চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রতিদিন অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকার বালু উত্তোলন করে আসছে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট। এ কারণে বৈধভাবে ইজারা নেয়া বালুমহালগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং সরকারের রাজস্ব হারাচ্ছে কোটি টাকারও বেশি।
বৈধ ইজারাদারদের অভিযোগ, বিষয়টি জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসন, থানা ও জেলা পুলিশকে লিখিতভাবে জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এতে করে একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে উত্তোলনকৃত বালু বিক্রির কেন্দ্রগুলোতে আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি এবং সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলার জামছড়ি বালুমহালের সরকারি ইজারাদার মো. ইমতিয়াজ ফারুকী জানান, উপজেলার আমিরাবাদ পূর্ব হাজার বিঘা এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে আজিজুর হক (৩২), কিশোর গ্যাং লিডার আবরার হোসাইন সাঈদি (২৫), মো. আবু বক্কর (২০), মো. আরফাত হোসাইন (২৩), পদুয়া তেওয়ারীখিল এলাকার বাসিন্দা—এরা মিলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। তাদের সঙ্গে আমিরাবাদ এলাকার তারেক উদ্দিন (২৪), মোহাম্মদ শহীদ (৩৩) এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী ১৪ জুন বিকাল সাড়ে ৩টায় জামছড়ি খালের সরকারি ইজারাকৃত বালুমহালে গিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ব্যবসা করতে না দেয়ার হুমকি দিয়ে হামলা চালায়।
এ ঘটনায় গত ২৫ জুন পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া ২২ মে এবং ২২ জুন জেলা প্রশাসকের কাছেও অভিযোগ করা হয়।
ইজারাদার জানান, সরকারি অনুমোদিত ইজারার পরিমাণের এক-চতুর্থাংশ বালুও তিনি তুলতে পারছেন না।
অন্যদিকে চাঁদাবাজি, হুমকি এবং অবৈধ বালু উত্তোলন কেন্দ্র নিয়ে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নিলে তিনি আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবৈধ বালুমহাল এবং বিক্রয় কেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রতিদিন অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকার বালু উত্তোলন করে আসছে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট। এ কারণে বৈধভাবে ইজারা নেয়া বালুমহালগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং সরকারের রাজস্ব হারাচ্ছে কোটি টাকারও বেশি।
বৈধ ইজারাদারদের অভিযোগ, বিষয়টি জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসন, থানা ও জেলা পুলিশকে লিখিতভাবে জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এতে করে একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে উত্তোলনকৃত বালু বিক্রির কেন্দ্রগুলোতে আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি এবং সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলার জামছড়ি বালুমহালের সরকারি ইজারাদার মো. ইমতিয়াজ ফারুকী জানান, উপজেলার আমিরাবাদ পূর্ব হাজার বিঘা এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে আজিজুর হক (৩২), কিশোর গ্যাং লিডার আবরার হোসাইন সাঈদি (২৫), মো. আবু বক্কর (২০), মো. আরফাত হোসাইন (২৩), পদুয়া তেওয়ারীখিল এলাকার বাসিন্দা—এরা মিলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। তাদের সঙ্গে আমিরাবাদ এলাকার তারেক উদ্দিন (২৪), মোহাম্মদ শহীদ (৩৩) এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী ১৪ জুন বিকাল সাড়ে ৩টায় জামছড়ি খালের সরকারি ইজারাকৃত বালুমহালে গিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ব্যবসা করতে না দেয়ার হুমকি দিয়ে হামলা চালায়।
এ ঘটনায় গত ২৫ জুন পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া ২২ মে এবং ২২ জুন জেলা প্রশাসকের কাছেও অভিযোগ করা হয়।
ইজারাদার জানান, সরকারি অনুমোদিত ইজারার পরিমাণের এক-চতুর্থাংশ বালুও তিনি তুলতে পারছেন না।
অন্যদিকে চাঁদাবাজি, হুমকি এবং অবৈধ বালু উত্তোলন কেন্দ্র নিয়ে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নিলে তিনি আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবৈধ বালুমহাল এবং বিক্রয় কেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।