যুবদল কর্মী আরিফ সিকদারকে হত্যার ঘটনায় রাজধানীর হাতিরঝিল থানার মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। ঢাকার মহানগর হাকিম আবদুল ওয়াহাব বুধবার,(০৯ জুলাই ২০২৫) শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম গত ২৫ জুন সুব্রত বাইনকে ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেন। সেই শুনানির জন্য বুধবার সুব্রত বাইনকে আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আজিজুল হক দিদার রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত ২৩ জন সন্ত্রাসীর মধ্যে একজন সুব্রত বাইন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
সুব্রত বাইনের পক্ষে তার আইনজীবী মোহাম্মদ বাদল মিয়া রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিন আবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘মামলার এজাহারে আসামি ১০ জন। তিনজনের বয়স ৪০ এবং এর বেশি। বাকিদের বয়স ১৯ বছর। এক নম্বর, দুই নম্বর আসামি কী করেছেন এজাহারে তার বর্ণনা আছে। মামলার সঙ্গে তার (সুব্রত বাইন) কোনো সম্পর্ক নাই। কেন তাকে এ মামলায় আনলেন?’
এ আইনজীবী বলেন, ‘২০০১ সালের টপ টেরর লিস্ট করবেন। আমরা বাংলাদেশের মানুষ, জানি কোথায় গল্প স্টার্ট হয় আর কোথায় শেষ হয়। কী কারণে মামলায় এলো? সন্দেহের কারণে এ মামলায় এলো।’ এরপর বিচারক তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, কী কারণে তার নাম এলো? তখন তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘মিরাজের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ইফতি এবং রনির নাম আসে। রনির কাছ থেকে ইফতি অস্ত্র নিয়ে ব্যবহার করে আবার তা ফেরত দিয়ে যায়। এ আসামি তাদের সহযোগী।’
সুব্রত বাইনের আইনজীবী বলেন, ‘আড়াই বছর আয়নাঘরে থেকে ৫ আগস্টের পর বের হয়। এর আগে ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় (ভারত) ফেরত দেয়। অন্য আসামিদের সঙ্গে দূর সম্পর্ক পর্যন্ত নাই। তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের প্রার্থনা করছি। প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।’ শুনানি শেষে আদালত সুব্রত বাইনকে ৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন বলে প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই মোকছেদুল ইসলাম জানান।
গত ২৭ মে সুব্রত বাইন এবং তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ চারজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। পরদিন হাতিরঝিল থানার অস্ত্র আইনের মামলায় সুব্রত বাইনের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। গত ৫ জুন রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর আরিফ হত্যার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হয়। মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল রাতে হাতিরঝিল থানাধীন নয়াটোলা মোড়ল গলির ‘দি ঝিল ক্যাফে’র সামনে যুবদল কর্মী আরিফ সিকদারকে গুলি করা হয়। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২১ এপ্রিল তিনি মারা যান। ওই ঘটনায় আরিফের বোন রিমা আক্তার বাদী হয়ে সুব্রত বাইনের সহযোগী মাহফুজুর রহমান বিপুসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
যুবদল কর্মী আরিফ সিকদারকে হত্যার ঘটনায় রাজধানীর হাতিরঝিল থানার মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। ঢাকার মহানগর হাকিম আবদুল ওয়াহাব বুধবার,(০৯ জুলাই ২০২৫) শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম গত ২৫ জুন সুব্রত বাইনকে ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেন। সেই শুনানির জন্য বুধবার সুব্রত বাইনকে আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আজিজুল হক দিদার রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত ২৩ জন সন্ত্রাসীর মধ্যে একজন সুব্রত বাইন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
সুব্রত বাইনের পক্ষে তার আইনজীবী মোহাম্মদ বাদল মিয়া রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিন আবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘মামলার এজাহারে আসামি ১০ জন। তিনজনের বয়স ৪০ এবং এর বেশি। বাকিদের বয়স ১৯ বছর। এক নম্বর, দুই নম্বর আসামি কী করেছেন এজাহারে তার বর্ণনা আছে। মামলার সঙ্গে তার (সুব্রত বাইন) কোনো সম্পর্ক নাই। কেন তাকে এ মামলায় আনলেন?’
এ আইনজীবী বলেন, ‘২০০১ সালের টপ টেরর লিস্ট করবেন। আমরা বাংলাদেশের মানুষ, জানি কোথায় গল্প স্টার্ট হয় আর কোথায় শেষ হয়। কী কারণে মামলায় এলো? সন্দেহের কারণে এ মামলায় এলো।’ এরপর বিচারক তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, কী কারণে তার নাম এলো? তখন তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘মিরাজের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ইফতি এবং রনির নাম আসে। রনির কাছ থেকে ইফতি অস্ত্র নিয়ে ব্যবহার করে আবার তা ফেরত দিয়ে যায়। এ আসামি তাদের সহযোগী।’
সুব্রত বাইনের আইনজীবী বলেন, ‘আড়াই বছর আয়নাঘরে থেকে ৫ আগস্টের পর বের হয়। এর আগে ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় (ভারত) ফেরত দেয়। অন্য আসামিদের সঙ্গে দূর সম্পর্ক পর্যন্ত নাই। তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের প্রার্থনা করছি। প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।’ শুনানি শেষে আদালত সুব্রত বাইনকে ৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন বলে প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই মোকছেদুল ইসলাম জানান।
গত ২৭ মে সুব্রত বাইন এবং তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ চারজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। পরদিন হাতিরঝিল থানার অস্ত্র আইনের মামলায় সুব্রত বাইনের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। গত ৫ জুন রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর আরিফ হত্যার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হয়। মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল রাতে হাতিরঝিল থানাধীন নয়াটোলা মোড়ল গলির ‘দি ঝিল ক্যাফে’র সামনে যুবদল কর্মী আরিফ সিকদারকে গুলি করা হয়। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২১ এপ্রিল তিনি মারা যান। ওই ঘটনায় আরিফের বোন রিমা আক্তার বাদী হয়ে সুব্রত বাইনের সহযোগী মাহফুজুর রহমান বিপুসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।