এসএসসি পরীক্ষার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রাজধানীর আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থীরা -সোহরাব আলম
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলে ছন্দপতন ঘটেছে। এবার এই পরীক্ষায় পাস করেছে ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। এটি গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। মোট ১৯ লাখ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছয় লাখের বেশি শিক্ষার্থী ফেল বা অকৃতকার্য হয়েছে।
কাউকে অতিরিক্ত নম্বর দেয়া হয়নি: আন্তঃবোর্ড চেয়ারম্যান
শুক্রবার থেকে ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন
এবার কাউকে কোনো গ্রেস মার্কস বা অতিরিক্ত নম্বর দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির।
গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে ১৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ শতাংশ। গত বছর মাধ্যমিকের এই পরীক্ষায় পাস করেছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ শিক্ষার্থী।
এবার এই পরীক্ষায় মোট এক লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন সর্বোচ্চ স্কোর অর্থাৎ জিপিএ-৫ (গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ) পেয়েছে, যা মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
গত বছর এই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। এই হিসেবে এবার পূর্ণাঙ্গ জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৪৩ হাজার ৯৭ জন।
২০১০ সালের পর এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার সবচেয়ে কম। ওই বছর পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ১৯ শতাংশ। ২০২১ সালে রেকর্ড ৯৩ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পাস করে। এর আগে ২০১৮ সালে এই পরীক্ষায় পাসের হার ছিল সবচেয়ে কম ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ।
গণঅভ্যুত্থানের পর এবারের এসএসসি ও সমমানই ছিল দেশের প্রথম পাবলিক পরীক্ষা। তাতে অংশ
নিয়েছিল ১৯ লাখ চার হাজার ৮৬ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে ১৩ লাখ তিন হাজার ৪২৬ জন। এই হিসেবে ছয় লাখ ৬৬০ জন শিক্ষার্থী ফেল বা অকৃতকার্য হয়েছে।
বৃহস্পতিবার,(১০ জুলাই ২০২৫) দুপুর ২টায় একযোগে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে ৯টি সাধারণ শিক্ষা এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট ও মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারছে।
অন্যান্য বছরের মতো এবার ফল প্রকাশের আগে সরকার প্রধানের হাতে পরিসংখ্যান তুলে দেয়ার অনুষ্ঠানিকতা এবার ছিল না।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন শিক্ষা বোর্ডগুলোর মোর্চা আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির।
গ্রেস মার্কস দেয়া হয়নি:
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবার কাউকে কোনো গ্রেস মার্কস বা অতিরিক্ত নম্বর প্রদান করা হয়নি বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির।
তিনি বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকা বোর্ডে ফলের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা যে ফল প্রকাশ করেছি, সেটি সম্পূর্ণভাবে প্রকৃত ফল। পরীক্ষায় কোনো ধরনের অতিরিক্ত নম্বর বা গ্রেস মার্কস দেয়ার প্রক্রিয়া চলতি বছর অনুসরণ করা হয়নি।’
এক প্রশ্নের জবাবে এহসানুল কবির বলেন, ‘এবার আমাদের ওপর মহল থেকে কোনো ধরনের চাপ ছিল না। আমাদের বলা হয়েছিল যে রেজাল্ট হবে, সেটিই দিতে হবে। আমরাও পরীক্ষকদের এ অনুরোধ জানিয়েছি। তাদের যথার্থভাবে খাতা মূল্যায়ন করার জন্য বলা হয়েছে।’
বিশেষ কোনো নির্দেশনা ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা খাতায় যা লিখেছে, সে অনুসারে নম্বর পেয়েছে। শিক্ষার্থীদের খাতার প্রাপ্ত নম্বরই যথাযথভাবে বোর্ড কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। কোনো নির্দিষ্ট নম্বর পাওয়ার পর বিশেষ নম্বর দিয়ে ভালো গ্রেড করে দেয়া হয়নি। ফল তৈরিতে কোনো উদারনীতিও অবলম্বন করা হয়নি বলেও জানান ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান।
মেধার ‘প্রকৃত মূল্যায়ন’ নিশ্চিত করতে শতভাগ প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে মন্তব্য করে এহসানুল কবির বলেন, ‘পরীক্ষকদেরও সেভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। ফলে এ ফলই প্রকৃত ও সত্য। এ নিয়ে সন্দেহ-সংশয় বা ক্ষোভের কোনো সুযোগ নেই।’
পাসের হার কমার পেছনে বোর্ডের কোনো ‘হাত’ নেই জানিয়ে বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিগত বছরে কী হয়েছে, কীভাবে ফল তৈরি করা হয়েছে; তা আমরা বলবো না। এখন যে ফল আমরা দিয়েছি সেটিই প্রকৃত। উত্তরপত্র যথাযথভাবে মূল্যায়নের পর যা এসেছে, সেটি উপস্থাপন করা হয়েছে।’
চলতি বছর যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে তারা ২০১২ সালে প্রণীত শিক্ষাক্রমে নবম ও দশম শ্রেণীতে পড়েছিল। এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস, সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে নেয়া হয়েছে।
আজ থেকে ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলে কোনো পরীক্ষার্থী অসন্তুষ্ট হলে তা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবে। আজ থেকে ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন শুরু হয়ে তা আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
টেলিটক জানিয়েছে, শুধু টেলিটকের মাধ্যমে ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে। এ আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে জঝঈ লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে, স্পেস দিয়ে যে বিষয়ের ফল পুনঃনিরীক্ষণ করতে চান তার বিষয় কোড লিখতে হবে। যদি একাধিক বিষয়ের ফল পুনঃনিরীক্ষণ করতে চান সে ক্ষেত্রে কমা দিয়ে বিষয়কোড লিখে তা ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। প্রতি পত্রের জন্য আবেদন ফি হবে ১৫০ টাকা।
যেভাবে মিলছে ফল:
রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে যে কোনো মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে ঝঝঈ লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে তা ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
উদাহারণ : SSC
দাখিলের ফল পেতে উধশযরষ লিখে স্পেস দিয়ে গধফ লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৫ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
কারিগরি বোর্ডের ক্ষেত্রে ঝঝঈ লিখে স্পেস দিয়ে ঞবপ লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৫ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফল পাওয়া যাবে।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইট http://www.edu cationboardresults.gov.bd এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল মিলবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি জানিয়েছে, ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ইনপুট দিয়ে ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে।
এসএসসি পরীক্ষার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রাজধানীর আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থীরা -সোহরাব আলম
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলে ছন্দপতন ঘটেছে। এবার এই পরীক্ষায় পাস করেছে ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। এটি গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। মোট ১৯ লাখ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছয় লাখের বেশি শিক্ষার্থী ফেল বা অকৃতকার্য হয়েছে।
কাউকে অতিরিক্ত নম্বর দেয়া হয়নি: আন্তঃবোর্ড চেয়ারম্যান
শুক্রবার থেকে ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন
এবার কাউকে কোনো গ্রেস মার্কস বা অতিরিক্ত নম্বর দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির।
গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে ১৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ শতাংশ। গত বছর মাধ্যমিকের এই পরীক্ষায় পাস করেছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ শিক্ষার্থী।
এবার এই পরীক্ষায় মোট এক লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন সর্বোচ্চ স্কোর অর্থাৎ জিপিএ-৫ (গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ) পেয়েছে, যা মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
গত বছর এই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। এই হিসেবে এবার পূর্ণাঙ্গ জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৪৩ হাজার ৯৭ জন।
২০১০ সালের পর এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার সবচেয়ে কম। ওই বছর পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ১৯ শতাংশ। ২০২১ সালে রেকর্ড ৯৩ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পাস করে। এর আগে ২০১৮ সালে এই পরীক্ষায় পাসের হার ছিল সবচেয়ে কম ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ।
গণঅভ্যুত্থানের পর এবারের এসএসসি ও সমমানই ছিল দেশের প্রথম পাবলিক পরীক্ষা। তাতে অংশ
নিয়েছিল ১৯ লাখ চার হাজার ৮৬ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে ১৩ লাখ তিন হাজার ৪২৬ জন। এই হিসেবে ছয় লাখ ৬৬০ জন শিক্ষার্থী ফেল বা অকৃতকার্য হয়েছে।
বৃহস্পতিবার,(১০ জুলাই ২০২৫) দুপুর ২টায় একযোগে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে ৯টি সাধারণ শিক্ষা এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট ও মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারছে।
অন্যান্য বছরের মতো এবার ফল প্রকাশের আগে সরকার প্রধানের হাতে পরিসংখ্যান তুলে দেয়ার অনুষ্ঠানিকতা এবার ছিল না।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন শিক্ষা বোর্ডগুলোর মোর্চা আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির।
গ্রেস মার্কস দেয়া হয়নি:
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবার কাউকে কোনো গ্রেস মার্কস বা অতিরিক্ত নম্বর প্রদান করা হয়নি বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির।
তিনি বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকা বোর্ডে ফলের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা যে ফল প্রকাশ করেছি, সেটি সম্পূর্ণভাবে প্রকৃত ফল। পরীক্ষায় কোনো ধরনের অতিরিক্ত নম্বর বা গ্রেস মার্কস দেয়ার প্রক্রিয়া চলতি বছর অনুসরণ করা হয়নি।’
এক প্রশ্নের জবাবে এহসানুল কবির বলেন, ‘এবার আমাদের ওপর মহল থেকে কোনো ধরনের চাপ ছিল না। আমাদের বলা হয়েছিল যে রেজাল্ট হবে, সেটিই দিতে হবে। আমরাও পরীক্ষকদের এ অনুরোধ জানিয়েছি। তাদের যথার্থভাবে খাতা মূল্যায়ন করার জন্য বলা হয়েছে।’
বিশেষ কোনো নির্দেশনা ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা খাতায় যা লিখেছে, সে অনুসারে নম্বর পেয়েছে। শিক্ষার্থীদের খাতার প্রাপ্ত নম্বরই যথাযথভাবে বোর্ড কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। কোনো নির্দিষ্ট নম্বর পাওয়ার পর বিশেষ নম্বর দিয়ে ভালো গ্রেড করে দেয়া হয়নি। ফল তৈরিতে কোনো উদারনীতিও অবলম্বন করা হয়নি বলেও জানান ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান।
মেধার ‘প্রকৃত মূল্যায়ন’ নিশ্চিত করতে শতভাগ প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে মন্তব্য করে এহসানুল কবির বলেন, ‘পরীক্ষকদেরও সেভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। ফলে এ ফলই প্রকৃত ও সত্য। এ নিয়ে সন্দেহ-সংশয় বা ক্ষোভের কোনো সুযোগ নেই।’
পাসের হার কমার পেছনে বোর্ডের কোনো ‘হাত’ নেই জানিয়ে বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিগত বছরে কী হয়েছে, কীভাবে ফল তৈরি করা হয়েছে; তা আমরা বলবো না। এখন যে ফল আমরা দিয়েছি সেটিই প্রকৃত। উত্তরপত্র যথাযথভাবে মূল্যায়নের পর যা এসেছে, সেটি উপস্থাপন করা হয়েছে।’
চলতি বছর যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে তারা ২০১২ সালে প্রণীত শিক্ষাক্রমে নবম ও দশম শ্রেণীতে পড়েছিল। এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস, সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে নেয়া হয়েছে।
আজ থেকে ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলে কোনো পরীক্ষার্থী অসন্তুষ্ট হলে তা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবে। আজ থেকে ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন শুরু হয়ে তা আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
টেলিটক জানিয়েছে, শুধু টেলিটকের মাধ্যমে ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে। এ আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে জঝঈ লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে, স্পেস দিয়ে যে বিষয়ের ফল পুনঃনিরীক্ষণ করতে চান তার বিষয় কোড লিখতে হবে। যদি একাধিক বিষয়ের ফল পুনঃনিরীক্ষণ করতে চান সে ক্ষেত্রে কমা দিয়ে বিষয়কোড লিখে তা ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। প্রতি পত্রের জন্য আবেদন ফি হবে ১৫০ টাকা।
যেভাবে মিলছে ফল:
রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে যে কোনো মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে ঝঝঈ লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে তা ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
উদাহারণ : SSC
দাখিলের ফল পেতে উধশযরষ লিখে স্পেস দিয়ে গধফ লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৫ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
কারিগরি বোর্ডের ক্ষেত্রে ঝঝঈ লিখে স্পেস দিয়ে ঞবপ লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৫ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফল পাওয়া যাবে।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইট http://www.edu cationboardresults.gov.bd এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল মিলবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি জানিয়েছে, ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ইনপুট দিয়ে ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে।