দেশে প্রতিদিন নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। একের পর এক আলোচিত ধর্ষণের ঘটনায় নারীদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ছে। সর্বশেষ কুমিল্লার মুরাদনগরে বাসায় ঢুকে নারী নির্যাতন এবং পঞ্চগড়ে শিশুর গলায় ছুরি ধরে মাকে নির্যাতনের ঘটনায় দেশজুড়ে আতংক বিরাজ করছে। পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনায় মামলা ও তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। অপরাধী যেই হোক, কাউকেই ছাড় দেয়া হচ্ছে না।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৮ মাসে দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় ১৪ হাজারেরও বেশি মামলা দায়ের হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ৫০০টি মামলা দায়ের হয়েছে।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী,
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ধর্ষণের ঘটনায় ৬৮৪টি, মার্চ মাসে ৬২০টি, জানুয়ারিতে ৪৭৩টি এবং ফেব্রুয়ারিতে ৪৩৭টি মামলা হয়েছে।
পুলিশের একজন ডিআইজি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, মূলত তিনটি কারণে ধর্ষণের ঘটনা বেশি ঘটছে মাদক, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ এবং প্রেম সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব। এছাড়া, মাদক সেবন ও মাদক সংক্রান্ত বিরোধ থেকেও অনেক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে।
একজন নারী চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘যেভাবে দেশে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলেছে, তাতে নারীদেরকেই এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করতে হবে। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কাজ করতে হবে, যেন এই নির্যাতন বন্ধ করা যায়।’
তিনি আরও জানান, কর্মক্ষেত্রেও অনেক নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, তবে চাকরি হারানোর ভয়ে কেউ কেউ মুখ খুলছেন না। অভিযোগ করার পর উল্টো হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সম্মান রক্ষার কথা ভেবে অনেকেই চুপ থেকে সহ্য করছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (মিডিয়া) তালেবুর রহমান জানান, ‘পুলিশ প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নিচ্ছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করছে। তারপরও এসব ঘটনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। সামাজিক মূল্যবোধ ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো না গেলে কেবল আইনি ব্যবস্থা যথেষ্ট হবে না।’
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
দেশে প্রতিদিন নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। একের পর এক আলোচিত ধর্ষণের ঘটনায় নারীদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ছে। সর্বশেষ কুমিল্লার মুরাদনগরে বাসায় ঢুকে নারী নির্যাতন এবং পঞ্চগড়ে শিশুর গলায় ছুরি ধরে মাকে নির্যাতনের ঘটনায় দেশজুড়ে আতংক বিরাজ করছে। পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনায় মামলা ও তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। অপরাধী যেই হোক, কাউকেই ছাড় দেয়া হচ্ছে না।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৮ মাসে দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় ১৪ হাজারেরও বেশি মামলা দায়ের হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ৫০০টি মামলা দায়ের হয়েছে।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী,
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ধর্ষণের ঘটনায় ৬৮৪টি, মার্চ মাসে ৬২০টি, জানুয়ারিতে ৪৭৩টি এবং ফেব্রুয়ারিতে ৪৩৭টি মামলা হয়েছে।
পুলিশের একজন ডিআইজি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, মূলত তিনটি কারণে ধর্ষণের ঘটনা বেশি ঘটছে মাদক, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ এবং প্রেম সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব। এছাড়া, মাদক সেবন ও মাদক সংক্রান্ত বিরোধ থেকেও অনেক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে।
একজন নারী চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘যেভাবে দেশে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলেছে, তাতে নারীদেরকেই এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করতে হবে। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কাজ করতে হবে, যেন এই নির্যাতন বন্ধ করা যায়।’
তিনি আরও জানান, কর্মক্ষেত্রেও অনেক নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, তবে চাকরি হারানোর ভয়ে কেউ কেউ মুখ খুলছেন না। অভিযোগ করার পর উল্টো হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সম্মান রক্ষার কথা ভেবে অনেকেই চুপ থেকে সহ্য করছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (মিডিয়া) তালেবুর রহমান জানান, ‘পুলিশ প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নিচ্ছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করছে। তারপরও এসব ঘটনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। সামাজিক মূল্যবোধ ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো না গেলে কেবল আইনি ব্যবস্থা যথেষ্ট হবে না।’