রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ হাসপাতালে এমনিতেই রোগীর চাপ, তার উপর বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। হিমশিম খেতে হচ্ছে ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীদের -সংবাদ
ডেঙ্গু বাহক এডিস মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই মশার কামড়ে আক্রান্ত হয়ে ৩৯১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এনিয়ে জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের শনিবার,(১২ জুলাই ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৪ হাজার ৪৬০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৫৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪১ জন, ঢাকা বিভাগে ৩৯ জন, ঢাকা উত্তরে ২০ জন, ঢাকা দক্ষিণে ৬৩ জন, খুলনা বিভাগের ৩০ জন, ময়মনসিংহে ১১ জন, রাজশাহীতে ৫৭ জন, রংপুরে ২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে নারীর সংখ্যা শতকরা ৪৩ দশমিক ৭ ভাগ। পুরুষ ৫৬ দশমিক ৩ ভাগ।
শনিবার পর্যন্ত মৃত্যুর শীর্ষে ঢাকা দক্ষিণ। মৃত্যুর সংখ্যা ২৩ জন। আর জুলাই মাসের ১২ দিনে দেশে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি ও কন্ট্রোরেল দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছে, ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬১ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১২জন, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩২ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫১ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২৬ জন, মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৩৬ জন, মিটফোর্ড হাসপাতারেল ৪৯ জন ভর্তি আছে। এভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে ২৯৬ জন ভর্তি আছে। বরগুনায় ১৮৭ জন ও কক্সবাজারে ১৯ জন ভর্তি আছে। এভাবে সারাদেশে এখনও ১৩শ’র বেশি ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছে। অন্যরা চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে মশা নিয়ন্ত্রণ কষ্টকর।
এরপরও মশা দমনে আরও উদ্যোগী হয়ে কাজ করলে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হত ? পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে বলে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানান, ডেঙ্গু হলে ৩ থেকে ৫ দিন জ্বর, মাথাব্যাথা, গায়ে ব্যাথা হয়।
ওই সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে বাড়িতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, তরল পানীয় (স্যালাইন, ফলের রস, স্যুপ) খাইতে দিতে হবে।
আর জ্বর কমানোর জন্য কেবল প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন বা ব্যাথানাশক জাতীয় ওষুধ নিষিদ্ধ। কারণ এগুলো রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
জ্বর কমে যাওয়ার পর হঠাৎ শরীর খারাপ হওয়া, পেটব্যাথা, রক্তপাত, ঘনঘন দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট বা মলিন চামড়া, অস্থিরতা, অজ্ঞানভাব, মাথা ঘুরানোর মতো উপসর্গ দেখা গেলে এবং গর্ভবর্তী নারীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
ডেঙ্গু একটি ভাইরাস জনিত রোগ। যদি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থাকে (যেমন- নিউমোনিয়া) তখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার অকার্যকর ও বিপজ্জনক।
বর্ষা মৌসুমে অর্থাৎ জুন মাস থেকে অক্টোবর মাসে হঠাৎ জ্বরজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। এতে ভাইরাস জ্বর, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর ভিড় হাসপাতালে বাড়ে। তাই রোগ নির্ণয়ে সচেতনতা ও দ্রুত চিকিৎসা নেয়া দরকার।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ হাসপাতালে এমনিতেই রোগীর চাপ, তার উপর বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। হিমশিম খেতে হচ্ছে ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীদের -সংবাদ
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
ডেঙ্গু বাহক এডিস মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই মশার কামড়ে আক্রান্ত হয়ে ৩৯১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এনিয়ে জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের শনিবার,(১২ জুলাই ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৪ হাজার ৪৬০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৫৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪১ জন, ঢাকা বিভাগে ৩৯ জন, ঢাকা উত্তরে ২০ জন, ঢাকা দক্ষিণে ৬৩ জন, খুলনা বিভাগের ৩০ জন, ময়মনসিংহে ১১ জন, রাজশাহীতে ৫৭ জন, রংপুরে ২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে নারীর সংখ্যা শতকরা ৪৩ দশমিক ৭ ভাগ। পুরুষ ৫৬ দশমিক ৩ ভাগ।
শনিবার পর্যন্ত মৃত্যুর শীর্ষে ঢাকা দক্ষিণ। মৃত্যুর সংখ্যা ২৩ জন। আর জুলাই মাসের ১২ দিনে দেশে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি ও কন্ট্রোরেল দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছে, ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬১ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১২জন, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩২ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫১ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২৬ জন, মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৩৬ জন, মিটফোর্ড হাসপাতারেল ৪৯ জন ভর্তি আছে। এভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে ২৯৬ জন ভর্তি আছে। বরগুনায় ১৮৭ জন ও কক্সবাজারে ১৯ জন ভর্তি আছে। এভাবে সারাদেশে এখনও ১৩শ’র বেশি ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছে। অন্যরা চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে মশা নিয়ন্ত্রণ কষ্টকর।
এরপরও মশা দমনে আরও উদ্যোগী হয়ে কাজ করলে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হত ? পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে বলে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানান, ডেঙ্গু হলে ৩ থেকে ৫ দিন জ্বর, মাথাব্যাথা, গায়ে ব্যাথা হয়।
ওই সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে বাড়িতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, তরল পানীয় (স্যালাইন, ফলের রস, স্যুপ) খাইতে দিতে হবে।
আর জ্বর কমানোর জন্য কেবল প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন বা ব্যাথানাশক জাতীয় ওষুধ নিষিদ্ধ। কারণ এগুলো রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
জ্বর কমে যাওয়ার পর হঠাৎ শরীর খারাপ হওয়া, পেটব্যাথা, রক্তপাত, ঘনঘন দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট বা মলিন চামড়া, অস্থিরতা, অজ্ঞানভাব, মাথা ঘুরানোর মতো উপসর্গ দেখা গেলে এবং গর্ভবর্তী নারীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
ডেঙ্গু একটি ভাইরাস জনিত রোগ। যদি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থাকে (যেমন- নিউমোনিয়া) তখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার অকার্যকর ও বিপজ্জনক।
বর্ষা মৌসুমে অর্থাৎ জুন মাস থেকে অক্টোবর মাসে হঠাৎ জ্বরজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। এতে ভাইরাস জ্বর, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর ভিড় হাসপাতালে বাড়ে। তাই রোগ নির্ণয়ে সচেতনতা ও দ্রুত চিকিৎসা নেয়া দরকার।