গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), নির্বাচন কর্মকর্তা আইন সংশোধনসহ আইনি সংস্কারের এক গুচ্ছ সুপারিশ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গত মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বৈঠকরে পর বর্তমান এই কমিশন বৈঠক করলো। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসির এই অষ্টম কমিশন সভায় সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার,(১০ জুলাই ২০২৫) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে ছিল আরপিও (সংশোধন) অধ্যাদেশ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন ১৯৯১ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর হলফনামা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা এবং বিবিধ বিষয়।
নির্বাচন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) এক গুচ্ছ সুপারিশ রয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন এসব গুরুত্বপূর্ণ সুপরিশ বাস্তবায়নের প্রস্তাব করে। এরমধ্যে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্রবাহিনী যুক্ত করা, প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতায় নতুন কিছু প্রস্তাব, বিল-ঋণখেলাপির বিষয়, হলফনামাসহ নানা ধরনের বিষয় রয়েছে। এসব সুপারিশ গুছিয়ে খসড়া চূড়ান্ত করার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েচেন নির্বাচন কর্মকর্তারা।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ গুরুত্ব দিয়ে ইসি সচিবালয় যেসব সংশোধন প্রস্তাব তৈরি করেছে তারমধ্যে রয়েছে সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা ও অনিয়ম করলে দায়ীদের সাজা বাড়ানোর প্রস্তাবসহ নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ বিধান আইনের সংশোধনীর প্রস্তাব। নির্বাচন কর্মকর্তার সংজ্ঞায় রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিষয়টি স্পষ্ট করা করার প্রস্তাব রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইনের সংশোধনীতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের পৃথক সার্ভিস কমিশন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সেবা কার্যক্রম এ আইনের অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রয়েছে।
নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে অনিয়ম বা অসদাচারণ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তার সাজা এক বছর থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৫ বছর সাজার প্রস্তাব করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। আর অর্থদ- পাঁচ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে এক লাখ টাকা প্রস্তাব রাখা হয়েছে ইলেকশন কমিশন থেকে।
প্রার্থীর হলফনামা পরিমার্জনের সুপারিশের পাশাপাশি তথ্য গোপন করলে ভোটের পরেও যাচাই-বাছাই করার বিধান রাখার সুপারিশ রয়েছে সংস্কার কমিশনের; মিথ্যা তথ্য দিলে তার নির্বাচন বাতিলের প্রস্তাব রয়েছে।
সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য ৫টি কমিটি গঠন করেছে ইসি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা সমন্বয়সহ ৫টি সমন্বয় ও তদারকি কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার ইসির উপসচিব মো. শাহ আলম স্বাক্ষরিত পাঁচটি অফিস আদেশে
এসব কমিটি করার তথ্য জানানো হয়েছে।
অফিস আদেশ অনুযায়ী, চারজন নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে এই কমিটিগুলো আইনশৃঙ্খলা; মাঠ প্রশাসন; ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ; নির্বাচনী আইন, বিধি, প্রবিধি ও নীতিমালা এবং নির্বাচনী তদারকি (ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি) কমিটি; প্রবাসী ভোট ও দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক বিষয়গুলো কাজ করবে। প্রতিটি কমিটিতে একজন নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে সাতজন করে সদস্য রাখা হয়েছে।
অফিস আদেশের তথ্যমতে, আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি একইসঙ্গে প্রবাসী ভোট এবং দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক সমন্বয় কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করবেন।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কমিটির নেতৃত্ব দেবেন নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমদ। নির্বাচনী আইন, বিধি, প্রবিধি ও নীতিমালা এবং নির্বাচনী তদারকি (ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি) কমিটির নেতৃত্ব দেবেন নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ। আর মাঠ প্রশাসন সমন্বয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), নির্বাচন কর্মকর্তা আইন সংশোধনসহ আইনি সংস্কারের এক গুচ্ছ সুপারিশ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গত মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বৈঠকরে পর বর্তমান এই কমিশন বৈঠক করলো। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসির এই অষ্টম কমিশন সভায় সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার,(১০ জুলাই ২০২৫) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে ছিল আরপিও (সংশোধন) অধ্যাদেশ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন ১৯৯১ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর হলফনামা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা এবং বিবিধ বিষয়।
নির্বাচন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) এক গুচ্ছ সুপারিশ রয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন এসব গুরুত্বপূর্ণ সুপরিশ বাস্তবায়নের প্রস্তাব করে। এরমধ্যে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্রবাহিনী যুক্ত করা, প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতায় নতুন কিছু প্রস্তাব, বিল-ঋণখেলাপির বিষয়, হলফনামাসহ নানা ধরনের বিষয় রয়েছে। এসব সুপারিশ গুছিয়ে খসড়া চূড়ান্ত করার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েচেন নির্বাচন কর্মকর্তারা।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ গুরুত্ব দিয়ে ইসি সচিবালয় যেসব সংশোধন প্রস্তাব তৈরি করেছে তারমধ্যে রয়েছে সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা ও অনিয়ম করলে দায়ীদের সাজা বাড়ানোর প্রস্তাবসহ নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ বিধান আইনের সংশোধনীর প্রস্তাব। নির্বাচন কর্মকর্তার সংজ্ঞায় রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিষয়টি স্পষ্ট করা করার প্রস্তাব রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইনের সংশোধনীতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের পৃথক সার্ভিস কমিশন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সেবা কার্যক্রম এ আইনের অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রয়েছে।
নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে অনিয়ম বা অসদাচারণ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তার সাজা এক বছর থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৫ বছর সাজার প্রস্তাব করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। আর অর্থদ- পাঁচ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে এক লাখ টাকা প্রস্তাব রাখা হয়েছে ইলেকশন কমিশন থেকে।
প্রার্থীর হলফনামা পরিমার্জনের সুপারিশের পাশাপাশি তথ্য গোপন করলে ভোটের পরেও যাচাই-বাছাই করার বিধান রাখার সুপারিশ রয়েছে সংস্কার কমিশনের; মিথ্যা তথ্য দিলে তার নির্বাচন বাতিলের প্রস্তাব রয়েছে।
সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য ৫টি কমিটি গঠন করেছে ইসি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা সমন্বয়সহ ৫টি সমন্বয় ও তদারকি কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার ইসির উপসচিব মো. শাহ আলম স্বাক্ষরিত পাঁচটি অফিস আদেশে
এসব কমিটি করার তথ্য জানানো হয়েছে।
অফিস আদেশ অনুযায়ী, চারজন নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে এই কমিটিগুলো আইনশৃঙ্খলা; মাঠ প্রশাসন; ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ; নির্বাচনী আইন, বিধি, প্রবিধি ও নীতিমালা এবং নির্বাচনী তদারকি (ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি) কমিটি; প্রবাসী ভোট ও দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক বিষয়গুলো কাজ করবে। প্রতিটি কমিটিতে একজন নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে সাতজন করে সদস্য রাখা হয়েছে।
অফিস আদেশের তথ্যমতে, আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি একইসঙ্গে প্রবাসী ভোট এবং দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক সমন্বয় কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করবেন।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কমিটির নেতৃত্ব দেবেন নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমদ। নির্বাচনী আইন, বিধি, প্রবিধি ও নীতিমালা এবং নির্বাচনী তদারকি (ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি) কমিটির নেতৃত্ব দেবেন নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ। আর মাঠ প্রশাসন সমন্বয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।