২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৩৭ জন হাসপাতালে ভর্তি, করোনাভাইরাসে আরও ১৪ জন শনাক্ত
ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৩৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে। অন্যজন চট্টগ্রাম বিভাগে মারা গেছে।
এনিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গতকাল ১০ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩ হাজার ৯৩১ জন। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এই তথ্য জানা গেছে। তবে যারা হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাসাবাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাদের তথ্য জানা গেলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১০১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৮ জন, ঢাকা বিভাগে ৪১ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫০ জন, খুলনা বিভাগে ২৮ জন,
ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ জন, রাজশাহীতে ২৭ জন, সিলেটে ১ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৬৮ শিশু। জুলাই মাসের গত ১০ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে চলতি বছর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৯ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩১ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দ্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩২ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫১ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২৬ জন, মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড-১৯ হাসপাতালে ৩৬ জন ভর্তি আছে। এভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে ২৭৬ জন ভর্তি আছে। সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এখনেও ১ হাজার ২৮৬ জন ভর্তি আছে। অন্যরা চিকিৎসা ছেড়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
একজন ডেঙ্গু গবেষক জানান, মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মশা নিয়ন্ত্রণ কষ্টকর। এরপরও মশা দমনে আরও উদ্যোগী হয়ে কাজ করলে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হত? তবে কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, মশা দমন এখন কষ্টকর হবে। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে বলে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গু হলে ৩ থেকে ৫ দিন জ্বর, মাথাব্যাথা, গায়ে ব্যাথা হয়। ওই সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে বাড়িতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, তরল পানীয় (স্যালাইন, ফলের রস, স্যুপ) খাইতে দিতে হবে।
আর জ্বর কমানোর জন্য কেবল প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন বা ব্যাথানাশক জাতীয় ওষুধ নিষিদ্ধ। কারণ এগুলো রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
জ্বর কমে যাওয়ার পর হঠাৎ শরীর খারাপ হওয়া, বারবার বমি, পেটব্যাথা, রক্তপাত, ঘনঘন দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট বা মলিন চামড়া, অস্থিরতা, অজ্ঞানভাব, মাথা ঘুরানোর মতো উপসর্গ দেখা গেলে এবং গর্ভবর্তী নারীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে
হবে। রাজধানীর শ্যামলী ২৫০শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, ডেঙ্গু এখন সারাবছর থাকে। দেশের ৬৪টি জেলা ও বিভাগী শহরে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। হালকা জ্বর, ডায়রিয়া হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর মারাত্বক চাপ সৃষ্টি করে। এই বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বাংলাদেশে ২০০০ সালে প্রথম ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এডিস মশা আগে দিনের বেলায় কামড়ালেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন রাতেও কামড়ায়।
করোনাভাইরাস: গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সন্দেহে ২৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।তার মধ্যে ১৪জনের করোনা পজিটিভ (শনাক্ত)। এনিয়ে চলতি বছর মোট ৬৭২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শুরু থেকে বৃহস্পতিবার,(১০ জুলাই ২০২৫) পর্যন্ত ২০ লাখ ৫২ হাজার ২১৭ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
করোনাভাইরাসে চলতি বছর মারা গেছে ২৫ জন। এনিয়ে শুরু থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা হলো ২৯হাজার ৫২৪ জন। এই ভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম চীনে করোনাভাইরাস আক্রান্ত শুরু হয়। এর দুই মাস পর আক্রান্ত হয়েছিল বাংলাদেশেও। এরপর নানা উদ্যোগ আর আতংকের মধ্যে মাস্ক পরাসহ ধাপে ধাপে কঠোর স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হয়েছে বেশ কিছুদিন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ওই সময় সীমান্ত সংযোগ, বিমানবন্দরে চলে কঠোর কড়াকড়ি। এরপর হাসপাতাল গুলোতে কোভিডের রোগী বাড়তে থাকে। আইসিইউ সংকটে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রোগী ভর্তি নিয়ে স্বজনদের ভোগান্তি হয়েছে। হাসপাতালে আইসিইউ সংকট ছিল।
সম্প্রতি সেই করোনাভাইরাসের নতুন ধরন এনবি-১.৮.১ এর সংক্রমণ বাড়ার খবর মিলছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এখন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশে গত ৫ জুন আবার ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেড় বছরের মধ্যে এটি প্রথম মৃত্যু বলে জানা গেছে। সংক্রমণ যাতে না বাড়ে সেই জন্য জনসমাগম স্থানে মাস্ক পরতে অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
চিকিৎসকদের পরামর্শ- করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া। এছাড়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হলে মাস্ক পরা। যদি কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি আশপাশে থাকে, তবে তার থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা। অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, মুখ ও নাক স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা। হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু অথবা কনুই দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে রাখা।
২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৩৭ জন হাসপাতালে ভর্তি, করোনাভাইরাসে আরও ১৪ জন শনাক্ত
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৩৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে। অন্যজন চট্টগ্রাম বিভাগে মারা গেছে।
এনিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গতকাল ১০ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩ হাজার ৯৩১ জন। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এই তথ্য জানা গেছে। তবে যারা হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাসাবাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাদের তথ্য জানা গেলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১০১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৮ জন, ঢাকা বিভাগে ৪১ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫০ জন, খুলনা বিভাগে ২৮ জন,
ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ জন, রাজশাহীতে ২৭ জন, সিলেটে ১ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৬৮ শিশু। জুলাই মাসের গত ১০ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে চলতি বছর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৯ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩১ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দ্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩২ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫১ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২৬ জন, মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড-১৯ হাসপাতালে ৩৬ জন ভর্তি আছে। এভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে ২৭৬ জন ভর্তি আছে। সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এখনেও ১ হাজার ২৮৬ জন ভর্তি আছে। অন্যরা চিকিৎসা ছেড়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
একজন ডেঙ্গু গবেষক জানান, মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মশা নিয়ন্ত্রণ কষ্টকর। এরপরও মশা দমনে আরও উদ্যোগী হয়ে কাজ করলে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হত? তবে কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, মশা দমন এখন কষ্টকর হবে। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে বলে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গু হলে ৩ থেকে ৫ দিন জ্বর, মাথাব্যাথা, গায়ে ব্যাথা হয়। ওই সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে বাড়িতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, তরল পানীয় (স্যালাইন, ফলের রস, স্যুপ) খাইতে দিতে হবে।
আর জ্বর কমানোর জন্য কেবল প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন বা ব্যাথানাশক জাতীয় ওষুধ নিষিদ্ধ। কারণ এগুলো রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
জ্বর কমে যাওয়ার পর হঠাৎ শরীর খারাপ হওয়া, বারবার বমি, পেটব্যাথা, রক্তপাত, ঘনঘন দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট বা মলিন চামড়া, অস্থিরতা, অজ্ঞানভাব, মাথা ঘুরানোর মতো উপসর্গ দেখা গেলে এবং গর্ভবর্তী নারীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে
হবে। রাজধানীর শ্যামলী ২৫০শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, ডেঙ্গু এখন সারাবছর থাকে। দেশের ৬৪টি জেলা ও বিভাগী শহরে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। হালকা জ্বর, ডায়রিয়া হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর মারাত্বক চাপ সৃষ্টি করে। এই বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বাংলাদেশে ২০০০ সালে প্রথম ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এডিস মশা আগে দিনের বেলায় কামড়ালেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন রাতেও কামড়ায়।
করোনাভাইরাস: গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সন্দেহে ২৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।তার মধ্যে ১৪জনের করোনা পজিটিভ (শনাক্ত)। এনিয়ে চলতি বছর মোট ৬৭২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শুরু থেকে বৃহস্পতিবার,(১০ জুলাই ২০২৫) পর্যন্ত ২০ লাখ ৫২ হাজার ২১৭ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
করোনাভাইরাসে চলতি বছর মারা গেছে ২৫ জন। এনিয়ে শুরু থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা হলো ২৯হাজার ৫২৪ জন। এই ভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম চীনে করোনাভাইরাস আক্রান্ত শুরু হয়। এর দুই মাস পর আক্রান্ত হয়েছিল বাংলাদেশেও। এরপর নানা উদ্যোগ আর আতংকের মধ্যে মাস্ক পরাসহ ধাপে ধাপে কঠোর স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হয়েছে বেশ কিছুদিন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ওই সময় সীমান্ত সংযোগ, বিমানবন্দরে চলে কঠোর কড়াকড়ি। এরপর হাসপাতাল গুলোতে কোভিডের রোগী বাড়তে থাকে। আইসিইউ সংকটে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রোগী ভর্তি নিয়ে স্বজনদের ভোগান্তি হয়েছে। হাসপাতালে আইসিইউ সংকট ছিল।
সম্প্রতি সেই করোনাভাইরাসের নতুন ধরন এনবি-১.৮.১ এর সংক্রমণ বাড়ার খবর মিলছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এখন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশে গত ৫ জুন আবার ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেড় বছরের মধ্যে এটি প্রথম মৃত্যু বলে জানা গেছে। সংক্রমণ যাতে না বাড়ে সেই জন্য জনসমাগম স্থানে মাস্ক পরতে অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
চিকিৎসকদের পরামর্শ- করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া। এছাড়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হলে মাস্ক পরা। যদি কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি আশপাশে থাকে, তবে তার থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা। অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, মুখ ও নাক স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা। হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু অথবা কনুই দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে রাখা।