দীর্ঘ দেড় মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজে আবার শুরু হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। শনিবার সকাল থেকে সব বর্ষের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কামরুল আলম।
গত ২৮ মে থেকে পাঁচ দফা দাবিতে ক্লাস বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে নিরাপদ আবাসনের দাবিটি ছিল প্রধান। পরে আন্দোলন চরমে পৌঁছালে ২২ জুন কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের ওইদিন দুপুরের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশও দেওয়া হয়। তবে তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত হল ছাড়বেন না বলে জানিয়ে দেন এবং অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যান।
এরপর গত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় শিক্ষা কার্যক্রম ফের শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। সেই অনুযায়ী শুক্রবার খুলে দেওয়া হয় হোস্টেল, আর শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয় ক্লাস।
কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ নাফিস রাফিদ বলেন, “দীর্ঘদিন ক্লাস বন্ধ থাকায় কিছুটা পড়ালেখার ক্ষতি হয়েছে। তবে বৃহত্তর স্বার্থে এই ত্যাগকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি। শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে রুটিন রিশিডিউল কিংবা ছুটি কমিয়ে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।”
আরেক শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব বলেন, “দীর্ঘদিন পর ক্লাসে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। এখন আমাদের আরও বেশি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।”
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—১. নতুন ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস নির্মাণের জন্য দ্রুত বাজেট পাস করতে হবে।
২. ছাত্রাবাস নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. নতুন একাডেমিক ভবনের জন্য আলাদা বাজেট পাস করতে হবে।
৪. আবাসন ও অ্যাকাডেমিক ভবনের বাজেট পৃথকভাবে অনুমোদন করতে হবে ও দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
৫. সব প্রকল্প ও কার্যক্রমের অগ্রগতি শিক্ষার্থীদের সামনে স্বচ্ছভাবে উপস্থাপনের জন্য শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ঠিক করতে হবে।
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
দীর্ঘ দেড় মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজে আবার শুরু হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। শনিবার সকাল থেকে সব বর্ষের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কামরুল আলম।
গত ২৮ মে থেকে পাঁচ দফা দাবিতে ক্লাস বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে নিরাপদ আবাসনের দাবিটি ছিল প্রধান। পরে আন্দোলন চরমে পৌঁছালে ২২ জুন কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের ওইদিন দুপুরের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশও দেওয়া হয়। তবে তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত হল ছাড়বেন না বলে জানিয়ে দেন এবং অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যান।
এরপর গত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় শিক্ষা কার্যক্রম ফের শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। সেই অনুযায়ী শুক্রবার খুলে দেওয়া হয় হোস্টেল, আর শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয় ক্লাস।
কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ নাফিস রাফিদ বলেন, “দীর্ঘদিন ক্লাস বন্ধ থাকায় কিছুটা পড়ালেখার ক্ষতি হয়েছে। তবে বৃহত্তর স্বার্থে এই ত্যাগকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি। শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে রুটিন রিশিডিউল কিংবা ছুটি কমিয়ে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।”
আরেক শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব বলেন, “দীর্ঘদিন পর ক্লাসে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। এখন আমাদের আরও বেশি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।”
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—১. নতুন ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস নির্মাণের জন্য দ্রুত বাজেট পাস করতে হবে।
২. ছাত্রাবাস নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. নতুন একাডেমিক ভবনের জন্য আলাদা বাজেট পাস করতে হবে।
৪. আবাসন ও অ্যাকাডেমিক ভবনের বাজেট পৃথকভাবে অনুমোদন করতে হবে ও দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
৫. সব প্রকল্প ও কার্যক্রমের অগ্রগতি শিক্ষার্থীদের সামনে স্বচ্ছভাবে উপস্থাপনের জন্য শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ঠিক করতে হবে।