সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পঞ্চম দফায় আরও ৬০ দিন বাড়িয়েছে সরকার। রোববার,(১৩ জুলাই ২০২৫) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১৪ জুলাই থেকে পরবর্তী ৬০ দিন এই ক্ষমতা বলবৎ থাকবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে থেকে সারাদেশে মোতায়েন ছিল সেনাবাহিনী। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কারফিউ তোলা হলেও বিপর্যস্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সেনা সদস্যদের মাঠপর্যায়ে রেখে দেয়া হয়। পরে যৌথবাহিনী অভিযানেও নামে।
ওই পরিস্থিতির মধ্যে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রথমবার ১৭ সেপ্টেম্বর দুই মাসের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়। পরে নৌ ও বিমান বাহিনীসহ কমিশনড কর্মকর্তাদেরও একই ক্ষমতা দিয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। গত নভেম্বরে এ ক্ষমতার মেয়াদ প্রথম দফায়, জানুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় গত মার্চে তৃতীয় দফায় এবং জুন মাসে চতুর্থ দফায় ৬০ দিন করে বাড়ানো হয়।
শুরু থেকেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। নিয়মিত টহল কার্যক্রমের পাশাপাশি কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সেখানেও যৌথ বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিত হতে দেখা গেছে। সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাতেও দেখা গেছে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের।
রোববার সময় বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশনড কর্মকর্তারা (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) এ সময় বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাবে।
ফৌজদারি কার্যবিধির যে ১৭ নম্বর ধারায় সেনা কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, সেখানে এসব নির্বাহী হাকিমরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অর্থাৎ জেলা প্রশাসকের অধীনে থাকবে। ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারার অধীনে তাদের কার্যক্রম চলার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
এসব ধারায় গ্রেপ্তার ও গ্রেপ্তারের আদেশ, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করা, তল্লাশি পরোয়ানা জারি, অসদাচরণ ও ছোটখাটো অপরাধের জন্য মুচলেকা আদায়, মুচলেকা থেকে অব্যাহতি, বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের। একই সঙ্গে স্থাবর সম্পত্তি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বাধা অপসারণ এবং জনগণের ক্ষতির আশঙ্কা করলে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারবেন তারা।
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পঞ্চম দফায় আরও ৬০ দিন বাড়িয়েছে সরকার। রোববার,(১৩ জুলাই ২০২৫) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১৪ জুলাই থেকে পরবর্তী ৬০ দিন এই ক্ষমতা বলবৎ থাকবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে থেকে সারাদেশে মোতায়েন ছিল সেনাবাহিনী। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কারফিউ তোলা হলেও বিপর্যস্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সেনা সদস্যদের মাঠপর্যায়ে রেখে দেয়া হয়। পরে যৌথবাহিনী অভিযানেও নামে।
ওই পরিস্থিতির মধ্যে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রথমবার ১৭ সেপ্টেম্বর দুই মাসের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়। পরে নৌ ও বিমান বাহিনীসহ কমিশনড কর্মকর্তাদেরও একই ক্ষমতা দিয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। গত নভেম্বরে এ ক্ষমতার মেয়াদ প্রথম দফায়, জানুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় গত মার্চে তৃতীয় দফায় এবং জুন মাসে চতুর্থ দফায় ৬০ দিন করে বাড়ানো হয়।
শুরু থেকেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। নিয়মিত টহল কার্যক্রমের পাশাপাশি কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সেখানেও যৌথ বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিত হতে দেখা গেছে। সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাতেও দেখা গেছে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের।
রোববার সময় বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশনড কর্মকর্তারা (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) এ সময় বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাবে।
ফৌজদারি কার্যবিধির যে ১৭ নম্বর ধারায় সেনা কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, সেখানে এসব নির্বাহী হাকিমরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অর্থাৎ জেলা প্রশাসকের অধীনে থাকবে। ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারার অধীনে তাদের কার্যক্রম চলার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
এসব ধারায় গ্রেপ্তার ও গ্রেপ্তারের আদেশ, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করা, তল্লাশি পরোয়ানা জারি, অসদাচরণ ও ছোটখাটো অপরাধের জন্য মুচলেকা আদায়, মুচলেকা থেকে অব্যাহতি, বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের। একই সঙ্গে স্থাবর সম্পত্তি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বাধা অপসারণ এবং জনগণের ক্ষতির আশঙ্কা করলে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারবেন তারা।