গেল বছর জুলাই আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর সারাদেশে প্রায় ১৪শ’ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা ও নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই সব মামলায় পুলিশের আইজিপি থেকে ইন্সপেক্টরসহ বিভিন্ন পদ মর্যাদার ৬১জন কর্মকর্তাসহ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে যারা এখনো পলাতক আছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
মামলা, গ্রেপ্তার ও বাধ্যতামূলক অবসর ও সংযুক্ত রাখা সৎ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢালাও মিথ্যা অপপ্রচারসহ নানা কারনে এখনো পুলিশ বাহিনীতে হতাশা বিরাজ করছে। তবে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, পুলিশের মনোবল চাঙ্গা করতে পুলিশ সদর দপ্তর কাজ করছেন। পুলিশের মনোবল আগের চেয়ে চাঙ্গা হচ্ছে। পুলিশের চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশ পেশাদারিত্বের মনোভাব নিয়ে কাজ করছেন বলে মিডিয়া শাখা থেকে জানিয়েছেন।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা মন্তব্য করে বলেন, আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা হারুনসহ প্রায় ৫০জন পুলিশ কর্মকর্তার অপকর্মের খেসারত দিচ্ছে পুরো পুলিশ বাহিনী। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সাবেক ডিবি হারুন ও বিপ্লবসহ অতি উৎসাহী তেলবাজ পুলিশ কর্মকর্তারা দায়ী।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানা গেছে, ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর সারাদেশে পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ও আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই সব মামলায় ভিডিও ফুটেজ দেখে পুলিশ কর্মকর্তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে। বুধবার,(০৯ জুলাই ২০২৫) পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৪শ পুলিশের বিরুদ্বে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই সব মামলায় আইজিপি, ডিআইজি,
অতিরিক্ত ডিআইজি থেকে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার মোট ৬১জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান। আবার অনেকের বিরুদ্ধে মামলা তদন্ত পর্যায়ে আছে।
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে ৫১জন পুলিশ কর্মকর্তাকে। এরমধ্যে এসবি প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম। সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান,রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুরের সাবেক পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান, সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলীও রয়েছে।
ওএসডি করে রাখা হয়েছে ৮২জন পুলিশ কর্মকর্তা, বিভিন্ন রেঞ্জে সংযুক্ত রাখা হয়েছে ৯২জন কর্মকর্তা। আবার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়া ও তার সরকারের পতনের পর অনেক তেলবাজ ও দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তা পালিয়ে গেছেন। অনেকেই সংযুক্ত অবস্থায় গাডাকা দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বর্তমানে পুলিশের আইজিপি সারাদেশের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মরত কর্মকর্তা ও সদস্যদের মনোবল চাঙ্গা করতে কাজ করছেন। পুলিশকে পেশাদারিত্বের মনোভাব নিয়ে কাজ করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে মাঠ পর্যায়ে পুলিশের তৎপরতা বেড়েছে। তারা অপরাধ দমনে কাজ করছেন।
অপর একজন কর্মকর্তা বলেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য পুলিশ কর্মকর্তারা বিভাগ থেকে থানা পর্যন্ত সর্বক্ষণ নজরদারি করছেন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় থানার কার্যক্রম ঢেলে সাজানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরপরও অনেক পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য ঠিক মত কাজ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সংবাদকে বলেন, পুলিশের এখন যারা কর্মরত আছেন, তাদের মধ্যে সৎ পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে একটি চক্র নানা ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যে কারনে ভালো অফিসাররা কাজ করতে পারছে না বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন। আবার অনেকেই এখনো দলবাজি করছে। একজন আরেক জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপ্রচার চালাচ্ছেন। এতে কাজের গতি কমে যায়। দেখা দেয় হতাশা।
অভিযোগ রয়েছে, আলোচিত পলাতক পুলিশ কর্মকর্তা হারুনসহ অনেকেই এখনো ধরাছোয়ার বাইরে রয়ে গেছে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনলে পুলিশ রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের নানা কাহিনী বেরিয়ে আসবে।
সম্প্রতি পুলিশের একটি অনুষ্ঠানে পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, পুলিশ রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান। অপরাধ দমন,তদন্ত,জননিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা, বিচার ব্যবস্থার সহায়ক শক্তি হিসেবে পুলিশের ভূমিকা অপরিসীম। তবে দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণ বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি বিক্ষুদ্ধ।
প্রকৃত অর্থে পুলিশের প্রতি অসন্তোষ, অবিশ্বাস, ভয় বা ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে। এর পেছনে পুলিশ বাহিনীর পুরনো কাঠামো, ব্রিটিশ আমলের আইন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব, অযাচিত রাজনৈতিক প্রভাব, পক্ষপাত মূলক নিষ্ঠুর, অসম্মান জনক, সহিংস, অমানবিক আচরণ , দুনীতি, কাউণ্টার কিলিংসহ ইত্যাদি। এই ধরনের পুলিশি আচরণ ও কর্মকান্ড স্বাধীন দেশের জন্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
পুলিশ বাহিনীর রাজনীতিকীকরণের কারনে জনগণের মাঝে পুলিশের প্রতি আস্থার সংকট তৈরী করছে। তাই পুলিশ সংস্কার আইনে পুলিশের প্রতি জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন ফিরিয়ে আনা এখন জরুরী। পুলিশকে একটি জনমুখী সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এই জন্য সদস্যদের আমূল মানসিক পরিবর্তন জরুরি।
আধুনিক অপরাধ দমনে ১৮৬১ সালের পুলিশ আইন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। আধুনিক অপরাধ মোকাবেলায় এই আইন অচল। এই আইনে অপরাধ প্রতিরোধের চেয়ে নিয়ন্ত্রণের দিকে জোর দেয়া হয়েছে বেশী।
পুলিশ বাহিনীকে জনগণের সেবক নয় বরং ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ সৃষ্টি করছে। তাই পুলিশের সংস্কার ও স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করে পুলিশ বাহিনীর কাজের ওপর নিরপেক্ষ ভাবে নজরদারি নিশ্চিত করায় গুরুত্ব দেয়া দরকার।
এ নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মিডিয়া ইনামুল হক সাগর সংবাদকে জানান, পুলিশ সদস্যরা বর্তমানে আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। তারা সাহস ও মনোবল অটুট রেখে দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভবিষ্যতে আইনানুগ দায়িত্ব পালনে পুলিশ সচেষ্ট থাকবে। তবে আমরা জনগণের সহযোগীতা চাই। পুলিশকে পেশাগত দায়িত্ব পালনে জনগণ সহযোগিতা করবে বলে বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন।
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
গেল বছর জুলাই আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর সারাদেশে প্রায় ১৪শ’ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা ও নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই সব মামলায় পুলিশের আইজিপি থেকে ইন্সপেক্টরসহ বিভিন্ন পদ মর্যাদার ৬১জন কর্মকর্তাসহ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে যারা এখনো পলাতক আছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
মামলা, গ্রেপ্তার ও বাধ্যতামূলক অবসর ও সংযুক্ত রাখা সৎ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢালাও মিথ্যা অপপ্রচারসহ নানা কারনে এখনো পুলিশ বাহিনীতে হতাশা বিরাজ করছে। তবে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, পুলিশের মনোবল চাঙ্গা করতে পুলিশ সদর দপ্তর কাজ করছেন। পুলিশের মনোবল আগের চেয়ে চাঙ্গা হচ্ছে। পুলিশের চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশ পেশাদারিত্বের মনোভাব নিয়ে কাজ করছেন বলে মিডিয়া শাখা থেকে জানিয়েছেন।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা মন্তব্য করে বলেন, আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা হারুনসহ প্রায় ৫০জন পুলিশ কর্মকর্তার অপকর্মের খেসারত দিচ্ছে পুরো পুলিশ বাহিনী। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সাবেক ডিবি হারুন ও বিপ্লবসহ অতি উৎসাহী তেলবাজ পুলিশ কর্মকর্তারা দায়ী।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানা গেছে, ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর সারাদেশে পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ও আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই সব মামলায় ভিডিও ফুটেজ দেখে পুলিশ কর্মকর্তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে। বুধবার,(০৯ জুলাই ২০২৫) পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৪শ পুলিশের বিরুদ্বে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই সব মামলায় আইজিপি, ডিআইজি,
অতিরিক্ত ডিআইজি থেকে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার মোট ৬১জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান। আবার অনেকের বিরুদ্ধে মামলা তদন্ত পর্যায়ে আছে।
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে ৫১জন পুলিশ কর্মকর্তাকে। এরমধ্যে এসবি প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম। সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান,রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুরের সাবেক পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান, সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলীও রয়েছে।
ওএসডি করে রাখা হয়েছে ৮২জন পুলিশ কর্মকর্তা, বিভিন্ন রেঞ্জে সংযুক্ত রাখা হয়েছে ৯২জন কর্মকর্তা। আবার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়া ও তার সরকারের পতনের পর অনেক তেলবাজ ও দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তা পালিয়ে গেছেন। অনেকেই সংযুক্ত অবস্থায় গাডাকা দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বর্তমানে পুলিশের আইজিপি সারাদেশের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মরত কর্মকর্তা ও সদস্যদের মনোবল চাঙ্গা করতে কাজ করছেন। পুলিশকে পেশাদারিত্বের মনোভাব নিয়ে কাজ করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে মাঠ পর্যায়ে পুলিশের তৎপরতা বেড়েছে। তারা অপরাধ দমনে কাজ করছেন।
অপর একজন কর্মকর্তা বলেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য পুলিশ কর্মকর্তারা বিভাগ থেকে থানা পর্যন্ত সর্বক্ষণ নজরদারি করছেন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় থানার কার্যক্রম ঢেলে সাজানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরপরও অনেক পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য ঠিক মত কাজ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সংবাদকে বলেন, পুলিশের এখন যারা কর্মরত আছেন, তাদের মধ্যে সৎ পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে একটি চক্র নানা ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যে কারনে ভালো অফিসাররা কাজ করতে পারছে না বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন। আবার অনেকেই এখনো দলবাজি করছে। একজন আরেক জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপ্রচার চালাচ্ছেন। এতে কাজের গতি কমে যায়। দেখা দেয় হতাশা।
অভিযোগ রয়েছে, আলোচিত পলাতক পুলিশ কর্মকর্তা হারুনসহ অনেকেই এখনো ধরাছোয়ার বাইরে রয়ে গেছে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনলে পুলিশ রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের নানা কাহিনী বেরিয়ে আসবে।
সম্প্রতি পুলিশের একটি অনুষ্ঠানে পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, পুলিশ রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান। অপরাধ দমন,তদন্ত,জননিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা, বিচার ব্যবস্থার সহায়ক শক্তি হিসেবে পুলিশের ভূমিকা অপরিসীম। তবে দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণ বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি বিক্ষুদ্ধ।
প্রকৃত অর্থে পুলিশের প্রতি অসন্তোষ, অবিশ্বাস, ভয় বা ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে। এর পেছনে পুলিশ বাহিনীর পুরনো কাঠামো, ব্রিটিশ আমলের আইন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব, অযাচিত রাজনৈতিক প্রভাব, পক্ষপাত মূলক নিষ্ঠুর, অসম্মান জনক, সহিংস, অমানবিক আচরণ , দুনীতি, কাউণ্টার কিলিংসহ ইত্যাদি। এই ধরনের পুলিশি আচরণ ও কর্মকান্ড স্বাধীন দেশের জন্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
পুলিশ বাহিনীর রাজনীতিকীকরণের কারনে জনগণের মাঝে পুলিশের প্রতি আস্থার সংকট তৈরী করছে। তাই পুলিশ সংস্কার আইনে পুলিশের প্রতি জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন ফিরিয়ে আনা এখন জরুরী। পুলিশকে একটি জনমুখী সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এই জন্য সদস্যদের আমূল মানসিক পরিবর্তন জরুরি।
আধুনিক অপরাধ দমনে ১৮৬১ সালের পুলিশ আইন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। আধুনিক অপরাধ মোকাবেলায় এই আইন অচল। এই আইনে অপরাধ প্রতিরোধের চেয়ে নিয়ন্ত্রণের দিকে জোর দেয়া হয়েছে বেশী।
পুলিশ বাহিনীকে জনগণের সেবক নয় বরং ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ সৃষ্টি করছে। তাই পুলিশের সংস্কার ও স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করে পুলিশ বাহিনীর কাজের ওপর নিরপেক্ষ ভাবে নজরদারি নিশ্চিত করায় গুরুত্ব দেয়া দরকার।
এ নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মিডিয়া ইনামুল হক সাগর সংবাদকে জানান, পুলিশ সদস্যরা বর্তমানে আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। তারা সাহস ও মনোবল অটুট রেখে দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভবিষ্যতে আইনানুগ দায়িত্ব পালনে পুলিশ সচেষ্ট থাকবে। তবে আমরা জনগণের সহযোগীতা চাই। পুলিশকে পেশাগত দায়িত্ব পালনে জনগণ সহযোগিতা করবে বলে বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন।