ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ‘নীতিমালা’ ভেঙে সচিব পদমর্যাদার ১২ জন কর্মকর্তাকে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবনে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের এ তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিনকে প্রধান করে দুই সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করেছে। দলের অন্য সদস্য হলেন উপ-সহকারী পরিচালক নাহিদ ইমরান। দুদক বলছে, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘রাতের ভোট’ কাণ্ডে ভূমিকা রাখার ‘পুরস্কার’ হিসেবে সাবেক এই কর্মকর্তাদের ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
বরাদ্দ পাওয়াদের তালিকায় আছেন দুদকের সাবেক কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মো. জহুরুল হক (ফ্ল্যাটের আয়তন ৪১০৫.০৫ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান (ফ্ল্যাটের আয়তন ৪৩০৮.৬৮ বর্গফুট), সাবেক সচিব এম এ কাদের সরকার (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব এম আসলাম আলম (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সচিব আকতারী মমতাজ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সচিব মো. সিরাজুল হক খান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট),
সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সাবেক সিনিয়র জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট) এবং সাবেক সিনিয়র সচিব এস. এম. গোলাম ফারুক (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট)।
এর আগে গত মে মাসে দুদকের একটি অভিযান দল আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এসব কর্মকর্তাকে নীতিমালা ভেঙে ঢাকার ধানমন্ডিতে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগের ‘সত্যতা পাওয়ার’ কথা জানিয়েছিল। দুদকে আসা অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘দিনের ভোট রাতে নেয়ার সঙ্গে জড়িত’ সচিব পদমর্যাদার ১২ কর্মকর্তাকে ‘পুরষ্কৃত করতে’ শেখ হাসিনার আমলে পরিকল্পিতভাবে ফ্ল্যাট দেয়া হয়। গত ৫ মে বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেল ওই বিষয়ে খবর সম্প্রচার করে।
সেটি আমলে নিয়ে দুদক অভিযানে নামে। গত মঙ্গলবার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ১২টি ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল করেছে।
দুদকের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডে নির্মণাধীণ ১৪ তলা একটি ভবনে মোট ২৩টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ১২টি বরাদ্দ পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত এই সচিব, বিচারক ও কর্মকর্তারা। অভিযোগ রয়েছে, এদের অনেকেই ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে পলাতক রয়েছেন। তিনি বলেন, বরাদ্দ বাতিলের সঙ্গে তাদের অনুসন্ধানের সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। সাবেক এই ১২ কর্মকর্তাকে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ‘গৃহায়ণ ধানমন্ডি (প্রথম পর্যায়)’ প্রকল্পে। ধানমন্ডির ১৩ নম্বর (নতুন ৬/এ) সড়কের ৭১১ নম্বর (নতুন ৬৩) বাড়ি নিয়ে প্রকল্পটি। সেখানে ১৮টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ১২টি (৬০ শতাংশ) রাখা হয়েছিল সরকারি কোটা অনুযায়ী, যা এ ১২ কর্মকর্তাকে দেয়া হয়।
দুদক কর্মকর্তা বলছেন, শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে এই জমি জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের অধীনে আনার অভিযোগ রয়েছে। সেখানে একটি ১৪ তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়। ভবনটিতে রয়েছে দুটি ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট এবং নিচতলায় দুটি গ্যারেজ ফ্লোর। ডুপ্লেক্স দুটি ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয় দুদকের তৎকালীন কমিশনার মোজাম্মেল হক ও জহুরুল হককে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশে ধানমন্ডির ওই ভবনে বরাদ্দকৃত ১২টি ফ্ল্যাট বাতিলের সিদ্ধান্ত বোর্ডের ২৭৪তম সভায় গৃহীত হয়।
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ‘নীতিমালা’ ভেঙে সচিব পদমর্যাদার ১২ জন কর্মকর্তাকে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবনে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের এ তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিনকে প্রধান করে দুই সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করেছে। দলের অন্য সদস্য হলেন উপ-সহকারী পরিচালক নাহিদ ইমরান। দুদক বলছে, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘রাতের ভোট’ কাণ্ডে ভূমিকা রাখার ‘পুরস্কার’ হিসেবে সাবেক এই কর্মকর্তাদের ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
বরাদ্দ পাওয়াদের তালিকায় আছেন দুদকের সাবেক কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মো. জহুরুল হক (ফ্ল্যাটের আয়তন ৪১০৫.০৫ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান (ফ্ল্যাটের আয়তন ৪৩০৮.৬৮ বর্গফুট), সাবেক সচিব এম এ কাদের সরকার (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব এম আসলাম আলম (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সচিব আকতারী মমতাজ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সচিব মো. সিরাজুল হক খান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট),
সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সাবেক সিনিয়র জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট) এবং সাবেক সিনিয়র সচিব এস. এম. গোলাম ফারুক (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট)।
এর আগে গত মে মাসে দুদকের একটি অভিযান দল আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এসব কর্মকর্তাকে নীতিমালা ভেঙে ঢাকার ধানমন্ডিতে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগের ‘সত্যতা পাওয়ার’ কথা জানিয়েছিল। দুদকে আসা অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘দিনের ভোট রাতে নেয়ার সঙ্গে জড়িত’ সচিব পদমর্যাদার ১২ কর্মকর্তাকে ‘পুরষ্কৃত করতে’ শেখ হাসিনার আমলে পরিকল্পিতভাবে ফ্ল্যাট দেয়া হয়। গত ৫ মে বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেল ওই বিষয়ে খবর সম্প্রচার করে।
সেটি আমলে নিয়ে দুদক অভিযানে নামে। গত মঙ্গলবার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ১২টি ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল করেছে।
দুদকের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডে নির্মণাধীণ ১৪ তলা একটি ভবনে মোট ২৩টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ১২টি বরাদ্দ পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত এই সচিব, বিচারক ও কর্মকর্তারা। অভিযোগ রয়েছে, এদের অনেকেই ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে পলাতক রয়েছেন। তিনি বলেন, বরাদ্দ বাতিলের সঙ্গে তাদের অনুসন্ধানের সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। সাবেক এই ১২ কর্মকর্তাকে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ‘গৃহায়ণ ধানমন্ডি (প্রথম পর্যায়)’ প্রকল্পে। ধানমন্ডির ১৩ নম্বর (নতুন ৬/এ) সড়কের ৭১১ নম্বর (নতুন ৬৩) বাড়ি নিয়ে প্রকল্পটি। সেখানে ১৮টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ১২টি (৬০ শতাংশ) রাখা হয়েছিল সরকারি কোটা অনুযায়ী, যা এ ১২ কর্মকর্তাকে দেয়া হয়।
দুদক কর্মকর্তা বলছেন, শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে এই জমি জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের অধীনে আনার অভিযোগ রয়েছে। সেখানে একটি ১৪ তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়। ভবনটিতে রয়েছে দুটি ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট এবং নিচতলায় দুটি গ্যারেজ ফ্লোর। ডুপ্লেক্স দুটি ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয় দুদকের তৎকালীন কমিশনার মোজাম্মেল হক ও জহুরুল হককে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশে ধানমন্ডির ওই ভবনে বরাদ্দকৃত ১২টি ফ্ল্যাট বাতিলের সিদ্ধান্ত বোর্ডের ২৭৪তম সভায় গৃহীত হয়।