হাসিনার অডিও বিশ্লেষণ নিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে সংস্থাটি বিচারের দাবি তুলেছে
গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে যা ঘটেছে, সেই প্রতিটি ঘটনার বিচার রোম সনদের ১৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সাউথ এশিয়া ফেইবুক পেজে প্রকাশিত বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
মূলত গতকাল বুধবার বিবিসি আই এবং বিবিসি বাংলার যৌথ প্রযোজনায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া অডিও বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, আন্দোলন দমনে তিনি সরাসরি মারণাস্ত্র নিয়ে গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এই তথ্যের ভিত্তিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আবারও কর্তৃপক্ষের প্রতি সহিংসতার জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে, ওই বিক্ষোভে প্রায় ১,৪০০ জন নিহত হয়েছিলেন, ‘যার মধ্যে বিপুল সংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছেন সামরিক বাহিনীর রাইফেল ও শটগানের গুলিতে, যার মধ্যে ছিল প্রাণঘাতী ধাতব ছররা যা সাধারণত বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করে থাকে। আরও হাজার হাজার মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। যা তাদের স্বাভাবিক জীবন বদলে দিয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের উচিত এই সময়ে সংঘটিত সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর একটি স্বাধীন তদন্ত নিশ্চিত করা, যার পর একটি নিরপেক্ষ বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দোষীদের বিচার করা হবে যাতে যথাযথ প্রক্রিয়াগত সুরক্ষা বজায় থাকে।
তবে বিচারের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের কোনো ব্যবস্থা যেন না থাকে সেই বিষয়টিও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে।
এই বিচার শুধু যারা সহিংসতা চালিয়েছে তাদের নয়, বরং যারা এর নির্দেশ দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও হওয়া উচিত বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
হাসিনার অডিও বিশ্লেষণ নিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে সংস্থাটি বিচারের দাবি তুলেছে
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে যা ঘটেছে, সেই প্রতিটি ঘটনার বিচার রোম সনদের ১৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সাউথ এশিয়া ফেইবুক পেজে প্রকাশিত বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
মূলত গতকাল বুধবার বিবিসি আই এবং বিবিসি বাংলার যৌথ প্রযোজনায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া অডিও বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, আন্দোলন দমনে তিনি সরাসরি মারণাস্ত্র নিয়ে গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এই তথ্যের ভিত্তিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আবারও কর্তৃপক্ষের প্রতি সহিংসতার জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে, ওই বিক্ষোভে প্রায় ১,৪০০ জন নিহত হয়েছিলেন, ‘যার মধ্যে বিপুল সংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছেন সামরিক বাহিনীর রাইফেল ও শটগানের গুলিতে, যার মধ্যে ছিল প্রাণঘাতী ধাতব ছররা যা সাধারণত বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করে থাকে। আরও হাজার হাজার মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। যা তাদের স্বাভাবিক জীবন বদলে দিয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের উচিত এই সময়ে সংঘটিত সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর একটি স্বাধীন তদন্ত নিশ্চিত করা, যার পর একটি নিরপেক্ষ বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দোষীদের বিচার করা হবে যাতে যথাযথ প্রক্রিয়াগত সুরক্ষা বজায় থাকে।
তবে বিচারের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের কোনো ব্যবস্থা যেন না থাকে সেই বিষয়টিও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে।
এই বিচার শুধু যারা সহিংসতা চালিয়েছে তাদের নয়, বরং যারা এর নির্দেশ দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও হওয়া উচিত বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।