জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে নতুন দুটি বিভাগ তৈরির অধ্যাদেশ নিয়ে চতুরতার অভিযোগ তুলেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, “এই অধ্যাদেশ প্রণয়নের সময় চতুরতার আশ্রয় নেওয়া হয়েছিল।”
রোববার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানান, এই অধ্যাদেশ সংশোধন করা হবে এবং এর ভিত্তিতে গঠিত রাজস্ব নীতি বিভাগ ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে কোনো ক্যাডারের আধিপত্য থাকবে না।
ফাওজুল কবির খান বলেন, “অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ‘উপযুক্ত ব্যক্তি’ সচিব হবেন। এই ‘উপযুক্ত ব্যক্তি’ কে? এটা তো স্পষ্ট নয়। এখানে মৌলিক সমস্যা রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডার ও শুল্ক-করের কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়েছে।”
চলতি বছরের ১২ মে এনবিআর বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ গঠন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এরপর থেকেই এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনে নেমে পড়েন। এ পরিস্থিতিতে ফাওজুল কবির খানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়।
তিনি বলেন, “এনবিআরের নাম শুনলেই মানুষ হাসে। প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে নামটিই আর রাখার দরকার নেই।” তবে তিনি দাবি করেন, “দুদককে আন্দোলন ঠেকাতে ব্যবহার করা হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত আগেই শুরু হয়েছিল।”
ফাওজুল কবির বলেন, “তাঁরা (এনবিআর কর্মচারীরা) সরকারের আস্থা হারিয়েছেন। আন্দোলনের নামে তাঁরা রাজস্ব আদায়ে বাধা দিয়েছেন, সরকারের ক্ষতি করেছেন, এমনকি সরকারবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন।”
তিনি বলেন, “এটা কোনো ব্যক্তিগত আড়ত নয়, যেখানে সবাই কাজ ফেলে আন্দোলনে যাবে।”
রাজস্ব নীতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে নিয়োগের জন্য পৃথক নীতিমালা তৈরির সুপারিশ করবেন বলে জানান উপদেষ্টা। সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিয়োগে নির্দিষ্ট যোগ্যতার মানদণ্ড নির্ধারণের কথাও জানান তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতিতে অনিশ্চয়তা নিয়ে প্রশ্নে ফাওজুল কবির বলেন, “শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন শুধু বাণিজ্য নয়, জাতীয় নিরাপত্তা ও অশুল্ক বাধা নিয়েও ভাবছে। এসব নিয়ে একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি হচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে তিনি জানান, “রাজস্ব আহরণের গতি কমে গেছে। মাঠে গিয়ে যাচাই করব—আগে কী সেবা দিত, এখন কী দিচ্ছে।” কমিটির প্রতিবেদন দ্রুত অর্থ উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে নতুন দুটি বিভাগ তৈরির অধ্যাদেশ নিয়ে চতুরতার অভিযোগ তুলেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, “এই অধ্যাদেশ প্রণয়নের সময় চতুরতার আশ্রয় নেওয়া হয়েছিল।”
রোববার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানান, এই অধ্যাদেশ সংশোধন করা হবে এবং এর ভিত্তিতে গঠিত রাজস্ব নীতি বিভাগ ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে কোনো ক্যাডারের আধিপত্য থাকবে না।
ফাওজুল কবির খান বলেন, “অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ‘উপযুক্ত ব্যক্তি’ সচিব হবেন। এই ‘উপযুক্ত ব্যক্তি’ কে? এটা তো স্পষ্ট নয়। এখানে মৌলিক সমস্যা রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডার ও শুল্ক-করের কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়েছে।”
চলতি বছরের ১২ মে এনবিআর বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ গঠন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এরপর থেকেই এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনে নেমে পড়েন। এ পরিস্থিতিতে ফাওজুল কবির খানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়।
তিনি বলেন, “এনবিআরের নাম শুনলেই মানুষ হাসে। প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে নামটিই আর রাখার দরকার নেই।” তবে তিনি দাবি করেন, “দুদককে আন্দোলন ঠেকাতে ব্যবহার করা হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত আগেই শুরু হয়েছিল।”
ফাওজুল কবির বলেন, “তাঁরা (এনবিআর কর্মচারীরা) সরকারের আস্থা হারিয়েছেন। আন্দোলনের নামে তাঁরা রাজস্ব আদায়ে বাধা দিয়েছেন, সরকারের ক্ষতি করেছেন, এমনকি সরকারবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন।”
তিনি বলেন, “এটা কোনো ব্যক্তিগত আড়ত নয়, যেখানে সবাই কাজ ফেলে আন্দোলনে যাবে।”
রাজস্ব নীতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে নিয়োগের জন্য পৃথক নীতিমালা তৈরির সুপারিশ করবেন বলে জানান উপদেষ্টা। সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিয়োগে নির্দিষ্ট যোগ্যতার মানদণ্ড নির্ধারণের কথাও জানান তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতিতে অনিশ্চয়তা নিয়ে প্রশ্নে ফাওজুল কবির বলেন, “শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন শুধু বাণিজ্য নয়, জাতীয় নিরাপত্তা ও অশুল্ক বাধা নিয়েও ভাবছে। এসব নিয়ে একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি হচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে তিনি জানান, “রাজস্ব আহরণের গতি কমে গেছে। মাঠে গিয়ে যাচাই করব—আগে কী সেবা দিত, এখন কী দিচ্ছে।” কমিটির প্রতিবেদন দ্রুত অর্থ উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।