জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘একটি দল বলে তারা কোটি কোটি লোকের মালিক। এনসিপিকে লোকের ভয় দেখাবেন না। এনসিপি জনগণের সঙ্গে ইনসাফ করা লোক চায়।’
জুলাই পদযাত্রার ১১তম দিনে শুক্রবার,(১১ জুলাই ২০২৫) বিকেলে যশোরে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। শহরের জজকোর্ট ঈদগাহ মোড়ে এনসিপির যশোর জেলা শাখা এই পথসভার আয়োজন করে।
সভায় নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, দুর্নীতি যেই করুক, এনসিপি কাউকে ছাড় দেবে না। এনসিপির নেতাকর্মীরাও যদি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়, দল তাদের বিরুদ্ধেও মাঠে নামবে। আমাদের আগামীর আন্দোলন দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে।
পথসভায় দলের সদস্যসচিব আক্তার হোসেন বলেন, ‘সংস্কারের আলোচনা টেবিলে থাকুক, রাজপথে নামাতে বাধ্য করবেন না। বাংলাদেশের মানুষ ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায়, কিন্তু তাদের দাদাগিরি মেনে নেবে না।’
উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সার্জিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘কেউ কেউ এনসিপিকে নির্বাচনবিরোধী দল
হিসেবে ট্যাগ দিতে চায়। কিন্তু এনসিপি কখনোই নির্বাচন বিরোধী দল নয়। আমরাও নির্বাচন চাই। তবে বিচার, সংস্কারসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দাবির প্যাকেজ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন চাই না। প্রয়োজনে এসব দাবি বাস্তবায়নে আরেকবার গণঅভ্যুত্থান ঘটানো হবে। যারা এর বিরোধিতা করবে, তাদের লাল কার্ড দেখানো হবে।’
পথসভায় উপস্থিত ও বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম, মুখ্য সমন্বয়কারী নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী, ডা. তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
এর আগে, শুক্রবার দিনের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শ্লোগান সামনে রেখে যশোরে জুলাই আন্দোলনের আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা।
১১ জুলাই পদযাত্রার ১১তম দিনে বেলা সাড়ে ১১টায় যশোর শহরের হোটেল ওরিয়নে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অংশ নেয়া আহতরা অভিযোগ করেন, জুলাই আন্দোলনের এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও ঘোষণাপত্র, আহতদের স্বীকৃতি ও ‘জুলাই সনদ’ প্রদান, পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা বা পুনর্বাসনের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
তারা বলেন, নতুন রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখালেও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ধীরে ধীরে দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন। এতে তারা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগেই ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা ও তা বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান আহতরা।
এ সময় এনসিপি নেতারা আহতদের দাবিগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার আন্দোলন জোরদারের ঘোষণা দেন তারা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুসরাত তাবাসসুম ও ডা. তাসনিম জারা, এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা।
পরে স্থানীয় মডেল মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে পদযাত্রায় মিলিত হন নেতারা। পদযাত্রাটি মুজিব সড়ক হয়ে পথসভাস্থলে এসে শেষ হয়। এতে স্থানীয় নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। এ সময় তাদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা যায়। পথসভা শেষে খুলনার উদ্দেশে রওনা হয় জুলাই পদযাত্রা।
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘একটি দল বলে তারা কোটি কোটি লোকের মালিক। এনসিপিকে লোকের ভয় দেখাবেন না। এনসিপি জনগণের সঙ্গে ইনসাফ করা লোক চায়।’
জুলাই পদযাত্রার ১১তম দিনে শুক্রবার,(১১ জুলাই ২০২৫) বিকেলে যশোরে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। শহরের জজকোর্ট ঈদগাহ মোড়ে এনসিপির যশোর জেলা শাখা এই পথসভার আয়োজন করে।
সভায় নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, দুর্নীতি যেই করুক, এনসিপি কাউকে ছাড় দেবে না। এনসিপির নেতাকর্মীরাও যদি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়, দল তাদের বিরুদ্ধেও মাঠে নামবে। আমাদের আগামীর আন্দোলন দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে।
পথসভায় দলের সদস্যসচিব আক্তার হোসেন বলেন, ‘সংস্কারের আলোচনা টেবিলে থাকুক, রাজপথে নামাতে বাধ্য করবেন না। বাংলাদেশের মানুষ ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায়, কিন্তু তাদের দাদাগিরি মেনে নেবে না।’
উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সার্জিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘কেউ কেউ এনসিপিকে নির্বাচনবিরোধী দল
হিসেবে ট্যাগ দিতে চায়। কিন্তু এনসিপি কখনোই নির্বাচন বিরোধী দল নয়। আমরাও নির্বাচন চাই। তবে বিচার, সংস্কারসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দাবির প্যাকেজ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন চাই না। প্রয়োজনে এসব দাবি বাস্তবায়নে আরেকবার গণঅভ্যুত্থান ঘটানো হবে। যারা এর বিরোধিতা করবে, তাদের লাল কার্ড দেখানো হবে।’
পথসভায় উপস্থিত ও বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম, মুখ্য সমন্বয়কারী নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী, ডা. তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
এর আগে, শুক্রবার দিনের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শ্লোগান সামনে রেখে যশোরে জুলাই আন্দোলনের আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা।
১১ জুলাই পদযাত্রার ১১তম দিনে বেলা সাড়ে ১১টায় যশোর শহরের হোটেল ওরিয়নে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অংশ নেয়া আহতরা অভিযোগ করেন, জুলাই আন্দোলনের এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও ঘোষণাপত্র, আহতদের স্বীকৃতি ও ‘জুলাই সনদ’ প্রদান, পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা বা পুনর্বাসনের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
তারা বলেন, নতুন রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখালেও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ধীরে ধীরে দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন। এতে তারা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগেই ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা ও তা বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান আহতরা।
এ সময় এনসিপি নেতারা আহতদের দাবিগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার আন্দোলন জোরদারের ঘোষণা দেন তারা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুসরাত তাবাসসুম ও ডা. তাসনিম জারা, এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা।
পরে স্থানীয় মডেল মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে পদযাত্রায় মিলিত হন নেতারা। পদযাত্রাটি মুজিব সড়ক হয়ে পথসভাস্থলে এসে শেষ হয়। এতে স্থানীয় নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। এ সময় তাদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা যায়। পথসভা শেষে খুলনার উদ্দেশে রওনা হয় জুলাই পদযাত্রা।