বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখাও
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের মশাল মিছিল -সংবাদ
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন কলেজ, ইস্ট ওয়েস্ট এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার রাতে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখাও।
শনিবার,(১২ জুলাই ২০২৫) বেলা একটার দিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বিক্ষোভে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। ‘ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থী সমাজ’ ব্যানারে এই বিক্ষোভ হয়।
বিক্ষোভ চলাকালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘কণ্ঠে আবার লাগা জোর, চাঁদাবাজের কবর খোঁড়, ‘চাঁদাবাজ চাঁদা তোলে, ইন্টেরিম কী করে?’, ‘চব্বিশের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘কে দিলো রে জানোয়ার মানুষ মারার অধিকার’ বলে স্লোগান দেন।
হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগের দশম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ফারাবি জিসান বলেন, ‘মিটফোর্ডের সামনে চাঁদাবাজির কারণে একজন মানুষকে পাথর দিয়ে থেঁতলে নৃশংসভাবে মেরে ফেলেছেন যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। অথচ দল দায় না নিয়ে তাদের শুধুই বহিষ্কার করেছে। আমরা বলতে চাই, এখানে অবশ্যই দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। যেই ছাত্রসংগঠন থেঁতলে মানুষ মারতে পারে, সেই সংগঠন কোনো ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে পারে না। তাই ছাত্রদল হোক বা শিবির ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো দলের কমিটি থাকতে পারবে না। আজকের মধ্যেই ছাত্রদলের কমিটি প্রত্যাহার করতে হবে।’
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে একটি মিছিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা প্রদক্ষিণ করে এনএসইউর ১ নম্বর গেট এলাকায় এসে শেষ হয়। এ সময় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন।
বেলা একটার দিকে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইটের সামনে প্রতিবাদী বিক্ষোভ সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। বিচার দাবিতে দুপুরে ইডেন কলেজের সামনে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।
দ্রুত বিচার দাবি করেছেন নর্থ
সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ নম্বর গেট এলাকায় আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘটনার বিচার ‘দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে’ করার দাবিও জানিয়েছেন তারা। পাশাপাশি দেশে সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারের শক্ত পদক্ষেপও দাবি করেন বিক্ষোভে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা।
এরপর শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে একটি মিছিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা প্রদক্ষিণ করে এনএসইউর ১ নম্বর গেইট এলাকায় এসে শেষ হয়। এ সময় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন।
বিক্ষোভ মিছিল থেকে, ‘চব্বিশের বাংলায়, চাঁদবাজের ঠাঁই নাই’, ‘যুবদল খুন করে, ইন্টেরিম কী করে’, ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘চাঁদাবাজের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘যুবদলের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘চাঁদাবাজের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এর আগে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে মিছিল শুরু করে তারা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রোকেয়া হলের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান সেখানে বলেন, ‘মিটফোর্ডের সামনে ব্যবসায়ী সোহাগকে যেভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, এটা দেখে আমরা আসলে মর্মাহত, লজ্জিত এবং শঙ্কিতও বটে। আমরা বারবার বলে এসেছি, বাংলাদেশে যে কোনো ব্যক্তি যদি কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে, সে যদি দলের হয়, তাহলে সে দলীয় সন্ত্রাসী, সে যদি কোনো ব্যক্তিগত অন্যায় করে তাহলে ব্যক্তিগত অন্যায়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিভিন্নভাবে কঠোর হয়েছি এসব বিষয়ে। তারপরেও যারা এই ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে এবং একজন মানুষকে তার মৃত্যু নিশ্চিত করার আগ পর্যন্ত যেভাবে নৃশংসভাবে তার ওপর পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়েছে, ইট দিয়ে আঘাত করা হয়েছে, এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাচ্ছি।’
শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে শাহবাগ মোড়ে মশালমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সারাদেশের ছাত্র-জনতাকে নিজ নিজ প্ল্যাটফর্ম থেকে, নিজ নিজ ব্যানারে, নিজ নিজ জায়গা থেকে এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইনামুল হাসান এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর আগে এ দিন বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে গত বুধবার নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ড ও সারাদেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক শেল্টারে চাঁদাবাজি, দখলদারি, হামলা ও খুনের পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এসব কথা বলেন।
গত বুধবার রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯)। হত্যার আগে ডেকে নিয়ে তাকে পিটিয়ে এবং ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেয়া হয়। একপর্যায়ে তাঁকে বিবস্ত্র করা হয়। তার শরীরের ওপর উঠে লাফায় কেউ কেউ।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এ ঘটনায় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততার কথা জানা গেছে। শনিবার সন্ধ্যায় এই মামলার দুই আসামিকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী যুবদল। হত্যা মামলার আরও দুই আসামিকে নিজেদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল।
বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখাও
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের মশাল মিছিল -সংবাদ
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন কলেজ, ইস্ট ওয়েস্ট এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার রাতে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখাও।
শনিবার,(১২ জুলাই ২০২৫) বেলা একটার দিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বিক্ষোভে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। ‘ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থী সমাজ’ ব্যানারে এই বিক্ষোভ হয়।
বিক্ষোভ চলাকালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘কণ্ঠে আবার লাগা জোর, চাঁদাবাজের কবর খোঁড়, ‘চাঁদাবাজ চাঁদা তোলে, ইন্টেরিম কী করে?’, ‘চব্বিশের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘কে দিলো রে জানোয়ার মানুষ মারার অধিকার’ বলে স্লোগান দেন।
হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগের দশম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ফারাবি জিসান বলেন, ‘মিটফোর্ডের সামনে চাঁদাবাজির কারণে একজন মানুষকে পাথর দিয়ে থেঁতলে নৃশংসভাবে মেরে ফেলেছেন যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। অথচ দল দায় না নিয়ে তাদের শুধুই বহিষ্কার করেছে। আমরা বলতে চাই, এখানে অবশ্যই দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। যেই ছাত্রসংগঠন থেঁতলে মানুষ মারতে পারে, সেই সংগঠন কোনো ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে পারে না। তাই ছাত্রদল হোক বা শিবির ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো দলের কমিটি থাকতে পারবে না। আজকের মধ্যেই ছাত্রদলের কমিটি প্রত্যাহার করতে হবে।’
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে একটি মিছিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা প্রদক্ষিণ করে এনএসইউর ১ নম্বর গেট এলাকায় এসে শেষ হয়। এ সময় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন।
বেলা একটার দিকে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইটের সামনে প্রতিবাদী বিক্ষোভ সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। বিচার দাবিতে দুপুরে ইডেন কলেজের সামনে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।
দ্রুত বিচার দাবি করেছেন নর্থ
সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ নম্বর গেট এলাকায় আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘটনার বিচার ‘দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে’ করার দাবিও জানিয়েছেন তারা। পাশাপাশি দেশে সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারের শক্ত পদক্ষেপও দাবি করেন বিক্ষোভে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা।
এরপর শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে একটি মিছিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা প্রদক্ষিণ করে এনএসইউর ১ নম্বর গেইট এলাকায় এসে শেষ হয়। এ সময় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন।
বিক্ষোভ মিছিল থেকে, ‘চব্বিশের বাংলায়, চাঁদবাজের ঠাঁই নাই’, ‘যুবদল খুন করে, ইন্টেরিম কী করে’, ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘চাঁদাবাজের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘যুবদলের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘চাঁদাবাজের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এর আগে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে মিছিল শুরু করে তারা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রোকেয়া হলের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান সেখানে বলেন, ‘মিটফোর্ডের সামনে ব্যবসায়ী সোহাগকে যেভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, এটা দেখে আমরা আসলে মর্মাহত, লজ্জিত এবং শঙ্কিতও বটে। আমরা বারবার বলে এসেছি, বাংলাদেশে যে কোনো ব্যক্তি যদি কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে, সে যদি দলের হয়, তাহলে সে দলীয় সন্ত্রাসী, সে যদি কোনো ব্যক্তিগত অন্যায় করে তাহলে ব্যক্তিগত অন্যায়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিভিন্নভাবে কঠোর হয়েছি এসব বিষয়ে। তারপরেও যারা এই ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে এবং একজন মানুষকে তার মৃত্যু নিশ্চিত করার আগ পর্যন্ত যেভাবে নৃশংসভাবে তার ওপর পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়েছে, ইট দিয়ে আঘাত করা হয়েছে, এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাচ্ছি।’
শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে শাহবাগ মোড়ে মশালমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সারাদেশের ছাত্র-জনতাকে নিজ নিজ প্ল্যাটফর্ম থেকে, নিজ নিজ ব্যানারে, নিজ নিজ জায়গা থেকে এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইনামুল হাসান এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর আগে এ দিন বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে গত বুধবার নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ড ও সারাদেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক শেল্টারে চাঁদাবাজি, দখলদারি, হামলা ও খুনের পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এসব কথা বলেন।
গত বুধবার রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯)। হত্যার আগে ডেকে নিয়ে তাকে পিটিয়ে এবং ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেয়া হয়। একপর্যায়ে তাঁকে বিবস্ত্র করা হয়। তার শরীরের ওপর উঠে লাফায় কেউ কেউ।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এ ঘটনায় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততার কথা জানা গেছে। শনিবার সন্ধ্যায় এই মামলার দুই আসামিকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী যুবদল। হত্যা মামলার আরও দুই আসামিকে নিজেদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল।