পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সাভারের ১৫ কাঠা জমি ও ১০ তলা ভবন জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব মঙ্গলবার,(০৮ জুলাই ২০২৫) এ আদেশ দিয়েছেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানজির আহমেদ বলেন, জমিসহ ১০তলা ভবন জব্দের আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মো. মাসুদুর রহমান। আবেদনে বলা হয়, বাড়িভাড়ার ভুয়া চুক্তিনামা দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে শিবলী রুবাইয়াত ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা ঘুষ নেন। সেইসঙ্গে ভুয়া বিক্রয় চুক্তি দেখিয়ে পণ্য রপ্তানি না করে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির আশ্রয় নেন। এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত চলছে। সম্পদের জব্দের আবেদনে আরও বলা হয়, শিবলী রুবাইয়াত পারিবারিক ব্যয় ঘোষণা দিয়ে আনা অর্থ পরে ঘরভাড়ার অগ্রিম হিসেবে দেখান এবং সেই অর্থ দিয়ে এই সম্পত্তি (সাভারে ১০ তলা ভবন) তৈরি করছেন তদন্তে উঠে আসছে। অর্থাৎ সম্পত্তিটি মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় সেটির হস্তান্তর ঠেকাতে জব্দের আদেশ প্রয়োজন।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট রাতে বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন শিবলী।
২০২০ সালের ১৭ মে তিনি চার বছরের জন্য বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে ফের চার বছরের জন্য তাকে ওই দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করা অধ্যাপক শিবলীকে জুলাই আন্দোলনের কয়েকটি মামলাতে আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পরদিন তার বিরুদ্ধে মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেডকে ব্রোকার হাউজের লাইসেন্স পাইয়ে দেয়ার বিনিময়ে ৩ কোটি ৭৬ লাখ ২৯ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলার এজাহারে শিবলীর বিরুদ্ধে ভুয়া বাড়ি ভাড়ার চুক্তিনামা দেখিয়ে ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা বা প্রায় ২ লাখ ২৬ হাজার ৩০৮ ইউএস ডলার এবং ভুয়া পণ্য বিক্রির চুক্তি দেখিয়ে পণ্য রপ্তানির কৌশলে ১ কোটি ৮৪ লাখ ২৮ হাজার ৮২০ টাকাসহ ৩ কোটি ৭৬ লাখ ২৯ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ আনা হয়।
শিবলী ২০২০ সালে ১৭ মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই সময়ের মধ্যেই তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যুক্তরাষ্ট্রের মোনার্ক হোল্ডিং ইনক থেকে অর্থ আসে বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
২০২০ সালের জুলাই মাসে সাউথইস্ট ব্যাংকে তার ওই অ্যাকাউন্টে মোনার্কের ব্যাংক হিসাব থেকে চারটি ট্রানজেকশনে মোট ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা জমা হয়। শিবলী ২০২০ সালের ১৩ জুলাই ওই অর্থ উত্তোলন করেন। ব্যাংকের রেমিট্যান্স ঘোষণা ফরমে তিনি ওই অর্থকে পারিবারিক খরচ ঘোষণা করেন। আসলে ওই অর্থ ‘ঘুষ’ ছিল দাবি করে এজাহারে বলা হয়েছে,‘ঘুষকে বৈধতা দিতে আসামি জাবেদ এ মতিনের সঙ্গে একটি ভুয়া বাড়িভাড়া চুক্তি করেন শিবলী। পরে তিনি জাবেদ এ মতিন গংদের নামে মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেড নামে ২০২১ সালের ডিসেম্বর ব্রোকার হাউজের লাইসেন্স প্রদান করেন।
শিবলী ছাড়াও পাঁচজনকে আসামি করা হয় এ মামলায়। তারা হলেন-মোনার্ক হোল্ডিং ইনকরপোরেশনের চেয়ারম্যান জাবেদ এ মতিন, ঝিন বাংলা ফেব্রিক্সের মালিক আরিফুল ইসলাম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এফএভিপি ইসরাত জাহান, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখার অপারেশন ম্যানেজার ইকবাল হোসেন, ব্যাংকটির এসইভিপি, অডিট অ্যান্ড ইন্সপেকশন ডিপার্টমেন্ট ও সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ।
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সাভারের ১৫ কাঠা জমি ও ১০ তলা ভবন জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব মঙ্গলবার,(০৮ জুলাই ২০২৫) এ আদেশ দিয়েছেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানজির আহমেদ বলেন, জমিসহ ১০তলা ভবন জব্দের আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মো. মাসুদুর রহমান। আবেদনে বলা হয়, বাড়িভাড়ার ভুয়া চুক্তিনামা দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে শিবলী রুবাইয়াত ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা ঘুষ নেন। সেইসঙ্গে ভুয়া বিক্রয় চুক্তি দেখিয়ে পণ্য রপ্তানি না করে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির আশ্রয় নেন। এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত চলছে। সম্পদের জব্দের আবেদনে আরও বলা হয়, শিবলী রুবাইয়াত পারিবারিক ব্যয় ঘোষণা দিয়ে আনা অর্থ পরে ঘরভাড়ার অগ্রিম হিসেবে দেখান এবং সেই অর্থ দিয়ে এই সম্পত্তি (সাভারে ১০ তলা ভবন) তৈরি করছেন তদন্তে উঠে আসছে। অর্থাৎ সম্পত্তিটি মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় সেটির হস্তান্তর ঠেকাতে জব্দের আদেশ প্রয়োজন।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট রাতে বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন শিবলী।
২০২০ সালের ১৭ মে তিনি চার বছরের জন্য বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে ফের চার বছরের জন্য তাকে ওই দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করা অধ্যাপক শিবলীকে জুলাই আন্দোলনের কয়েকটি মামলাতে আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পরদিন তার বিরুদ্ধে মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেডকে ব্রোকার হাউজের লাইসেন্স পাইয়ে দেয়ার বিনিময়ে ৩ কোটি ৭৬ লাখ ২৯ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলার এজাহারে শিবলীর বিরুদ্ধে ভুয়া বাড়ি ভাড়ার চুক্তিনামা দেখিয়ে ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা বা প্রায় ২ লাখ ২৬ হাজার ৩০৮ ইউএস ডলার এবং ভুয়া পণ্য বিক্রির চুক্তি দেখিয়ে পণ্য রপ্তানির কৌশলে ১ কোটি ৮৪ লাখ ২৮ হাজার ৮২০ টাকাসহ ৩ কোটি ৭৬ লাখ ২৯ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ আনা হয়।
শিবলী ২০২০ সালে ১৭ মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই সময়ের মধ্যেই তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যুক্তরাষ্ট্রের মোনার্ক হোল্ডিং ইনক থেকে অর্থ আসে বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
২০২০ সালের জুলাই মাসে সাউথইস্ট ব্যাংকে তার ওই অ্যাকাউন্টে মোনার্কের ব্যাংক হিসাব থেকে চারটি ট্রানজেকশনে মোট ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা জমা হয়। শিবলী ২০২০ সালের ১৩ জুলাই ওই অর্থ উত্তোলন করেন। ব্যাংকের রেমিট্যান্স ঘোষণা ফরমে তিনি ওই অর্থকে পারিবারিক খরচ ঘোষণা করেন। আসলে ওই অর্থ ‘ঘুষ’ ছিল দাবি করে এজাহারে বলা হয়েছে,‘ঘুষকে বৈধতা দিতে আসামি জাবেদ এ মতিনের সঙ্গে একটি ভুয়া বাড়িভাড়া চুক্তি করেন শিবলী। পরে তিনি জাবেদ এ মতিন গংদের নামে মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেড নামে ২০২১ সালের ডিসেম্বর ব্রোকার হাউজের লাইসেন্স প্রদান করেন।
শিবলী ছাড়াও পাঁচজনকে আসামি করা হয় এ মামলায়। তারা হলেন-মোনার্ক হোল্ডিং ইনকরপোরেশনের চেয়ারম্যান জাবেদ এ মতিন, ঝিন বাংলা ফেব্রিক্সের মালিক আরিফুল ইসলাম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এফএভিপি ইসরাত জাহান, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখার অপারেশন ম্যানেজার ইকবাল হোসেন, ব্যাংকটির এসইভিপি, অডিট অ্যান্ড ইন্সপেকশন ডিপার্টমেন্ট ও সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ।