ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বোমা থাকার ‘উড়ো ফোন’ দেন এক মা, যাতে তার ছেলে ‘পরকীয়া প্রেমিকা’ নিয়ে নেপাল যেতে না পারে। এই নাটকীয় ঘটনার পেছনের কাহিনি প্রকাশ করেছে র্যাব।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান জানান, নেপালগামী ফ্লাইটে ওঠা কামরুজ্জামান ইমন নামে এক ব্যক্তি প্রেমিকাসহ দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে তার মা রাশেদা বেগম এবং স্ত্রী তাহমিনা বেগম বোমা আতঙ্ক সৃষ্টি করে ফ্লাইট থামানোর পরিকল্পনা করেন।
শুক্রবার বিকেলে ফ্লাইটটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। হঠাৎ কন্ট্রোল টাওয়ারে বেনামি ফোনে জানানো হয়, উড়োজাহাজে বোমা আছে। এতে ট্যাক্সিওয়েতে থাকা বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটির উড্ডয়ন তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করা হয়।
পরবর্তীতে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বিমানবন্দরের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল উড়োজাহাজে তল্লাশি চালায়। কোনো বোমা না পাওয়ায় রাতেই উড়োজাহাজটি আবার যাত্রী নিয়ে কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
র্যাব জানায়, তদন্তে ফোন নম্বর শনাক্ত করা হয় এবং মধ্য দক্ষিণ খান এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইমনের মা রাশেদা বেগম, স্ত্রী তাহমিনা এবং তার বন্ধু ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা স্বীকার করেছেন, প্রেমিকাসহ ইমনের দেশত্যাগ ঠেকাতে এই ‘বোমা নাটক’ সাজানো হয়। ইমনের বন্ধু ইমরান, যিনি ‘ইমপ্রেস অ্যাভিয়েশন’-এ কাজ করেন, তিনিই পরিকল্পনায় সহায়তা করেন।
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বোমা থাকার ‘উড়ো ফোন’ দেন এক মা, যাতে তার ছেলে ‘পরকীয়া প্রেমিকা’ নিয়ে নেপাল যেতে না পারে। এই নাটকীয় ঘটনার পেছনের কাহিনি প্রকাশ করেছে র্যাব।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান জানান, নেপালগামী ফ্লাইটে ওঠা কামরুজ্জামান ইমন নামে এক ব্যক্তি প্রেমিকাসহ দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে তার মা রাশেদা বেগম এবং স্ত্রী তাহমিনা বেগম বোমা আতঙ্ক সৃষ্টি করে ফ্লাইট থামানোর পরিকল্পনা করেন।
শুক্রবার বিকেলে ফ্লাইটটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। হঠাৎ কন্ট্রোল টাওয়ারে বেনামি ফোনে জানানো হয়, উড়োজাহাজে বোমা আছে। এতে ট্যাক্সিওয়েতে থাকা বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটির উড্ডয়ন তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করা হয়।
পরবর্তীতে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বিমানবন্দরের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল উড়োজাহাজে তল্লাশি চালায়। কোনো বোমা না পাওয়ায় রাতেই উড়োজাহাজটি আবার যাত্রী নিয়ে কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
র্যাব জানায়, তদন্তে ফোন নম্বর শনাক্ত করা হয় এবং মধ্য দক্ষিণ খান এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইমনের মা রাশেদা বেগম, স্ত্রী তাহমিনা এবং তার বন্ধু ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা স্বীকার করেছেন, প্রেমিকাসহ ইমনের দেশত্যাগ ঠেকাতে এই ‘বোমা নাটক’ সাজানো হয়। ইমনের বন্ধু ইমরান, যিনি ‘ইমপ্রেস অ্যাভিয়েশন’-এ কাজ করেন, তিনিই পরিকল্পনায় সহায়তা করেন।