চাঁদপুর শহরের প্রফেসর পাড়া মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে খতিবকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে বিল্লাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। হামলাকারীকে সঙ্গে সঙ্গে অন্য মুসল্লিরা আটক করে এবং তার হাতে থাকা চাপাতি উদ্ধার করা হয়। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আহত খতিব মাওলানা আনম. নূরুর রহমান মাদানীকে (৬০) চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার করেন।
শুক্রবার,(১১ জুলাই ২০২৫) দুপুর পোনে দুইটার সময় এই ঘটনাটি ঘটানো হয়।
খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের এসআই নাজমুল সঙ্গীও ফোর্স উত্তেজিত মুসল্লিদের হাত থেকে হামলাকারী বিল্লাল হোসেনকে (৫০) আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিল্লাল হোসেন চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন মনোহরখাদি গ্রামের মৃত আইয়ুব আলির ছেলে। বর্তমানে শহরের বকুলতলা রেলওয়ে এলাকায় চায়ের দোকানদারি করে।
আহত খতিব নূরুর রহমান মাদানী মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মোবাল্লেগ এবং বর্তমানে চাঁদপুরের একেক মসজিদে জুমার নামাজের সময় খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ গুনরাজদী এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নামাজ শেষে হঠাৎ করেই মো. বিল্লাল হোসেন (৫০) নামের ওই ব্যক্তি মুসল্লী সেজে জুমার নামাজ আদায় করেন এবং নামাজ শেষে নবীজিকে অপমান করা হয়েছে মর্মে উগ্র হয়ে উঠেন এবং তার কাছে মোড়ানো চাপাতি নিয়ে খতিবকে কোপাতে থাকেন। তার চাপাতির আঘাতে মসজিদের খতিব মাওলানা নুর রহমানের কানের গোড়ালি মারাত্মক যখম করা হয়।
আহত খতিবকে দ্রুত উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সৈয়দ আহমদ কাজল জানান, আহত স্থানে ১০ থেকে ১২টি সেলাই লেগেছে। তিনি বর্তমানে ওসেক ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, হামলাকারী বিল্লাল হোসেন কিছুদিন আগে খতিবের একটি খুতবায় নবী করীম (সা.) কে “ইসলামের বার্তাবাহক” বলার বিষয়টিকে অপমান হিসেবে ধরে নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন। হামলার সময় চাপাতির সঙ্গে নিয়ে শহরের প্রফেসর পাড়া মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার জন্য পূর্ব থেকে পরিকল্পনা নিয়ে এই মসজিদে অবস্থান করেন। তার কাছে একটি নোটও ছিল, যাতে লেখা ছিল, আমার নবীজিকে অপমান করার কারণে তাকে হত্যা করা হলো।
তবে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বলেন, খতিব কোনোভাবেই এমন বক্তব্য দেননি যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। বরং এটি ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি উগ্র কর্মকা-। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় মুসল্লি ও এলাকাবাসী। তারা দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে তার ছেলেরা বলেন, আমরা অবশ্যই মামলা করবো। মসজিদ কমিটিসহ আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. বাহার মিয়া বলেন, আসামিকে ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। হামলাকারী বিল্লাল হোসেনকে নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের সদস্য বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
চাঁদপুর শহরের প্রফেসর পাড়া মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে খতিবকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে বিল্লাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। হামলাকারীকে সঙ্গে সঙ্গে অন্য মুসল্লিরা আটক করে এবং তার হাতে থাকা চাপাতি উদ্ধার করা হয়। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আহত খতিব মাওলানা আনম. নূরুর রহমান মাদানীকে (৬০) চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার করেন।
শুক্রবার,(১১ জুলাই ২০২৫) দুপুর পোনে দুইটার সময় এই ঘটনাটি ঘটানো হয়।
খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের এসআই নাজমুল সঙ্গীও ফোর্স উত্তেজিত মুসল্লিদের হাত থেকে হামলাকারী বিল্লাল হোসেনকে (৫০) আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিল্লাল হোসেন চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন মনোহরখাদি গ্রামের মৃত আইয়ুব আলির ছেলে। বর্তমানে শহরের বকুলতলা রেলওয়ে এলাকায় চায়ের দোকানদারি করে।
আহত খতিব নূরুর রহমান মাদানী মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মোবাল্লেগ এবং বর্তমানে চাঁদপুরের একেক মসজিদে জুমার নামাজের সময় খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ গুনরাজদী এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নামাজ শেষে হঠাৎ করেই মো. বিল্লাল হোসেন (৫০) নামের ওই ব্যক্তি মুসল্লী সেজে জুমার নামাজ আদায় করেন এবং নামাজ শেষে নবীজিকে অপমান করা হয়েছে মর্মে উগ্র হয়ে উঠেন এবং তার কাছে মোড়ানো চাপাতি নিয়ে খতিবকে কোপাতে থাকেন। তার চাপাতির আঘাতে মসজিদের খতিব মাওলানা নুর রহমানের কানের গোড়ালি মারাত্মক যখম করা হয়।
আহত খতিবকে দ্রুত উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সৈয়দ আহমদ কাজল জানান, আহত স্থানে ১০ থেকে ১২টি সেলাই লেগেছে। তিনি বর্তমানে ওসেক ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, হামলাকারী বিল্লাল হোসেন কিছুদিন আগে খতিবের একটি খুতবায় নবী করীম (সা.) কে “ইসলামের বার্তাবাহক” বলার বিষয়টিকে অপমান হিসেবে ধরে নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন। হামলার সময় চাপাতির সঙ্গে নিয়ে শহরের প্রফেসর পাড়া মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার জন্য পূর্ব থেকে পরিকল্পনা নিয়ে এই মসজিদে অবস্থান করেন। তার কাছে একটি নোটও ছিল, যাতে লেখা ছিল, আমার নবীজিকে অপমান করার কারণে তাকে হত্যা করা হলো।
তবে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বলেন, খতিব কোনোভাবেই এমন বক্তব্য দেননি যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। বরং এটি ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি উগ্র কর্মকা-। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় মুসল্লি ও এলাকাবাসী। তারা দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে তার ছেলেরা বলেন, আমরা অবশ্যই মামলা করবো। মসজিদ কমিটিসহ আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. বাহার মিয়া বলেন, আসামিকে ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। হামলাকারী বিল্লাল হোসেনকে নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের সদস্য বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।