পুরান ঢাকার মিটফোর্ডে নির্মমভাবে খুন হওয়া লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের (৩৯) পরিবার হত্যাকারীদের হুমকিতে ভুগছে বলে অভিযোগ করেছে।
শুক্রবার তাঁর মরদেহ ঢাকা থেকে বরগুনার বাড়িতে এনে দাফন করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে তাঁর স্ত্রী লাকি বেগম ও কন্যা সোহানা তাদের নিরাপত্তা ও বিচার দাবি করেছেন।
লাল চাঁদের মেয়ে সোহানা (১৪) বলেন, “আমার বাবাকে যারা মেরেছে, তাদের বিচার চাই। আমাদের পরিবারটিকে বাঁচান। ওরা এখনো হুমকি দিচ্ছে—আমরা ঢাকায় ফিরলে ওরা আমাদেরও মেরে ফেলবে।”
পরিবারের দাবি, পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ‘মেসার্স সোহানা মেটাল’ নামের দোকান চালাতেন লাল চাঁদ। একদল চাঁদাবাজ মাসে ২ লাখ টাকা দাবি করে তাঁর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে চাপ প্রয়োগ করছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তাঁকে নির্মমভাবে পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা পরিবার
স্ত্রী লাকি বেগম বলেন, “আমার স্বামীই ছিল একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষ। এখন কীভাবে চলবে সংসার? আমার সন্তানদের কে দেখবে? ওরা স্কুলে যাবে কীভাবে?” কথা বলতে বলতে বারবার ভেঙে পড়ছিলেন তিনি।
পরিবারের দাবি, লাল চাঁদের বাবা আইউব আলী মারা যান বজ্রপাতে, যখন লাল চাঁদ মাত্র সাত মাস বয়সী। এরপর থেকেই মা আলেয়া বেগমের সঙ্গে ঢাকায় বড় হন তিনি। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তিনি ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।
বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “সোহাগ আমাদের দলের লোক ছিলেন। আইনি ও আর্থিক সহায়তা আমরা করব।”
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, “পরিবারটির সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। তাঁদের সাধ্যমতো সহায়তা ও নিরাপত্তা দেওয়া হবে।”
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
পুরান ঢাকার মিটফোর্ডে নির্মমভাবে খুন হওয়া লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের (৩৯) পরিবার হত্যাকারীদের হুমকিতে ভুগছে বলে অভিযোগ করেছে।
শুক্রবার তাঁর মরদেহ ঢাকা থেকে বরগুনার বাড়িতে এনে দাফন করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে তাঁর স্ত্রী লাকি বেগম ও কন্যা সোহানা তাদের নিরাপত্তা ও বিচার দাবি করেছেন।
লাল চাঁদের মেয়ে সোহানা (১৪) বলেন, “আমার বাবাকে যারা মেরেছে, তাদের বিচার চাই। আমাদের পরিবারটিকে বাঁচান। ওরা এখনো হুমকি দিচ্ছে—আমরা ঢাকায় ফিরলে ওরা আমাদেরও মেরে ফেলবে।”
পরিবারের দাবি, পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ‘মেসার্স সোহানা মেটাল’ নামের দোকান চালাতেন লাল চাঁদ। একদল চাঁদাবাজ মাসে ২ লাখ টাকা দাবি করে তাঁর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে চাপ প্রয়োগ করছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তাঁকে নির্মমভাবে পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা পরিবার
স্ত্রী লাকি বেগম বলেন, “আমার স্বামীই ছিল একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষ। এখন কীভাবে চলবে সংসার? আমার সন্তানদের কে দেখবে? ওরা স্কুলে যাবে কীভাবে?” কথা বলতে বলতে বারবার ভেঙে পড়ছিলেন তিনি।
পরিবারের দাবি, লাল চাঁদের বাবা আইউব আলী মারা যান বজ্রপাতে, যখন লাল চাঁদ মাত্র সাত মাস বয়সী। এরপর থেকেই মা আলেয়া বেগমের সঙ্গে ঢাকায় বড় হন তিনি। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তিনি ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।
বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “সোহাগ আমাদের দলের লোক ছিলেন। আইনি ও আর্থিক সহায়তা আমরা করব।”
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, “পরিবারটির সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। তাঁদের সাধ্যমতো সহায়তা ও নিরাপত্তা দেওয়া হবে।”