জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) রদবদল করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ রদবদল লটারির মাধ্যমে করা যায় কি না, সেটিও ভেবে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি, যাতে এসব নিয়োগে কারও প্রভাব খাটানো না যায়।
বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। পরে রাত আটটায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ–প্রেস সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সাংবাদিকদের সামনে বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন।
প্রেস সচিব জানান, নির্বাচন ফেব্রুয়ারি কিংবা এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এজন্য নির্বাচন ঘিরে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এখন থেকেই প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাত দিনের মোতায়েন, নতুন ভোটারদের প্রশিক্ষণ এবং জেলা প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের রদবদল রয়েছে।
বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৭ হাজার নতুন পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্য নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের কথা জানানো হয়। ডিসেম্বরের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আট লাখ সদস্য মাঠে থাকবে এবং এদের সবাইকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এছাড়া, তরুণ ভোটারদের গুরুত্ব দিয়ে তাদের জন্য পৃথক ভোটার তালিকা ও আলাদা বুথের চিন্তা করা হচ্ছে। ১৮ থেকে ৩৩ বছর বয়সীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং পূর্ববর্তী নির্বাচনে যারা ভোট দিতে পারেননি, তাদের অধিকার নিশ্চিত করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, নির্বাচনের দিন সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে থানাভিত্তিক পুলিশ বদলি করা, মব সহিংসতা দমনে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়া এবং অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) রদবদল করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ রদবদল লটারির মাধ্যমে করা যায় কি না, সেটিও ভেবে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি, যাতে এসব নিয়োগে কারও প্রভাব খাটানো না যায়।
বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। পরে রাত আটটায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ–প্রেস সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সাংবাদিকদের সামনে বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন।
প্রেস সচিব জানান, নির্বাচন ফেব্রুয়ারি কিংবা এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এজন্য নির্বাচন ঘিরে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এখন থেকেই প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাত দিনের মোতায়েন, নতুন ভোটারদের প্রশিক্ষণ এবং জেলা প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের রদবদল রয়েছে।
বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৭ হাজার নতুন পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্য নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের কথা জানানো হয়। ডিসেম্বরের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আট লাখ সদস্য মাঠে থাকবে এবং এদের সবাইকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এছাড়া, তরুণ ভোটারদের গুরুত্ব দিয়ে তাদের জন্য পৃথক ভোটার তালিকা ও আলাদা বুথের চিন্তা করা হচ্ছে। ১৮ থেকে ৩৩ বছর বয়সীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং পূর্ববর্তী নির্বাচনে যারা ভোট দিতে পারেননি, তাদের অধিকার নিশ্চিত করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, নির্বাচনের দিন সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে থানাভিত্তিক পুলিশ বদলি করা, মব সহিংসতা দমনে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়া এবং অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।