আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রতীকের তালিকা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। শাপলা ও দোয়েল প্রতীক বাদে বেগুন, লাউ, লিচুর মতো বেশ কিছু নতুন প্রতীক যুক্ত করা হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বরাদ্দের জন্য প্রতীক সংখ্যা ৬৯ থেকে বাড়িয়ে ১১৫টি করছে নির্বাচন কমিশন। সেজন্য নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার সংশোধন চূড়ান্ত করে ভেটিংয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবে ইসি সচিবালয়।
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে শতাধিক নতুন দল নিবন্ধনের আবেদন করেছে, বরাবরই ইসির তালিকাভুক্ত প্রতীক থেকে দলগুলোকে ভোটের মার্কা বরাদ্দ দেয়া হয়। নিবন্ধন পেলে সংশ্লিষ্ট দলের বিপরীতে প্রতীক সংরক্ষণ করে ইসি। এবার ভোটের মার্কার তালিকায় আলোচনায় থাকা শাপলা বা দোয়েল রাখা হয়নি।
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ গতকাল বুধবার বলেছেন, ‘এবার প্রায় ১১৫টি ভোটের প্রতীক চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিধিমালা মন্ত্রণালয়ে যাবে। তবে শাপলাকে প্রতীক হিসেবে তফসিলভুক্ত না রাখার বিষয়ে আমরা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এ বিষয়ে আরেক নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমান জানান, তফসিলের জাতীয় প্রতীক হওয়ায় তালিকায় ‘শাপলা’ রাখা হয়নি। এই প্রতীকটি বরাদ্দের জন্য নাগরিক ঐক্য ও জাতীয় নাগরিক পার্টি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলে শাপলা না থাকায় কোনো দলই এই প্রতীক পাবে না।
সবশেষ ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনের জন্য ১৪০টি প্রতীক বরাদ্দ ছিল। পরে সংসদ ও স্থানীয় সরকারের জন্য আলাদা আলাদা প্রতীক সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০১৭ সালে সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় সংশোধন হলে প্রতীক সংখ্যা নেমে আসে অর্ধেকে। বর্তমানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় ‘দলীয়’ ও ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীদের জন্য মোট ৬৯টি প্রতীক রয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং নতুন দলগুলোর নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান থাকায় প্রতীকের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। ১৪৭টি নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। ভবিষ্যতে দলের সংখ্যা আরও বাড়লে প্রতীক সংকট এড়াতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এবারের সংসদ নির্বাচনে যে ১১৫টি প্রতীক রয়েছে সেগুলো হলো আপেল, আনারস, আম, আলমারি, ঈগল, উটপাখি, উদীয়মান সূর্য, একতারা, কাঁচি, কবুতর, কলম, কলস, কলার ছড়ি, কাঁঠাল, কাপ-পিরিচ, কাস্তে, কেটলি, কুমির, কম্পিউটার, কলা, কুড়াল, কুলা, কুঁড়েঘর, কোদাল, খাট, খেজুর গাছ, গরুর গাড়ি, গাভী, গামছা;, গোলাপ ফুল, ঘণ্টা, ঘুড়ি, ঘোড়া, চাকা, চার্জার লাইট, চাবি, চিংড়ি, চেয়ার, চশমা, ছড়ি, ছাতা, জগ, জাহাজ, টিউবওয়েল, টিফিন ক্যারিয়ার, টেবিল, টেবিল ঘড়ি, ট্রাক, টেলিফোন, টেলিভিশন রয়েছে প্রতীকের তালিকায়।
আরও আছে ডাব, ঢেঁকি, তবলা, তরমুজ, তারা, থালা, দাঁড়িপাল্লা, দালান, দেয়াল ঘড়ি, দোয়াত কলম, দোলনা, ধানের শীষ, নোঙ্গর, নৌকা, প্রজাপতি, ফুটবল, ফুলকপি, ফুলের টব, ফুলের মালা, ফ্রিজ, বক, বাঘ, বই, বটগাছ, বাঁশি, বেঞ্চ, বেগুন, বাইসাইকেল, বালতি, বেলুন, বৈদ্যুতিক পাখা, মই, মগ, মাইক, মটরগাড়ি (কার)০, মশাল, ময়ূর, মাছ, মাথাল, মিনার, মোমবাতি, মোবাইল ফোন, মোড়া, মোরগ, রকেট, রিক্সা, লাউ, লিচু, লাঙ্গল, শঙ্খ, সোনালি আঁশ, সেলাই মেশিন, সোফা, সিংহ, স্যুটকেস, হরিণ, হাত (পাঞ্জা), হাতঘড়ি, হাতপাখা, হাঁস, হাতি, হাতুড়ি, হারিকেন, হুক্কা, হেলিকপ্টার।
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রতীকের তালিকা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। শাপলা ও দোয়েল প্রতীক বাদে বেগুন, লাউ, লিচুর মতো বেশ কিছু নতুন প্রতীক যুক্ত করা হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বরাদ্দের জন্য প্রতীক সংখ্যা ৬৯ থেকে বাড়িয়ে ১১৫টি করছে নির্বাচন কমিশন। সেজন্য নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার সংশোধন চূড়ান্ত করে ভেটিংয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবে ইসি সচিবালয়।
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে শতাধিক নতুন দল নিবন্ধনের আবেদন করেছে, বরাবরই ইসির তালিকাভুক্ত প্রতীক থেকে দলগুলোকে ভোটের মার্কা বরাদ্দ দেয়া হয়। নিবন্ধন পেলে সংশ্লিষ্ট দলের বিপরীতে প্রতীক সংরক্ষণ করে ইসি। এবার ভোটের মার্কার তালিকায় আলোচনায় থাকা শাপলা বা দোয়েল রাখা হয়নি।
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ গতকাল বুধবার বলেছেন, ‘এবার প্রায় ১১৫টি ভোটের প্রতীক চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিধিমালা মন্ত্রণালয়ে যাবে। তবে শাপলাকে প্রতীক হিসেবে তফসিলভুক্ত না রাখার বিষয়ে আমরা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এ বিষয়ে আরেক নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমান জানান, তফসিলের জাতীয় প্রতীক হওয়ায় তালিকায় ‘শাপলা’ রাখা হয়নি। এই প্রতীকটি বরাদ্দের জন্য নাগরিক ঐক্য ও জাতীয় নাগরিক পার্টি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলে শাপলা না থাকায় কোনো দলই এই প্রতীক পাবে না।
সবশেষ ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনের জন্য ১৪০টি প্রতীক বরাদ্দ ছিল। পরে সংসদ ও স্থানীয় সরকারের জন্য আলাদা আলাদা প্রতীক সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০১৭ সালে সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় সংশোধন হলে প্রতীক সংখ্যা নেমে আসে অর্ধেকে। বর্তমানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় ‘দলীয়’ ও ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীদের জন্য মোট ৬৯টি প্রতীক রয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং নতুন দলগুলোর নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান থাকায় প্রতীকের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। ১৪৭টি নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। ভবিষ্যতে দলের সংখ্যা আরও বাড়লে প্রতীক সংকট এড়াতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এবারের সংসদ নির্বাচনে যে ১১৫টি প্রতীক রয়েছে সেগুলো হলো আপেল, আনারস, আম, আলমারি, ঈগল, উটপাখি, উদীয়মান সূর্য, একতারা, কাঁচি, কবুতর, কলম, কলস, কলার ছড়ি, কাঁঠাল, কাপ-পিরিচ, কাস্তে, কেটলি, কুমির, কম্পিউটার, কলা, কুড়াল, কুলা, কুঁড়েঘর, কোদাল, খাট, খেজুর গাছ, গরুর গাড়ি, গাভী, গামছা;, গোলাপ ফুল, ঘণ্টা, ঘুড়ি, ঘোড়া, চাকা, চার্জার লাইট, চাবি, চিংড়ি, চেয়ার, চশমা, ছড়ি, ছাতা, জগ, জাহাজ, টিউবওয়েল, টিফিন ক্যারিয়ার, টেবিল, টেবিল ঘড়ি, ট্রাক, টেলিফোন, টেলিভিশন রয়েছে প্রতীকের তালিকায়।
আরও আছে ডাব, ঢেঁকি, তবলা, তরমুজ, তারা, থালা, দাঁড়িপাল্লা, দালান, দেয়াল ঘড়ি, দোয়াত কলম, দোলনা, ধানের শীষ, নোঙ্গর, নৌকা, প্রজাপতি, ফুটবল, ফুলকপি, ফুলের টব, ফুলের মালা, ফ্রিজ, বক, বাঘ, বই, বটগাছ, বাঁশি, বেঞ্চ, বেগুন, বাইসাইকেল, বালতি, বেলুন, বৈদ্যুতিক পাখা, মই, মগ, মাইক, মটরগাড়ি (কার)০, মশাল, ময়ূর, মাছ, মাথাল, মিনার, মোমবাতি, মোবাইল ফোন, মোড়া, মোরগ, রকেট, রিক্সা, লাউ, লিচু, লাঙ্গল, শঙ্খ, সোনালি আঁশ, সেলাই মেশিন, সোফা, সিংহ, স্যুটকেস, হরিণ, হাত (পাঞ্জা), হাতঘড়ি, হাতপাখা, হাঁস, হাতি, হাতুড়ি, হারিকেন, হুক্কা, হেলিকপ্টার।