মব সৃষ্টির মাধ্যমে নৈরাজ্য ও একের পর এক নৃশংস ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে সারাদেশে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে সরকার।
রোববার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চুরি, ছিনতাই, মব সহিংসতাসহ সব ধরনের অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার যে কোনো সময় বিশেষ বা চিরুনি অভিযান চালাতে পারে। এ অভিযান এখন থেকেই শুরু হচ্ছে বলে জানান তিনি এবং সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈঠকে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, অস্থিরতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে সামাজিক আন্দোলন, মাদক প্রতিরোধ, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং কারখানায় অস্থিরতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয়ের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মিটফোর্ডে মাথা থেঁতলে হত্যা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “এটা দুঃখজনক এবং সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায় না। সরকার এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে কাজ করছে।”
গত বুধবার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩২) নামে এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে, মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। তিনি মিটফোর্ড এলাকায় পুরনো তারের ব্যবসা করতেন।
এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সারা দেশে ক্ষোভ ছড়ায় এবং বিভিন্ন স্থানে দোষীদের শাস্তির দাবিতে কর্মসূচি পালিত হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকারীরা বিএনপি ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মামলায় নাম আসায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল তাদের পাঁচজন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে।
তবে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলো শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করে, সরকার পরিকল্পিতভাবে প্রশাসনকে নিষ্ক্রিয় রেখেছে যাতে দেশে অরাজকতা তৈরি করে নির্বাচনের সময় বিলম্ব করা যায়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত তৎপর। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করছে।”
তিনি জানান, ঘটনায় জড়িত ১৯ জনের মধ্যে সাতজনকে র্যাব, সেনাবাহিনী ও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে ছয়জনকে ভিডিও দেখে শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা চলছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো শৈথিল্য ছিল কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
“অপরাধী অপরাধীই, সে যে দলেরই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না,” বলেন উপদেষ্টা।
তিনি মন্তব্য করেন, সামাজিক অস্থিরতা, অসহিষ্ণুতা ও নৈতিক স্খলনের কারণেই অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সমাজের সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আইন নিজের হাতে না তোলার অনুরোধ করেন।
নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের প্রস্তুতি শেষ করতে চাই। নির্বাচন কমিশন কবে তারিখ দেবে, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। রোজার আগে বা পরে হতে পারে।”
মিটফোর্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কেউ আনসার বাহিনীকে খবরও দেয়নি। তবে এ বিষয়ে কাউকে দোষ দিচ্ছি না।”
অপরাধীরা জামিন পেয়ে যাচ্ছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
মব সৃষ্টির মাধ্যমে নৈরাজ্য ও একের পর এক নৃশংস ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে সারাদেশে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে সরকার।
রোববার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চুরি, ছিনতাই, মব সহিংসতাসহ সব ধরনের অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার যে কোনো সময় বিশেষ বা চিরুনি অভিযান চালাতে পারে। এ অভিযান এখন থেকেই শুরু হচ্ছে বলে জানান তিনি এবং সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈঠকে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, অস্থিরতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে সামাজিক আন্দোলন, মাদক প্রতিরোধ, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং কারখানায় অস্থিরতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয়ের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মিটফোর্ডে মাথা থেঁতলে হত্যা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “এটা দুঃখজনক এবং সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায় না। সরকার এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে কাজ করছে।”
গত বুধবার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩২) নামে এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে, মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। তিনি মিটফোর্ড এলাকায় পুরনো তারের ব্যবসা করতেন।
এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সারা দেশে ক্ষোভ ছড়ায় এবং বিভিন্ন স্থানে দোষীদের শাস্তির দাবিতে কর্মসূচি পালিত হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকারীরা বিএনপি ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মামলায় নাম আসায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল তাদের পাঁচজন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে।
তবে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলো শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করে, সরকার পরিকল্পিতভাবে প্রশাসনকে নিষ্ক্রিয় রেখেছে যাতে দেশে অরাজকতা তৈরি করে নির্বাচনের সময় বিলম্ব করা যায়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত তৎপর। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করছে।”
তিনি জানান, ঘটনায় জড়িত ১৯ জনের মধ্যে সাতজনকে র্যাব, সেনাবাহিনী ও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে ছয়জনকে ভিডিও দেখে শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা চলছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো শৈথিল্য ছিল কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
“অপরাধী অপরাধীই, সে যে দলেরই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না,” বলেন উপদেষ্টা।
তিনি মন্তব্য করেন, সামাজিক অস্থিরতা, অসহিষ্ণুতা ও নৈতিক স্খলনের কারণেই অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সমাজের সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আইন নিজের হাতে না তোলার অনুরোধ করেন।
নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের প্রস্তুতি শেষ করতে চাই। নির্বাচন কমিশন কবে তারিখ দেবে, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। রোজার আগে বা পরে হতে পারে।”
মিটফোর্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কেউ আনসার বাহিনীকে খবরও দেয়নি। তবে এ বিষয়ে কাউকে দোষ দিচ্ছি না।”
অপরাধীরা জামিন পেয়ে যাচ্ছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলতে হবে।