আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ফাইল ছবি
জুলাই মাসে সংগঠিত গণ-অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমন করতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশের যে অডিও রেকর্ড প্রকাশ করেছে বিবিসি, সেটিকে ‘ট্রেলারমাত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
বুধবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে বিবিসির প্রতিবেদনটি শেয়ার করে তিনি লেখেন, “মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। নিজের চোখেই দেখে নিন। এই কল রেকর্ড উদ্ধার করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা। এটা ট্রেলারমাত্র। অনেক কিছু এখনো বাকি। অপেক্ষায় থাকুন।”
এদিকে সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠানো ভিডিও বার্তায় প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম জানান, জুলাইয়ের গণ-আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তে শেখ হাসিনার একাধিক অডিও রেকর্ড জব্দ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সেসব রেকর্ড ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য প্রেরণ করা হয় এবং সেগুলোর সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর তদন্ত প্রতিবেদনসহ অডিও রেকর্ড প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রসিকিউটর মোনাওয়ার বলেন, “ফরেনসিক রিপোর্টে দেখা যায়, শেখ হাসিনা আন্দোলনের সময় লেথাল উইপন (মারণাস্ত্র) ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ প্রদান করেছিলেন। বিবিসিও অনুসন্ধানের মাধ্যমে এই অডিওর সত্যতা পেয়েছে এবং নিশ্চিত করেছে যে রেকর্ডটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কণ্ঠে।”
তিনি আরও জানান, বিবিসির এ প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন নির্ধারিত রয়েছে বৃহস্পতিবার।
প্রসিকিউটর মোনাওয়ার বলেন, “যদি অভিযোগ গঠনের আদেশ হয়, তাহলে শেখ হাসিনার এই অডিও রেকর্ডটি সাক্ষ্য হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।”
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ফাইল ছবি
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
জুলাই মাসে সংগঠিত গণ-অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমন করতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশের যে অডিও রেকর্ড প্রকাশ করেছে বিবিসি, সেটিকে ‘ট্রেলারমাত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
বুধবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে বিবিসির প্রতিবেদনটি শেয়ার করে তিনি লেখেন, “মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। নিজের চোখেই দেখে নিন। এই কল রেকর্ড উদ্ধার করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা। এটা ট্রেলারমাত্র। অনেক কিছু এখনো বাকি। অপেক্ষায় থাকুন।”
এদিকে সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠানো ভিডিও বার্তায় প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম জানান, জুলাইয়ের গণ-আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তে শেখ হাসিনার একাধিক অডিও রেকর্ড জব্দ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সেসব রেকর্ড ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য প্রেরণ করা হয় এবং সেগুলোর সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর তদন্ত প্রতিবেদনসহ অডিও রেকর্ড প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রসিকিউটর মোনাওয়ার বলেন, “ফরেনসিক রিপোর্টে দেখা যায়, শেখ হাসিনা আন্দোলনের সময় লেথাল উইপন (মারণাস্ত্র) ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ প্রদান করেছিলেন। বিবিসিও অনুসন্ধানের মাধ্যমে এই অডিওর সত্যতা পেয়েছে এবং নিশ্চিত করেছে যে রেকর্ডটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কণ্ঠে।”
তিনি আরও জানান, বিবিসির এ প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন নির্ধারিত রয়েছে বৃহস্পতিবার।
প্রসিকিউটর মোনাওয়ার বলেন, “যদি অভিযোগ গঠনের আদেশ হয়, তাহলে শেখ হাসিনার এই অডিও রেকর্ডটি সাক্ষ্য হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।”