউনিটের ফোকাল পারসন খান আহমেদ ইশতিয়াক বলেন, মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে আওয়ালকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার দেহের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কাজ করছিল না। ভর্তির দু-এক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি মারা যান। তার মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে।
ইশতিয়াক বলেন, এর আগে গত শনিবার রাতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যায় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু। তাকেও একেবারে শেষ সময়ে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৬১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ছয়জন।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত খুলনা বিভাগের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৫০২ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৩১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬৫ জন। এ সময়ে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন চারজন, তাদের সবাই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
বিভাগের ১০টি জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) নতুন করে ১৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, এর মধ্যে খুলনায় ৪ জন।
## দাউদকান্দিতে ডেঙ্গুতে এক দিনে নতুন আক্রান্ত ৬৩ জন
দাউদকান্দি? উপজেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলেছে। দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলায় নতুন করে আরও ৬৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে ৩৪১ রোগী বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করান। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ৬৩ জনের। এর মধ্যে ১৩ জন দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত ১৮ জুন থেকে মঙ্গলবার ৮ জুলাই সকাল ১০টা পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৯ হাজার ৪৪১ জন নারী, পুরুষ ও শিশুর রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৭৭০ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ ৩০ জন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত দাউদকান্দিতে মৃতের সংখ্যা ৭ জন।
এদিকে, ডেঙ্গু মহামারীতে বেড়েছে ডাবের চাহিদা। এই সুযোগে এলাকায় প্রতিটি ডাব ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।