alt

জাতীয়

এস আলম ও পরিবারের সিঙ্গাপুরে ব্যাংক হিসাব ও শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ

সিঙ্গাপুরে এক বিলিয়ন ডলার ‘পাচারের’ অভিযোগ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

আলোচিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের নামে সিঙ্গাপুরে থাকা ৬৪টি ব্যাংক হিসাব ও ১০ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে বাংলাদেশের একটি আদালত। এস আলম নামে বেশি পরিচিত সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুরে এক বিলিয়ন ডলার ‘পাচারের’ অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

সেখানে পরিবারের সদস্যসহ তার ব্যাংক হিসাব ও শেয়ার অবরুদ্ধ করার জন্য দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া বৃহস্পতিবার,(১০ জুলাই ২০২৫) এ আদেশ দেয়। দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. তানজির আহমেদ এ তথ্য দিয়ে বলেন, অবরুদ্ধের আদেশ হওয়া সম্পদের মধ্যে এস আলমের ৪০টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের ছয়টি ব্যাংক হিসাব এবং তাদের নামে থাকা আটটি কোম্পানির শেয়ারও রয়েছে এ তালিকায়।

এছাড়া, তাদের ছেলে আশরাফুল আলমের সাতটি ব্যাংক হিসাব ও একটি কোম্পানির শেয়ার, ছেলে আহসানুল আলমের ০৭টি ব্যাংক হিসাব ও একটি কোম্পানির শেয়ার, ছেলে আসাদুল আলম মাহির ০১টি ব্যাংক হিসাব, তার শ্যালক আহমেদ বেলালের ০২টি ব্যাংক হিসাব ও বোন মাইমুনা খানমের ০১টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে।

দুদকের উপ-পরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক ব্যাংক হিসাব এবং শেয়ার অবরুদ্ধ চেয়ে এই আবেদন করেন। তার আবেদনে গতকাল বুধবার এস আলমের নামে তিন ব্যাংকে থাকা ৫৩টি হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয় একই আদালত। গত ২৪ জুন এস আলমের সাইপ্রাসে থাকা দুই তলা বাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে থাকা ১৯ কোম্পানির শেয়ার ও জার্সিতে থাকা ছয়টি ট্রাস্ট কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধেরর আদেশ দেয়া হয়।

চট্টগ্রামভিত্তিক এই শিল্পগোষ্ঠীর

কর্ণধার এস আলমের বিরুদ্ধে ব্যাংক খাতে ‘অনিয়ম-লুটপাট’ ও অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে-পরে আলোচনায় ছিলেন এই ব্যবসায়ী ও তার পরিবার। পরে এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলোতে নতুন পর্ষদ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নরের দায়িত্ব নেয়ার পর আহসান এইচ মনসুর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক এসব ব্যাংক থেকে বহু টাকা নিয়েছে এস আলম।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে সে বছর আগস্ট মাসে সিঙ্গাপুরে এক বিলিয়ন ডলার ‘পাচারের’ অভিযোগে এস আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের বিরুদ্ধে বন্ধ থাকা অনুসন্ধান আবারও শুরু করে দুদক।

২০২৩ সালে দুদক অনুসন্ধানে নামলেও ওই বছরের ২৪ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ও দুদকের অনুসন্ধান সম্পর্কিত বিষয়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করে হাইকোর্ট। এরপর গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে ‘অর্থ পাচারের’ অভিযোগের অনুসন্ধান নিয়ে পাঁচ মাস আগে হাইকোর্টের দেয়া স্বতঃপ্রণোদিত রুল খারিজ করে আপিল বিভাগ। এতে অনুসন্ধান চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়।

সেই আদেশের কপি পাওয়ার পর অনুসন্ধানটি পুনরায় শুরু করে দুদক। নথিপত্র চেয়ে চিঠিও পাঠানো হয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউকে। দুদক ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরুর উদ্যোগ নেয় একটি ইংরেজি প্রত্রিকায় গত ৪ আগস্ট প্রকাশিত ‘‘এস আলম’স আলাদিন‘স ল্যাম্প’’ শিরোনামে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরে ‘কমপক্ষে এক বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য’ গড়ে তুলেছেন। যদিও বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কোনো অনুমতি তিনি নেননি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর এস আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনসহ তার পরিবারের ১২ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি এস আলম পরিবারের ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ২১ হাজার টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয়া হয়।

এরপর গত ৩ ফেব্রুয়ারি ৩৬৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫শ’ টাকা মূল্যের ১৭৫ বিঘা সম্পদ জব্দের আদেশ দেয়া হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখ ২ হাজার ২৭৪টি শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেয় আদালত। এস আলমের ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয়া হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি।

গত ১০ মার্চ এস আলমের এক হাজার ছয় বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেয় আদালত। ৯ এপ্রিল তার ৯০ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেয়া হয়। একইদিন আদালত তার ঘনিষ্ঠজনদের নামে থাকা ৩৭৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ আসে। এরপর ১৭ এপ্রিল এস আলম ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে থাকা এক হাজার ৩৬০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়।

ছবি

বৃষ্টিপাত কমার আভাস, সরানো হলো সতর্ক সংকেত

ছবি

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

প্রধান উপদেষ্টার উপহারের আম গেলো ত্রিপুরা

৯৮৪টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ উত্তীর্ণ, ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনে খসড়া অনুমোদন

৪৮তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা স্থগিতের তথ্য ভিত্তিহীন: পিএসসি

নির্মাণাধীন ভবনে সাবেক সচিব, বিচারক ও কর্মকর্তার ফ্ল্যাট, অনুসন্ধানে দুদক

দেশে আবার ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা যাতে তৈরি না হয়, সে বিষয়ে সবাই একমত: আলী রীয়াজ

সরকারি নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল

অর্থ আত্মসাৎ স্বাস্থ্যের সাবেক পরিচালকসহ ২ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় সড়কে প্রাণ গেল অন্তঃসত্ত্বার

ছবি

প্রতিবন্ধকতাকে উড়িয়ে এসএসসিতে অদম্য লিতুন জিরার চমক

ডেঙ্গু: চলতি বছরে আক্রান্ত প্রায় ১৪ হাজার, মোট মৃত্যু ৫৪ জনের

ছবি

বিএসএফ সীমান্তরক্ষী নয়, একটি খুনি বাহিনী: নাহিদ

ছবি

মোবাইল তুলতে গিয়ে ৪ চা শ্রমিকের মৃত্যু, বাগানে শোকের ছায়া

শাপলা-দোয়েল বাদ, যুক্ত হচ্ছে বেগুন, লাউ, লিচু

আইসিসিতে বিচার দাবি অ্যামনেস্টির

ছবি

নোয়াখালীতে টানা ভারী বর্ষণে পানিবন্দী ৬৩,৮৬০ পরিবার, আশ্রয়কেন্দ্রে ২৬৮ পরিবার, জনদুর্ভোগ চরমে

গণমাধ্যম সংস্কারে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ১২ নতুন সিদ্ধান্ত

আরপিও, নির্বাচন কর্মকর্তা, আইন সংশোধনসহ এক গুচ্ছ সুপারিশ নিয়ে ইসির বৈঠক

পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল বোর্ড

মার্কিন শুল্ক নিয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা আজ শেষ হচ্ছে, প্রথম দিনের আলোচনায় ‘বেশিরভাগ ইস্যুতে ঐকমত্য’

ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় সন্তুষ্ট বিএনপি

ছবি

১৫ বছর পর এসএসসি ও সমমানের ফলে ছন্দপতন, ১৯ লাখ পরীক্ষার্থীর ছয় লাখই ফেল

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার বিচার শুরু, দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি মামুন

ছবি

চীন ও কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বৈঠক

ছবি

১৮ জুলাই গ্রাহকদের ১ জিবি ফ্রি ডেটা দিতে নির্দেশনা জারি করেছে বিটিআরসি

ছবি

শহীদ ও আহতদের জন্য আলাদা দুটি ফ্ল্যাট প্রকল্প একনেকে যাচ্ছে

ছবি

জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী ঐচ্ছিক প্রোটোকলসহ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন

ছবি

মাধ্যমিকে পাসের হার ৬৮.৪৫ শতাংশ

ছবি

রাষ্ট্র সংস্কারে অগ্রগতি, কিন্তু এখন মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য জরুরি: আলী রীয়াজ

ছবি

শাপলা-দোয়েল বাদ, নতুন তালিকায় ১১৫ প্রতীক

ছবি

বিগত তিন নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের এবার বাদ দেওয়ার চিন্তা

ছবি

জুলাই আহতদের জন্য ঢাকায় দেড় হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে সরকার

ছবি

শেখ হাসিনার কল রেকর্ড ‘ট্রেলারমাত্র’, উদ্ধার করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা: তাজুল ইসলাম

ছবি

নির্বাচনের আগে লটারির মাধ্যমে ডিসি-এসপি রদবদলের ভাবনা ইউনূসের

tab

জাতীয়

এস আলম ও পরিবারের সিঙ্গাপুরে ব্যাংক হিসাব ও শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ

সিঙ্গাপুরে এক বিলিয়ন ডলার ‘পাচারের’ অভিযোগ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

আলোচিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের নামে সিঙ্গাপুরে থাকা ৬৪টি ব্যাংক হিসাব ও ১০ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে বাংলাদেশের একটি আদালত। এস আলম নামে বেশি পরিচিত সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুরে এক বিলিয়ন ডলার ‘পাচারের’ অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

সেখানে পরিবারের সদস্যসহ তার ব্যাংক হিসাব ও শেয়ার অবরুদ্ধ করার জন্য দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া বৃহস্পতিবার,(১০ জুলাই ২০২৫) এ আদেশ দেয়। দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. তানজির আহমেদ এ তথ্য দিয়ে বলেন, অবরুদ্ধের আদেশ হওয়া সম্পদের মধ্যে এস আলমের ৪০টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের ছয়টি ব্যাংক হিসাব এবং তাদের নামে থাকা আটটি কোম্পানির শেয়ারও রয়েছে এ তালিকায়।

এছাড়া, তাদের ছেলে আশরাফুল আলমের সাতটি ব্যাংক হিসাব ও একটি কোম্পানির শেয়ার, ছেলে আহসানুল আলমের ০৭টি ব্যাংক হিসাব ও একটি কোম্পানির শেয়ার, ছেলে আসাদুল আলম মাহির ০১টি ব্যাংক হিসাব, তার শ্যালক আহমেদ বেলালের ০২টি ব্যাংক হিসাব ও বোন মাইমুনা খানমের ০১টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে।

দুদকের উপ-পরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক ব্যাংক হিসাব এবং শেয়ার অবরুদ্ধ চেয়ে এই আবেদন করেন। তার আবেদনে গতকাল বুধবার এস আলমের নামে তিন ব্যাংকে থাকা ৫৩টি হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয় একই আদালত। গত ২৪ জুন এস আলমের সাইপ্রাসে থাকা দুই তলা বাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে থাকা ১৯ কোম্পানির শেয়ার ও জার্সিতে থাকা ছয়টি ট্রাস্ট কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধেরর আদেশ দেয়া হয়।

চট্টগ্রামভিত্তিক এই শিল্পগোষ্ঠীর

কর্ণধার এস আলমের বিরুদ্ধে ব্যাংক খাতে ‘অনিয়ম-লুটপাট’ ও অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে-পরে আলোচনায় ছিলেন এই ব্যবসায়ী ও তার পরিবার। পরে এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলোতে নতুন পর্ষদ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নরের দায়িত্ব নেয়ার পর আহসান এইচ মনসুর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক এসব ব্যাংক থেকে বহু টাকা নিয়েছে এস আলম।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে সে বছর আগস্ট মাসে সিঙ্গাপুরে এক বিলিয়ন ডলার ‘পাচারের’ অভিযোগে এস আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের বিরুদ্ধে বন্ধ থাকা অনুসন্ধান আবারও শুরু করে দুদক।

২০২৩ সালে দুদক অনুসন্ধানে নামলেও ওই বছরের ২৪ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ও দুদকের অনুসন্ধান সম্পর্কিত বিষয়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করে হাইকোর্ট। এরপর গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে ‘অর্থ পাচারের’ অভিযোগের অনুসন্ধান নিয়ে পাঁচ মাস আগে হাইকোর্টের দেয়া স্বতঃপ্রণোদিত রুল খারিজ করে আপিল বিভাগ। এতে অনুসন্ধান চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়।

সেই আদেশের কপি পাওয়ার পর অনুসন্ধানটি পুনরায় শুরু করে দুদক। নথিপত্র চেয়ে চিঠিও পাঠানো হয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউকে। দুদক ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরুর উদ্যোগ নেয় একটি ইংরেজি প্রত্রিকায় গত ৪ আগস্ট প্রকাশিত ‘‘এস আলম’স আলাদিন‘স ল্যাম্প’’ শিরোনামে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরে ‘কমপক্ষে এক বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য’ গড়ে তুলেছেন। যদিও বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কোনো অনুমতি তিনি নেননি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর এস আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনসহ তার পরিবারের ১২ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি এস আলম পরিবারের ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ২১ হাজার টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয়া হয়।

এরপর গত ৩ ফেব্রুয়ারি ৩৬৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫শ’ টাকা মূল্যের ১৭৫ বিঘা সম্পদ জব্দের আদেশ দেয়া হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখ ২ হাজার ২৭৪টি শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেয় আদালত। এস আলমের ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয়া হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি।

গত ১০ মার্চ এস আলমের এক হাজার ছয় বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেয় আদালত। ৯ এপ্রিল তার ৯০ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেয়া হয়। একইদিন আদালত তার ঘনিষ্ঠজনদের নামে থাকা ৩৭৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ আসে। এরপর ১৭ এপ্রিল এস আলম ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে থাকা এক হাজার ৩৬০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়।

back to top