জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পলাতক ২৪ আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
একইসঙ্গে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকা আসামি রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ আপিলকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই আদেশ দেয়।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার, আব্দুস সাত্তার পালোয়ান এবং বি এম সুলতান মাহমুদ।
এর আগে মামলার চার আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তারা হলেন—পুলিশের সাবেক এসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম এবং ছাত্রলীগকর্মী ইমরান চৌধুরী আকাশ।
এই বিষয়ে প্রসিকিউটর আব্দুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, “আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এদের মধ্যে চারজন আগে থেকেই গ্রেপ্তার। দুইজন অন্য মামলায় আটক থাকায় তাদের প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট চেয়ে আমরা আবেদন করেছি এবং ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেছে। বাকি ২৪ জন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।”
তিনি আরও জানান, আগামী ২২ জুলাই পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে। ওই দিন বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পলাতকরা হাজির না হলে রাষ্ট্র তাদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ দেবে এবং মামলার অভিযোগ গঠনের কার্যক্রম শুরু হবে।
গত ৩০ জুন এই মামলার অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল এবং পলাতক ২৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদনে ৩০ জনের সম্পৃক্ততার তথ্য উঠে আসে। ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যু হয়। তার দুই হাত প্রসারিত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
পরদিন থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মাধ্যমে শুরু হয় ব্যাপক গণআন্দোলন। ১৯ জুলাই কারফিউ দিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয় সরকার। একপর্যায়ে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে এবং তিনি বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে চলে যান।
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পলাতক ২৪ আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
একইসঙ্গে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকা আসামি রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ আপিলকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই আদেশ দেয়।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার, আব্দুস সাত্তার পালোয়ান এবং বি এম সুলতান মাহমুদ।
এর আগে মামলার চার আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তারা হলেন—পুলিশের সাবেক এসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম এবং ছাত্রলীগকর্মী ইমরান চৌধুরী আকাশ।
এই বিষয়ে প্রসিকিউটর আব্দুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, “আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এদের মধ্যে চারজন আগে থেকেই গ্রেপ্তার। দুইজন অন্য মামলায় আটক থাকায় তাদের প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট চেয়ে আমরা আবেদন করেছি এবং ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেছে। বাকি ২৪ জন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।”
তিনি আরও জানান, আগামী ২২ জুলাই পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে। ওই দিন বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পলাতকরা হাজির না হলে রাষ্ট্র তাদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ দেবে এবং মামলার অভিযোগ গঠনের কার্যক্রম শুরু হবে।
গত ৩০ জুন এই মামলার অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল এবং পলাতক ২৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদনে ৩০ জনের সম্পৃক্ততার তথ্য উঠে আসে। ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যু হয়। তার দুই হাত প্রসারিত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
পরদিন থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মাধ্যমে শুরু হয় ব্যাপক গণআন্দোলন। ১৯ জুলাই কারফিউ দিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয় সরকার। একপর্যায়ে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে এবং তিনি বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে চলে যান।