সরকারি মাধ্যমের চার হাজার ৯৭৮ জন হজযাত্রীকে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
তিনি বলেন, “হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য নেই। হাজিদের সেবা করাই সরকারের একমাত্র ব্রত। এ বছর হজ প্যাকেজে বাড়িভাড়ার জন্য যে পরিমাণ টাকা ধার্য করা হয়েছিল, তার চেয়ে কিছু কম রেটে বাড়ি ভাড়া পাওয়া গেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কম রেটে সার্ভিস চার্জও মিলেছে। এর ফলে প্যাকেজের কিছু টাকা উদ্বৃত্ত রয়েছে। এই উদ্বৃত্ত টাকা সরকারি মাধ্যমের প্রত্যেক হাজিকে ফেরত দেওয়া হবে।”
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চলতি বছরের হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা জানান, সাধারণ হজ প্যাকেজ-১ (পূর্ণ প্যাকেজ) এর যেসব হাজি চার ও ছয় নম্বর বাড়িতে ছিলেন, তারা প্রত্যেকে ৫ হাজার ৩১৫ টাকা এবং পাঁচ নম্বর বাড়িতে অবস্থানকারীরা ১৩ হাজার ৫৭০ টাকা করে ফেরত পাবেন। যারা শর্ট প্যাকেজের চার নম্বর বাড়িতে ছিলেন, তারা প্রত্যেকে ২৩ হাজার ২৭ টাকা করে ফেরত পাবেন।
তিনি আরও জানান, সাধারণ হজ প্যাকেজ-২ (পূর্ণ প্যাকেজ) এর যেসব হাজি এক নম্বর বাড়িতে ছিলেন, তারা প্রত্যেকে ১৯ হাজার ১৯২ টাকা এবং শর্ট প্যাকেজের হাজিরা ৫১ হাজার ৬৯২ টাকা করে ফেরত পাবেন। দুই নম্বর বাড়িতে অবস্থানকারী পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ২১ হাজার ১৪২ টাকা এবং শর্ট প্যাকেজের হাজিরা ৫৩ হাজার ৬৪২ টাকা করে ফেরত পাবেন। তিন নম্বর বাড়িতে অবস্থানকারী পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ২৪ হাজার ২৬২ টাকা ফেরত পাবেন।
এসব টাকা হাজিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ফেরত দেওয়া হবে জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “এবছর হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি সরকারের গাইডলাইন অনুসারে সকল প্রক্রিয়া যথাসময়ে সম্পন্ন হয়েছে। হজযাত্রী নিবন্ধন, হজের আবশ্যিক ব্যয়ের টাকা আইবিএনের মাধ্যমে সৌদিতে প্রেরণ, নুসুক মাসার অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মিনা-আরাফায় তাঁবু বরাদ্দ, বাড়িভাড়া ও সার্ভিস কোম্পানির সাথে চুক্তি, পরিবহন চুক্তি, ভিসা প্রক্রিয়াকরণ এবং হজ ফ্লাইট সিডিউল অনুযায়ী যাত্রী পুনঃবণ্টন করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা ছিল প্রো-অ্যাক্টিভ। কোনো সংকট তৈরি হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এবছর হজে যেতে না পারায় কাউকে কাঁদতে হয়নি, কোনো হজ ফ্লাইট বিপর্যয় হয়নি, হট্টগোল দেখা যায়নি। বাংলাদেশের নিবন্ধিত শতভাগ হজযাত্রী হজ পালন করতে পেরেছেন।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন ধর্ম সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক, অতিরিক্ত সচিব আয়াতুল ইসলাম, হজ অনুবিভাগের যুগ্মসচিব মঞ্জুরুল হক, হাবের সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার ও মহাসচিব ফরিদ আহমদ মজুমদার।
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
সরকারি মাধ্যমের চার হাজার ৯৭৮ জন হজযাত্রীকে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
তিনি বলেন, “হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য নেই। হাজিদের সেবা করাই সরকারের একমাত্র ব্রত। এ বছর হজ প্যাকেজে বাড়িভাড়ার জন্য যে পরিমাণ টাকা ধার্য করা হয়েছিল, তার চেয়ে কিছু কম রেটে বাড়ি ভাড়া পাওয়া গেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কম রেটে সার্ভিস চার্জও মিলেছে। এর ফলে প্যাকেজের কিছু টাকা উদ্বৃত্ত রয়েছে। এই উদ্বৃত্ত টাকা সরকারি মাধ্যমের প্রত্যেক হাজিকে ফেরত দেওয়া হবে।”
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চলতি বছরের হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা জানান, সাধারণ হজ প্যাকেজ-১ (পূর্ণ প্যাকেজ) এর যেসব হাজি চার ও ছয় নম্বর বাড়িতে ছিলেন, তারা প্রত্যেকে ৫ হাজার ৩১৫ টাকা এবং পাঁচ নম্বর বাড়িতে অবস্থানকারীরা ১৩ হাজার ৫৭০ টাকা করে ফেরত পাবেন। যারা শর্ট প্যাকেজের চার নম্বর বাড়িতে ছিলেন, তারা প্রত্যেকে ২৩ হাজার ২৭ টাকা করে ফেরত পাবেন।
তিনি আরও জানান, সাধারণ হজ প্যাকেজ-২ (পূর্ণ প্যাকেজ) এর যেসব হাজি এক নম্বর বাড়িতে ছিলেন, তারা প্রত্যেকে ১৯ হাজার ১৯২ টাকা এবং শর্ট প্যাকেজের হাজিরা ৫১ হাজার ৬৯২ টাকা করে ফেরত পাবেন। দুই নম্বর বাড়িতে অবস্থানকারী পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ২১ হাজার ১৪২ টাকা এবং শর্ট প্যাকেজের হাজিরা ৫৩ হাজার ৬৪২ টাকা করে ফেরত পাবেন। তিন নম্বর বাড়িতে অবস্থানকারী পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ২৪ হাজার ২৬২ টাকা ফেরত পাবেন।
এসব টাকা হাজিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ফেরত দেওয়া হবে জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “এবছর হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি সরকারের গাইডলাইন অনুসারে সকল প্রক্রিয়া যথাসময়ে সম্পন্ন হয়েছে। হজযাত্রী নিবন্ধন, হজের আবশ্যিক ব্যয়ের টাকা আইবিএনের মাধ্যমে সৌদিতে প্রেরণ, নুসুক মাসার অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মিনা-আরাফায় তাঁবু বরাদ্দ, বাড়িভাড়া ও সার্ভিস কোম্পানির সাথে চুক্তি, পরিবহন চুক্তি, ভিসা প্রক্রিয়াকরণ এবং হজ ফ্লাইট সিডিউল অনুযায়ী যাত্রী পুনঃবণ্টন করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা ছিল প্রো-অ্যাক্টিভ। কোনো সংকট তৈরি হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এবছর হজে যেতে না পারায় কাউকে কাঁদতে হয়নি, কোনো হজ ফ্লাইট বিপর্যয় হয়নি, হট্টগোল দেখা যায়নি। বাংলাদেশের নিবন্ধিত শতভাগ হজযাত্রী হজ পালন করতে পেরেছেন।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন ধর্ম সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক, অতিরিক্ত সচিব আয়াতুল ইসলাম, হজ অনুবিভাগের যুগ্মসচিব মঞ্জুরুল হক, হাবের সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার ও মহাসচিব ফরিদ আহমদ মজুমদার।