ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা থেকে বাসায় ফেরার পথে অপহরণ হন তাইজুল ইসলাম (৬৩) নামে এক কুয়েত প্রবাসী। গতকাল সোমবার গভীর রাতে কেরানীগঞ্জ ঝিলমিল প্রকল্পের ভিতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুলাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। তার বাসা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পশ্চিমদি ঝাউতলা এলাকায়।
নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, তার স্বামী তাইজুল ইসলাম কুয়েত প্রবাসী। সে আড়াই মাস আগে দেশে আসেন। দেশে আসার পর গত ২ মাস আগে তার মেজ মেয়ে খাদিজা বেগমকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার
তেঘরিয়া গ্রামের মকিম মোল্লার ছেলে সৌদি প্রবাসী সবুজ মোল্লার সঙ্গে বিবাহ হয়। আগামী আগস্ট মাসের ১০ তারিখে তার কুয়েতে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি আক্তার হোসেন তার জামাতা সবুজ মোল্লাকে মোবাইল ও টাকা চুরির মীমাংসার জন্য থানায় ডাকেন। সালিশি করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই মঞ্জুররুল ইসলাম। জামাতা সবুজ দুপুর ২টায় তার শ্বশুর তাইজুল ইসলামকে নিয়ে উক্ত সালিশিতে অংশগ্রহণ করে। সন্ধ্যা ৬টায় তারা কোনোরকম মীমাংসা ছাড়াই থানা থেকে বের হয়ে বাড়িতে রওনা হন। নিহত তাইজুল ইসলাম দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা থেকে বের হয়ে তেঘরিয়া বাসস্টেশন পৌঁছার পর অপহরণ হন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর গভীর রাতে তার লাশ পাওয়া যায় কেরানীগঞ্জ ঝিলমিল আবাসন প্রকল্পের জঙ্গলে।
নিহত তাইজুল ইসলামের জামাতা সবুজ মোল্যা জানায়, গত তিন দিন আগে ইটবালি ডেলিভারি দেয়ার কথা বলে তাদের বাড়িতে আসে ইটের ভাটার লোক কাশেম আলী ও মিজানুর রহমান। তারা তখন তার বাসা থেকে মোবাইল ও মোবাইলের বিকাশে থাকা এক লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। এ নিয়ে ইটভাটার লোক কাশেম ও মিজানের বিরুদ্ধে সবুজ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগের মীমাংসার জন্য ৭ জুলাই গতকাল সোমবার দুপুরে থানার দারোগা মনজুরুল ইসলাম তাকে সালিশি মীমাংসার জন্য ডাকেন। তিনি তার শ্বশুর তাইজুল ইসলামকে নিয়ে উক্ত সালিশিতে অংশগ্রহণ করেন। সালিশের একপর্যায়ে কোনোরকম মীমাংসা ছাড়াই তারা থানা থেকে চলে যান। পরে আমার শ্বশুর থানা থেকে নিজ বাড়ি কেরানীগঞ্জের পশ্চিমদি গ্রামে যাওয়ার পথে তেঘরিয়া বাসস্টেশন থেকে অপহরণ হয়। সন্ধ্যা থেকে তার মোবাইল বন্ধ থাকে। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি পর ঝিলমিল আবাসন প্রকল্প থেকে পুলিশ গতকাল সোমবার রাতে আমার শ্বশুরের লাশ উদ্ধার করে। তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ দেয়া হয়েছে তারাই অপহরণের পর আমার শ্বশুরকে মেরে ফেলেছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহত তাইজুল ইসলাম তার থানায় অবস্থান করেছিল। তার জামাতার মোবাইল চুরির ব্যাপারে দুইপক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছিল। তারা সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ থানা থেকে বের হয়ে যান। পরে রাতে র্যাব-১০ ঝিলমিল আবাসন প্রকল্প থেকে লাশ শনাক্ত করে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে নিহত তাইজুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা থেকে বাসায় ফেরার পথে অপহরণ হন তাইজুল ইসলাম (৬৩) নামে এক কুয়েত প্রবাসী। গতকাল সোমবার গভীর রাতে কেরানীগঞ্জ ঝিলমিল প্রকল্পের ভিতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুলাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। তার বাসা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পশ্চিমদি ঝাউতলা এলাকায়।
নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, তার স্বামী তাইজুল ইসলাম কুয়েত প্রবাসী। সে আড়াই মাস আগে দেশে আসেন। দেশে আসার পর গত ২ মাস আগে তার মেজ মেয়ে খাদিজা বেগমকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার
তেঘরিয়া গ্রামের মকিম মোল্লার ছেলে সৌদি প্রবাসী সবুজ মোল্লার সঙ্গে বিবাহ হয়। আগামী আগস্ট মাসের ১০ তারিখে তার কুয়েতে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি আক্তার হোসেন তার জামাতা সবুজ মোল্লাকে মোবাইল ও টাকা চুরির মীমাংসার জন্য থানায় ডাকেন। সালিশি করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই মঞ্জুররুল ইসলাম। জামাতা সবুজ দুপুর ২টায় তার শ্বশুর তাইজুল ইসলামকে নিয়ে উক্ত সালিশিতে অংশগ্রহণ করে। সন্ধ্যা ৬টায় তারা কোনোরকম মীমাংসা ছাড়াই থানা থেকে বের হয়ে বাড়িতে রওনা হন। নিহত তাইজুল ইসলাম দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা থেকে বের হয়ে তেঘরিয়া বাসস্টেশন পৌঁছার পর অপহরণ হন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর গভীর রাতে তার লাশ পাওয়া যায় কেরানীগঞ্জ ঝিলমিল আবাসন প্রকল্পের জঙ্গলে।
নিহত তাইজুল ইসলামের জামাতা সবুজ মোল্যা জানায়, গত তিন দিন আগে ইটবালি ডেলিভারি দেয়ার কথা বলে তাদের বাড়িতে আসে ইটের ভাটার লোক কাশেম আলী ও মিজানুর রহমান। তারা তখন তার বাসা থেকে মোবাইল ও মোবাইলের বিকাশে থাকা এক লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। এ নিয়ে ইটভাটার লোক কাশেম ও মিজানের বিরুদ্ধে সবুজ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগের মীমাংসার জন্য ৭ জুলাই গতকাল সোমবার দুপুরে থানার দারোগা মনজুরুল ইসলাম তাকে সালিশি মীমাংসার জন্য ডাকেন। তিনি তার শ্বশুর তাইজুল ইসলামকে নিয়ে উক্ত সালিশিতে অংশগ্রহণ করেন। সালিশের একপর্যায়ে কোনোরকম মীমাংসা ছাড়াই তারা থানা থেকে চলে যান। পরে আমার শ্বশুর থানা থেকে নিজ বাড়ি কেরানীগঞ্জের পশ্চিমদি গ্রামে যাওয়ার পথে তেঘরিয়া বাসস্টেশন থেকে অপহরণ হয়। সন্ধ্যা থেকে তার মোবাইল বন্ধ থাকে। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি পর ঝিলমিল আবাসন প্রকল্প থেকে পুলিশ গতকাল সোমবার রাতে আমার শ্বশুরের লাশ উদ্ধার করে। তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ দেয়া হয়েছে তারাই অপহরণের পর আমার শ্বশুরকে মেরে ফেলেছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহত তাইজুল ইসলাম তার থানায় অবস্থান করেছিল। তার জামাতার মোবাইল চুরির ব্যাপারে দুইপক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছিল। তারা সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ থানা থেকে বের হয়ে যান। পরে রাতে র্যাব-১০ ঝিলমিল আবাসন প্রকল্প থেকে লাশ শনাক্ত করে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে নিহত তাইজুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।