এই কাঁচা সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে মোবাইল তুলতে গিয়েই মৃত্যু হলো চার জনের -সংবাদ
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ফিনলে টি কোম্পানির মালিকানাধীন হরিণছড়া চা বাগানে সেপটিক ট্যাংকের বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে চার যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ মর্মান্তিক ঘটনার পর হরিণছড়া চা বাগানে চা শ্রমিকদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গতকাল বুধবার গভীর রাতে ফিনলে টি কোম্পানির মালিকানাধীন শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাজঘাট ইউনিয়নের হরিণছড়া চা বাগানে সেপটিক ট্যাংক থেকে পড়ে যাওয়া একটি মোবাইল ফোন তুলতে গিয়ে এ ট্রাজিক ঘটনার সূত্রপাত বলে জানা গেছে।
রাজঘাট ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার অজয় ভৌমিক স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, প্রথম ব্যক্তি টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যাওয়া একটি মোবাইল ফোন তুলতে গিয়ে নিচে নামার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিষাক্ত গ্যাসে তিনি অচেতন হয়ে নিচে পড়ে যান এবং দ্রুত উপরে উঠে আসতে না পারায় তার বড় ভাই পড়ে যাওয়া ছোট ভাইকে উদ্ধার করতে গিয়ে তিনিও আর নিচ থেকে উপরে উঠে আসতে পারেননি। তারপর একে একে আরও ২ জন তাদের উদ্ধারের লক্ষ্যে ঐ সেপটিক ট্যাংকের নিচে নেমে তারাও বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে ক্রমান্বয়ে সবাই অচেতন হয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলে চারজনেরই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন যথাক্রমে আপন দুই ভাই রানা নায়ক (১৭), স্বপন নায়েক (১৯), কৃষ্ণ রবিদাস (২০) ও নিপেন ফুলমালি (২৭)। তারা সবাই হরিণছড়া চা বাগানের চা শ্রমিক সম্প্রদায়ের সন্তান ও ঐ চা বাগানের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত রবি বুনার্জী (২০) নামের অপর একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হসপিটালে উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে রেফার করা হয়।
রাতে চারজনকে মৌলভীবাজার জেলা ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট সদর জেনারেল হসপিটালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সবাইকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হসপিটাল দ্রুত প্রেরণ করা হয়। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে মৌলভীবাজার জেলা ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট সদর জেনারেল হসপিটালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার সব্যসাচী পাল তমাল স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ প্রশাসন ও নবগঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা ঘটনাস্থল পর প্রীতম দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে সমবেদনা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য যে, টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে বিষাক্ত গ্যাস উৎপন্ন হয় এবং অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়।
সেপটিক ট্যাংকে বর্জ্য পচনের ফলে মিথেন, হাইড্রোজেন সালফাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়। এই গ্যাসগুলো মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এছাড়াও, ট্যাংকের ভেতরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হতে পারে।
এই কাঁচা সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে মোবাইল তুলতে গিয়েই মৃত্যু হলো চার জনের -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ফিনলে টি কোম্পানির মালিকানাধীন হরিণছড়া চা বাগানে সেপটিক ট্যাংকের বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে চার যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ মর্মান্তিক ঘটনার পর হরিণছড়া চা বাগানে চা শ্রমিকদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গতকাল বুধবার গভীর রাতে ফিনলে টি কোম্পানির মালিকানাধীন শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাজঘাট ইউনিয়নের হরিণছড়া চা বাগানে সেপটিক ট্যাংক থেকে পড়ে যাওয়া একটি মোবাইল ফোন তুলতে গিয়ে এ ট্রাজিক ঘটনার সূত্রপাত বলে জানা গেছে।
রাজঘাট ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার অজয় ভৌমিক স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, প্রথম ব্যক্তি টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যাওয়া একটি মোবাইল ফোন তুলতে গিয়ে নিচে নামার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিষাক্ত গ্যাসে তিনি অচেতন হয়ে নিচে পড়ে যান এবং দ্রুত উপরে উঠে আসতে না পারায় তার বড় ভাই পড়ে যাওয়া ছোট ভাইকে উদ্ধার করতে গিয়ে তিনিও আর নিচ থেকে উপরে উঠে আসতে পারেননি। তারপর একে একে আরও ২ জন তাদের উদ্ধারের লক্ষ্যে ঐ সেপটিক ট্যাংকের নিচে নেমে তারাও বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে ক্রমান্বয়ে সবাই অচেতন হয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলে চারজনেরই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন যথাক্রমে আপন দুই ভাই রানা নায়ক (১৭), স্বপন নায়েক (১৯), কৃষ্ণ রবিদাস (২০) ও নিপেন ফুলমালি (২৭)। তারা সবাই হরিণছড়া চা বাগানের চা শ্রমিক সম্প্রদায়ের সন্তান ও ঐ চা বাগানের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত রবি বুনার্জী (২০) নামের অপর একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হসপিটালে উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে রেফার করা হয়।
রাতে চারজনকে মৌলভীবাজার জেলা ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট সদর জেনারেল হসপিটালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সবাইকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হসপিটাল দ্রুত প্রেরণ করা হয়। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে মৌলভীবাজার জেলা ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট সদর জেনারেল হসপিটালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার সব্যসাচী পাল তমাল স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ প্রশাসন ও নবগঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা ঘটনাস্থল পর প্রীতম দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে সমবেদনা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য যে, টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে বিষাক্ত গ্যাস উৎপন্ন হয় এবং অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়।
সেপটিক ট্যাংকে বর্জ্য পচনের ফলে মিথেন, হাইড্রোজেন সালফাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়। এই গ্যাসগুলো মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এছাড়াও, ট্যাংকের ভেতরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হতে পারে।