প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফাইল ছবি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব প্রস্তুতি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বুধবার রাত আটটায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন ঘিরে সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে নিতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় নির্বাচন সংক্রান্ত আরও কিছু প্রস্তুতির কথা জানান উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে হওয়া কিছু অগ্রগতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন ঘিরে সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে নিতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। ডিসেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করতে বলেছেন। সব প্রস্তুতি শেষ আর সংস্কার হয়ে গেলে রোজার আগেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।
শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা একটু আগে গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক করেছেন। সেখানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলার রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানরা ছিলেন।
তিনি বলেন, প্রস্তুতির মধ্যে অনেকগুলো বিষয় আছে। যেমন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে (পুলিশ, বিজিবি, কোস্ট গার্ড) ১৭ হাজার নতুন সদস্য নেওয়া হচ্ছে। তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ যেন এ সময়ের মধ্যে শেষ হয়, সে বিষয়ে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
শফিকুল আলম বলেন, ভোটের আগে যে কোনো ধরনের ভায়োলেন্সকে যেন প্রতিহত করা যায় এবং ভোটের পরেও আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি যাতে ঠিক থাকে সেটা নিয়েও যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের আগে ডিসি, এসপি, ওসি, ইউএনওদের রদবদল করার কথা বলা হয়েছে। রিশাপলটা কীভাবে করা হবে, এটা একটা র্যান্ডম ওয়েতে করবে।
শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে অনেক পায়তাঁরা হয়, যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি হয়। প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে নির্বাচন সামনে রেখে আগামী মাসগুলোতে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করে।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সদস্যকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে জানিয়ে তিনি আরও জানান, নির্বাচনের সময় ১৮ থেকে ৩২ বছর বয়সী ভোটারদের আলাদা বুথ রাখা যায় কি না, সে বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্টে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। তারা প্রথম দিকে আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলে আসছিল। তবে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচন ডিসেম্বরে করার দাবি জানাচ্ছিল।
এ নিয়ে দূরত্ব তৈরি হলেও পরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডন বৈঠকে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনে উভয়পক্ষ সম্মত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফাইল ছবি
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব প্রস্তুতি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বুধবার রাত আটটায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন ঘিরে সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে নিতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় নির্বাচন সংক্রান্ত আরও কিছু প্রস্তুতির কথা জানান উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে হওয়া কিছু অগ্রগতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন ঘিরে সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে নিতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। ডিসেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করতে বলেছেন। সব প্রস্তুতি শেষ আর সংস্কার হয়ে গেলে রোজার আগেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।
শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা একটু আগে গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক করেছেন। সেখানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলার রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানরা ছিলেন।
তিনি বলেন, প্রস্তুতির মধ্যে অনেকগুলো বিষয় আছে। যেমন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে (পুলিশ, বিজিবি, কোস্ট গার্ড) ১৭ হাজার নতুন সদস্য নেওয়া হচ্ছে। তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ যেন এ সময়ের মধ্যে শেষ হয়, সে বিষয়ে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
শফিকুল আলম বলেন, ভোটের আগে যে কোনো ধরনের ভায়োলেন্সকে যেন প্রতিহত করা যায় এবং ভোটের পরেও আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি যাতে ঠিক থাকে সেটা নিয়েও যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের আগে ডিসি, এসপি, ওসি, ইউএনওদের রদবদল করার কথা বলা হয়েছে। রিশাপলটা কীভাবে করা হবে, এটা একটা র্যান্ডম ওয়েতে করবে।
শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে অনেক পায়তাঁরা হয়, যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি হয়। প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে নির্বাচন সামনে রেখে আগামী মাসগুলোতে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করে।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সদস্যকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে জানিয়ে তিনি আরও জানান, নির্বাচনের সময় ১৮ থেকে ৩২ বছর বয়সী ভোটারদের আলাদা বুথ রাখা যায় কি না, সে বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্টে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। তারা প্রথম দিকে আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলে আসছিল। তবে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচন ডিসেম্বরে করার দাবি জানাচ্ছিল।
এ নিয়ে দূরত্ব তৈরি হলেও পরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডন বৈঠকে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনে উভয়পক্ষ সম্মত হয়।