রংপুর সিটি করপোরেশনে (রসিক) দীর্ঘ সাত বছর আগে চাকরিচ্যুত ২৫ জন অস্থায়ী কর্মচারীকে ‘অসাধারণ ছুটি’ প্রাপ্ত দেখিয়ে গোপনে পুনঃনিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে নগরীতে তোলপাড় শুরু হয়।
দুটি স্মারকে এক বছরের জন্য নিয়োগের কথা বলা হলেও বাস্তবে তাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখায় কর্মকর্তা, অফিস সহকারী, ট্যাক্সেশন কর্মকর্তা ইত্যাদি পদে মাসিক ৯ হাজার থেকে ১৭ হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে বিভিন্ন মহল।
সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত দুটি আলাদা পত্রের মাধ্যমে ২৫ জনকে গোপনে নিয়োগ দেয়া হয়। এর মধ্যে স্মারক নম্বর ৮৫২, তারিখ ১১.০৩.২৫-এ ১৩ জনকে কর আদায় শাখা, ট্রেড লাইসেন্স শাখা ও প্রকৌশল বিভাগে নিয়োগ প্রদান করা হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, উক্ত কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতির সময়কালকে ‘অসাধারণ ছুটি’ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং প্রত্যেক কর্মচারীকে আদালতে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে আগের মতো অঙ্গীকারনামা দিয়ে চাকরিতে যোগদান করতে হবে।
অন্য স্মারক নম্বর ৮৫৫, তারিখ ১১.০৩.২৫-এ আরও ৮ জনকে ট্যাক্সেশন কর্মকর্তা, অফিস সহকারী, মোটর মেকানিক, জনসংযোগ সহকারী, কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও পরিচ্ছন্নতাকারী সুপারভাইজার পদে নিয়োগ দেয়া হয়। তাদের বেতন ৮ হাজার থেকে ১৭ হাজার টাকার মধ্যে নির্ধারিত হয়।
সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রয়াত মেয়র শরফ উদ্দিন আহমেদ ঝন্টু ৭ বছর আগে দলীয়ভাবে অস্থায়ী ভিত্তিতে ৩১ জনকে নিয়োগ দেন। পরে তাদের নিয়োগ নবায়ন না হওয়ায় চাকরি চলে যায় এবং তারা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন, যা এখনও চলমান। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে নিয়োগ আইনপরিপন্থী বলে কর্মকর্তারা মত দেন। পরে জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মেয়র হন এবং দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার পতনের পর সারাদেশের মতো রংপুরেও মেয়র ও কাউন্সিলরদের দায়িত্ব বাতিল হয় এবং প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম দায়িত্ব নিয়ে ২৫ জনকে পুনঃনিয়োগ দেন, বাদ দেন দলীয়ভাবে সংযুক্ত ৬ জনকে। নিয়োগ গোপন রাখতে প্রয়োজনীয় অফিস আদেশ গোপন রাখা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘উচ্চ আদালতে মামলা চলমান থাকায় নিয়োগ দেয়া বেআইনি। মামলাও প্রত্যাহার হয়নি, তাহলে কোন আইনে নিয়োগ দেয়া হলো?; তিনি আরও বলেন, ‘রসিকে এখন তুঘলকি কায়দায় কাজ চলছে।’
অন্যদিকে প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী ৫ জনকে বাদ দিয়ে ২৫ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল।’ মামলা চলমান থাকা অবস্থায় নিয়োগ দেয়া নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আগের মেয়রও তো একই সময়ে নিয়োগ দিয়েছিলেন। আমি সঠিক কাজই করেছি।’
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
রংপুর সিটি করপোরেশনে (রসিক) দীর্ঘ সাত বছর আগে চাকরিচ্যুত ২৫ জন অস্থায়ী কর্মচারীকে ‘অসাধারণ ছুটি’ প্রাপ্ত দেখিয়ে গোপনে পুনঃনিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে নগরীতে তোলপাড় শুরু হয়।
দুটি স্মারকে এক বছরের জন্য নিয়োগের কথা বলা হলেও বাস্তবে তাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখায় কর্মকর্তা, অফিস সহকারী, ট্যাক্সেশন কর্মকর্তা ইত্যাদি পদে মাসিক ৯ হাজার থেকে ১৭ হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে বিভিন্ন মহল।
সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত দুটি আলাদা পত্রের মাধ্যমে ২৫ জনকে গোপনে নিয়োগ দেয়া হয়। এর মধ্যে স্মারক নম্বর ৮৫২, তারিখ ১১.০৩.২৫-এ ১৩ জনকে কর আদায় শাখা, ট্রেড লাইসেন্স শাখা ও প্রকৌশল বিভাগে নিয়োগ প্রদান করা হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, উক্ত কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতির সময়কালকে ‘অসাধারণ ছুটি’ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং প্রত্যেক কর্মচারীকে আদালতে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে আগের মতো অঙ্গীকারনামা দিয়ে চাকরিতে যোগদান করতে হবে।
অন্য স্মারক নম্বর ৮৫৫, তারিখ ১১.০৩.২৫-এ আরও ৮ জনকে ট্যাক্সেশন কর্মকর্তা, অফিস সহকারী, মোটর মেকানিক, জনসংযোগ সহকারী, কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও পরিচ্ছন্নতাকারী সুপারভাইজার পদে নিয়োগ দেয়া হয়। তাদের বেতন ৮ হাজার থেকে ১৭ হাজার টাকার মধ্যে নির্ধারিত হয়।
সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রয়াত মেয়র শরফ উদ্দিন আহমেদ ঝন্টু ৭ বছর আগে দলীয়ভাবে অস্থায়ী ভিত্তিতে ৩১ জনকে নিয়োগ দেন। পরে তাদের নিয়োগ নবায়ন না হওয়ায় চাকরি চলে যায় এবং তারা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন, যা এখনও চলমান। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে নিয়োগ আইনপরিপন্থী বলে কর্মকর্তারা মত দেন। পরে জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মেয়র হন এবং দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার পতনের পর সারাদেশের মতো রংপুরেও মেয়র ও কাউন্সিলরদের দায়িত্ব বাতিল হয় এবং প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম দায়িত্ব নিয়ে ২৫ জনকে পুনঃনিয়োগ দেন, বাদ দেন দলীয়ভাবে সংযুক্ত ৬ জনকে। নিয়োগ গোপন রাখতে প্রয়োজনীয় অফিস আদেশ গোপন রাখা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘উচ্চ আদালতে মামলা চলমান থাকায় নিয়োগ দেয়া বেআইনি। মামলাও প্রত্যাহার হয়নি, তাহলে কোন আইনে নিয়োগ দেয়া হলো?; তিনি আরও বলেন, ‘রসিকে এখন তুঘলকি কায়দায় কাজ চলছে।’
অন্যদিকে প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী ৫ জনকে বাদ দিয়ে ২৫ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল।’ মামলা চলমান থাকা অবস্থায় নিয়োগ দেয়া নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আগের মেয়রও তো একই সময়ে নিয়োগ দিয়েছিলেন। আমি সঠিক কাজই করেছি।’