চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা বাড়লেও প্রয়োজনীয় নার্স এবং সহায়ক কর্মী না বাড়ায় কাক্সিক্ষত সেবা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় আইসিইউর গুরুতর রোগীরা পড়েছেন ঝুঁকিতে।
চমেকের আইসিইউর ৬০ শয্যার জন্য প্রয়োজন ১৮০ জন নার্স, আছে মাত্র ৬৭ জন
পুরো হাসপাতালেই নার্সসহ বিভিন্ন জনবলের ঘাটতি রয়েছে, তবে
দ্রুতই এই সংকট কাটবে: কর্তৃপক্ষ
সম্প্রতি চমেক হাসপাতালে নতুন ৩০ শয্যার আইসিইউ চালু হওয়ায় মোট আইসিইউ শয্যার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০। কিন্তু এ বিপুল সংখ্যক শয্যার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল এখনও মেলেনি। তথ্য অনুযায়ী, এসব শয্যার জন্য থাকা প্রয়োজন ১৮০ জন নার্স, অথচ বর্তমানে কর্মরত মাত্র ৬৭ জন। এছাড়া রয়েছেন ৩২ জন মেডিকেল অফিসার ও ১০ জন কনসালটেন্ট, যাদের বেশিরভাগই অস্ত্রোপচার কক্ষে ব্যস্ত থাকায় আইসিইউতে সরাসরি দায়িত্বে থাকেন না।
আইসিইউতে দায়িত্বে থাকা এক নার্স নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘প্রতিটি নার্সের ওপর একাধিক সংকটাপন্ন রোগীর দায়িত্ব থাকায় মানসম্মত সেবা দেয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। শয্যা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জনবল না বাড়ালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক ক্রিটিক্যাল কেয়ার সোসাইটির গাইডলাইন অনুযায়ী, প্রতিটি আইসিইউ শয্যার জন্য দিনে কমপক্ষে একজন করে নার্স থাকা বাধ্যতামূলক। সে হিসেবে চমেকে ৬০ শয্যার জন্য প্রয়োজন ১৮০ জন নার্স।
চমেক সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের চতুর্থ তলায় নতুনভাবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ৩০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট সম্প্রতি চালু হয়েছে। আগে এই ইউনিটে ছিল ১৮টি শয্যা। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নিচতলায় ৩০ শয্যার একটি ইউনিট চালুর পর এবার এই সম্প্রসারণের মাধ্যমে মোট শয্যা দাঁড়িয়েছে ৬০।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিন বলেন, ‘‘আমরা জনবল বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি, দ্রুতই এই সংকট কাটবে। পুরো হাসপাতালেই নার্সসহ বিভিন্ন জনবলে ঘাটতি রয়েছে, এ বিষয়ে বারবার চিঠি দেয়া হয়েছে।”
আইসিইউ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, “শয্যা বাড়ানোয় রোগীরা সুযোগ পাচ্ছেন, তবে নার্স বাড়ানো এখন সবচেয়ে জরুরি। কারণ আইসিইউ রোগীর অবস্থা মুহূর্তেই পরিবর্তন হতে পারে। সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য যথাযথ জনবল থাকা অত্যাবশ্যক।”
বর্তমানে ২,২০০ শয্যার এই হাসপাতালে রোগীর চাপ প্রতিদিনই বাড়ছে। শয্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে চাপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলেও প্রয়োজনীয় জনবল ছাড়া কাক্সিক্ষত সেবার মান নিশ্চিত করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা বাড়লেও প্রয়োজনীয় নার্স এবং সহায়ক কর্মী না বাড়ায় কাক্সিক্ষত সেবা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় আইসিইউর গুরুতর রোগীরা পড়েছেন ঝুঁকিতে।
চমেকের আইসিইউর ৬০ শয্যার জন্য প্রয়োজন ১৮০ জন নার্স, আছে মাত্র ৬৭ জন
পুরো হাসপাতালেই নার্সসহ বিভিন্ন জনবলের ঘাটতি রয়েছে, তবে
দ্রুতই এই সংকট কাটবে: কর্তৃপক্ষ
সম্প্রতি চমেক হাসপাতালে নতুন ৩০ শয্যার আইসিইউ চালু হওয়ায় মোট আইসিইউ শয্যার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০। কিন্তু এ বিপুল সংখ্যক শয্যার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল এখনও মেলেনি। তথ্য অনুযায়ী, এসব শয্যার জন্য থাকা প্রয়োজন ১৮০ জন নার্স, অথচ বর্তমানে কর্মরত মাত্র ৬৭ জন। এছাড়া রয়েছেন ৩২ জন মেডিকেল অফিসার ও ১০ জন কনসালটেন্ট, যাদের বেশিরভাগই অস্ত্রোপচার কক্ষে ব্যস্ত থাকায় আইসিইউতে সরাসরি দায়িত্বে থাকেন না।
আইসিইউতে দায়িত্বে থাকা এক নার্স নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘প্রতিটি নার্সের ওপর একাধিক সংকটাপন্ন রোগীর দায়িত্ব থাকায় মানসম্মত সেবা দেয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। শয্যা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জনবল না বাড়ালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক ক্রিটিক্যাল কেয়ার সোসাইটির গাইডলাইন অনুযায়ী, প্রতিটি আইসিইউ শয্যার জন্য দিনে কমপক্ষে একজন করে নার্স থাকা বাধ্যতামূলক। সে হিসেবে চমেকে ৬০ শয্যার জন্য প্রয়োজন ১৮০ জন নার্স।
চমেক সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের চতুর্থ তলায় নতুনভাবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ৩০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট সম্প্রতি চালু হয়েছে। আগে এই ইউনিটে ছিল ১৮টি শয্যা। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নিচতলায় ৩০ শয্যার একটি ইউনিট চালুর পর এবার এই সম্প্রসারণের মাধ্যমে মোট শয্যা দাঁড়িয়েছে ৬০।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিন বলেন, ‘‘আমরা জনবল বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি, দ্রুতই এই সংকট কাটবে। পুরো হাসপাতালেই নার্সসহ বিভিন্ন জনবলে ঘাটতি রয়েছে, এ বিষয়ে বারবার চিঠি দেয়া হয়েছে।”
আইসিইউ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, “শয্যা বাড়ানোয় রোগীরা সুযোগ পাচ্ছেন, তবে নার্স বাড়ানো এখন সবচেয়ে জরুরি। কারণ আইসিইউ রোগীর অবস্থা মুহূর্তেই পরিবর্তন হতে পারে। সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য যথাযথ জনবল থাকা অত্যাবশ্যক।”
বর্তমানে ২,২০০ শয্যার এই হাসপাতালে রোগীর চাপ প্রতিদিনই বাড়ছে। শয্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে চাপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলেও প্রয়োজনীয় জনবল ছাড়া কাক্সিক্ষত সেবার মান নিশ্চিত করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।