আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলো সারাদেশে সহিংসতা ও চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তির নেতারা। শনিবার,(১২ জুলাই ২০২৫)বিকেলে ঢাকার বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী সোহাগকে মাথা থেঁতলে হত্যার বিচারের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপিকে সারা বাংলাদেশে তাদের সহিংসতা বন্ধ করতে হবে, তা না হলে আওয়ামী লীগের মতোই বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলোকে পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
তারিকুল বলেন, ‘এ ঘটনা বিএনপি ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর প্রত্যক্ষ সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলবাজির ধারাবাহিকতার অংশ; যার কারণে ৫ আগস্টের পর থেকে গত ১১ মাসে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। রাজধানী থেকে মফস্বল পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকা- জুলাই আন্দোলনের স্পিরিট, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার
চেতনাকে অবমাননা করেছে।’
‘যারা একদিকে গণতন্ত্রের পক্ষে স্বৈরাচার হটানোর আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল, আজ তাদেরই হাতে মানুষকে প্রাণ দিতে হচ্ছে।’
২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপির শাসনামলে ‘ছাত্রদল ও যুবদলকে ব্যবহার করে দখল, দমনের রাজনীতি চালানো হয়েছিল’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তারই এক সম্প্রসারণ আজও বয়ে চলেছে। জনমনে উদ্বেগ আতঙ্কের পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে, এর পরিণতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?
এ অন্যায়ের যদি বিচার প্রতিষ্ঠা করা না যায়, তাহলে বিচার বিভাগে পুরনো রাজনৈতিক সংস্কৃতি বারবার ফিরে আসবে। যা জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে একেবারেই অনাকাক্সিক্ষত।’
যুবশক্তির আহ্বায়ক বলেন, ‘জনমনে গভীর আশঙ্কা জন্মেছে, যদি এখনই এ সহিংসতার লাগাম টানা না যায়- তাহলে আসন্ন নির্বাচনের আগের পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে যাচ্ছে বলে আমরা মনে করছি। এমন অবস্থায় নির্বাচনও শান্তিপূর্ণভাবে হবে কিনা, সে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।’
লিখিত বক্তব্য শেষে তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যখন বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছেন, তখন আমরা বারবার প্রশ্ন করেছি- আপনি কীভাবে মনে করেন বর্তমান বাংলাদেশের নির্বাচন দেয়ার মতো একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়েছে? আগে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ যেসব জায়গায় চাঁদাবাজি করতো, সেসব জায়গায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা এখন চাঁদাবাজি করছে।’
তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজি বিএনপির নেতাকর্মীদের আয়ের একমাত্র উৎস।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের কাছে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, জনগণ আপনাদের ক্ষমতা দিয়েছে। বিএনপির কাছে সারেন্ডার করার জন্য কি আপনাদের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে? আপনারা লন্ডনে গিয়ে বিএনপির কাছে স্যারেন্ডার করে এসেছেন। আপনাদের কর্তৃত্ব এখন কোন জায়গায়?, সেটি জনমনে একটি প্রশ্ন।’
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলো সারাদেশে সহিংসতা ও চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তির নেতারা। শনিবার,(১২ জুলাই ২০২৫)বিকেলে ঢাকার বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী সোহাগকে মাথা থেঁতলে হত্যার বিচারের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপিকে সারা বাংলাদেশে তাদের সহিংসতা বন্ধ করতে হবে, তা না হলে আওয়ামী লীগের মতোই বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলোকে পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
তারিকুল বলেন, ‘এ ঘটনা বিএনপি ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর প্রত্যক্ষ সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলবাজির ধারাবাহিকতার অংশ; যার কারণে ৫ আগস্টের পর থেকে গত ১১ মাসে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। রাজধানী থেকে মফস্বল পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকা- জুলাই আন্দোলনের স্পিরিট, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার
চেতনাকে অবমাননা করেছে।’
‘যারা একদিকে গণতন্ত্রের পক্ষে স্বৈরাচার হটানোর আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল, আজ তাদেরই হাতে মানুষকে প্রাণ দিতে হচ্ছে।’
২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপির শাসনামলে ‘ছাত্রদল ও যুবদলকে ব্যবহার করে দখল, দমনের রাজনীতি চালানো হয়েছিল’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তারই এক সম্প্রসারণ আজও বয়ে চলেছে। জনমনে উদ্বেগ আতঙ্কের পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে, এর পরিণতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?
এ অন্যায়ের যদি বিচার প্রতিষ্ঠা করা না যায়, তাহলে বিচার বিভাগে পুরনো রাজনৈতিক সংস্কৃতি বারবার ফিরে আসবে। যা জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে একেবারেই অনাকাক্সিক্ষত।’
যুবশক্তির আহ্বায়ক বলেন, ‘জনমনে গভীর আশঙ্কা জন্মেছে, যদি এখনই এ সহিংসতার লাগাম টানা না যায়- তাহলে আসন্ন নির্বাচনের আগের পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে যাচ্ছে বলে আমরা মনে করছি। এমন অবস্থায় নির্বাচনও শান্তিপূর্ণভাবে হবে কিনা, সে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।’
লিখিত বক্তব্য শেষে তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যখন বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছেন, তখন আমরা বারবার প্রশ্ন করেছি- আপনি কীভাবে মনে করেন বর্তমান বাংলাদেশের নির্বাচন দেয়ার মতো একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়েছে? আগে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ যেসব জায়গায় চাঁদাবাজি করতো, সেসব জায়গায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা এখন চাঁদাবাজি করছে।’
তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজি বিএনপির নেতাকর্মীদের আয়ের একমাত্র উৎস।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের কাছে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, জনগণ আপনাদের ক্ষমতা দিয়েছে। বিএনপির কাছে সারেন্ডার করার জন্য কি আপনাদের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে? আপনারা লন্ডনে গিয়ে বিএনপির কাছে স্যারেন্ডার করে এসেছেন। আপনাদের কর্তৃত্ব এখন কোন জায়গায়?, সেটি জনমনে একটি প্রশ্ন।’