বাংলাদেশের দুই তরুণ ভালো চাকরির আশায় দালালের মাধ্যমে দুইবছর আগে পাড়ি জমিয়েছিলেন লিবিয়ায়। সেখানে যাওয়ার পর কাজের সন্ধান তো দূরের কথা ‘মাফিয়া চক্রের’ হাতে বন্দির পরে নির্যাতনের শিকার হয়ে ‘প্রাণ হারাতে বসেন’ তারা। ব্র্যাক ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘ট্রাফিকিং ইন পারসনস অফিস ও ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস মিশনের’ সহায়তায় উদ্ধার হওয়া সেই দুই তরুণ অবশেষে দেশে ফিরেছেন।
ঝিনাইদহের মতিউর রহমান সাগর ও কুষ্টিয়ার তানজির শেখ বুধবার,(০৯ জুলাই ২০২৫) সকাল সাড়ে ৭টায় বুরাক এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এদিন ১৬২ জন বাংলাদেশি লিবিয়া থেকে ফিরেছেন, যারা বিভিন্ন কারণে দেশটিতে আটকা পড়েছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে ব্র্যাক জানিয়েছে, ২০২৩ সালে গ্রামের দালালের খপ্পড়ে পড়ে সাগর ও তানজির ৪ লাখ টাকা খরচ করে দেশ ছাড়েন লিবিয়ার উদ্দেশে। লিবিয়ায় ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তাদেরকে। ‘সেখানে কোনো কাজের সন্ধান পাওয়া যায়নি। বরং ইতালিতে পাঠানোর কথা বলে লিবিয়ায় পাচারকারীরা তাদের বিক্রি করে দেয় এক মাফিয়া চক্রের হাতে। ৮০ জন বাংলাদেশির সঙ্গে তাদেরও অন্ধকার একটি ঘরে আটকে রাখে তারা। বাড়ি থেকে টাকা আদায়ের জন্য আটক ব্যক্তিদের লোহার রড, লাঠি দিয়ে মারধর করে এবং বৈদ্যুতিক শক দিয়ে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়।’
ব্র্যাক বিজ্ঞপ্তিতে বলছে, একসময় সাগর ও তানজিরের শারীরিক অবস্থা বেশি খারাপ হলে তাদের ফেলে রেখে চলে যায় চক্রের সদস্যরা। তখন এই দুই তরুণ লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির এক আত্মীয়ের বাসায় পৌঁছায়। এরপর সাগর ও তানজিরের খোঁজ পেতে সহায়তার জন্য ব্র্যাকের কাছে তাদের পরিবারে আবেদন করে। ওই আবেদনের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘ট্রাফিকিং ইন পারসনস অফিস ও ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস মিশন’ সাড়া দেয়। তাদের নেতৃত্ব ও তদারকিতে আইওএম হেডকোয়ার্টারের মাধ্যমে লিবিয়ায় আইওএমের সহায়তায় এই দুই তরুণকে উদ্ধার করে সেইফ হোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সব জটিলতা ও আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে বুধবার তারা ফেরেন।
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশের দুই তরুণ ভালো চাকরির আশায় দালালের মাধ্যমে দুইবছর আগে পাড়ি জমিয়েছিলেন লিবিয়ায়। সেখানে যাওয়ার পর কাজের সন্ধান তো দূরের কথা ‘মাফিয়া চক্রের’ হাতে বন্দির পরে নির্যাতনের শিকার হয়ে ‘প্রাণ হারাতে বসেন’ তারা। ব্র্যাক ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘ট্রাফিকিং ইন পারসনস অফিস ও ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস মিশনের’ সহায়তায় উদ্ধার হওয়া সেই দুই তরুণ অবশেষে দেশে ফিরেছেন।
ঝিনাইদহের মতিউর রহমান সাগর ও কুষ্টিয়ার তানজির শেখ বুধবার,(০৯ জুলাই ২০২৫) সকাল সাড়ে ৭টায় বুরাক এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এদিন ১৬২ জন বাংলাদেশি লিবিয়া থেকে ফিরেছেন, যারা বিভিন্ন কারণে দেশটিতে আটকা পড়েছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে ব্র্যাক জানিয়েছে, ২০২৩ সালে গ্রামের দালালের খপ্পড়ে পড়ে সাগর ও তানজির ৪ লাখ টাকা খরচ করে দেশ ছাড়েন লিবিয়ার উদ্দেশে। লিবিয়ায় ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তাদেরকে। ‘সেখানে কোনো কাজের সন্ধান পাওয়া যায়নি। বরং ইতালিতে পাঠানোর কথা বলে লিবিয়ায় পাচারকারীরা তাদের বিক্রি করে দেয় এক মাফিয়া চক্রের হাতে। ৮০ জন বাংলাদেশির সঙ্গে তাদেরও অন্ধকার একটি ঘরে আটকে রাখে তারা। বাড়ি থেকে টাকা আদায়ের জন্য আটক ব্যক্তিদের লোহার রড, লাঠি দিয়ে মারধর করে এবং বৈদ্যুতিক শক দিয়ে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়।’
ব্র্যাক বিজ্ঞপ্তিতে বলছে, একসময় সাগর ও তানজিরের শারীরিক অবস্থা বেশি খারাপ হলে তাদের ফেলে রেখে চলে যায় চক্রের সদস্যরা। তখন এই দুই তরুণ লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির এক আত্মীয়ের বাসায় পৌঁছায়। এরপর সাগর ও তানজিরের খোঁজ পেতে সহায়তার জন্য ব্র্যাকের কাছে তাদের পরিবারে আবেদন করে। ওই আবেদনের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘ট্রাফিকিং ইন পারসনস অফিস ও ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস মিশন’ সাড়া দেয়। তাদের নেতৃত্ব ও তদারকিতে আইওএম হেডকোয়ার্টারের মাধ্যমে লিবিয়ায় আইওএমের সহায়তায় এই দুই তরুণকে উদ্ধার করে সেইফ হোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সব জটিলতা ও আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে বুধবার তারা ফেরেন।