পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে মাথা থেঁতলে হত্যার মামলায় আরও দুই আসামিকে রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। ঢাকার মহানগর হাকিম মো. সেফাতুল্লাহ রোববার,(১৩ জুলাই ২০২৫) বিকেলে তাদের চার দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেয়। রিমান্ডে যাওয়া দুই আসামি হলেন মো. আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনির।
প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী রিমান্ডের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এদিন দুই আসামিকে আদালতে তুলে প্রত্যেককে ৭দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান। এ মামলায় গত বৃহস্পতিবার মাহমুদুল হাসান মহিনকে ৫ দিনের এবং গতকাল শনিবার টিটন গাজীকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দেয় আদালত। এ ঘটনায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় গত বৃহস্পতিবার তারেক রহমান রবিনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে গতকাল শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত বুধবার বিকেলে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে প্রকাশ্যে কংক্রিট বোল্ডার দিয়ে শরীর ও মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয় ভাঙারি ও পুরনো তারের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে। পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, ওই হত্যাকাণ্ডে যাদের অংশ নিতে দেখা গেছে এবং নেপথ্যে যাদের নাম আসছে, তারা সবাই পূর্ব পরিচিত। একসময় তাদের কয়েকজন সোহাগের ব্যবসার সহযোগী ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার মামলা করেন। এরপর পুলিশ মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর গত শুক্রবার কেরানীগঞ্জ ইবনে সিনা হাসপাতাল থেকে আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনিরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। একই দিন টিটন গাজীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পরের দিন ঘটনার ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, মিটফোর্ডের ৩ নম্বর গেটের ভেতর থেকে প্রায় বস্ত্রহীন ও রক্তাক্ত এক যুবককে দুইজন টেনেহিঁচড়ে বের করে এনে গালে চড় মারছেন একজন। অন্যজনকে বুকের ওপর লাফাতে দেখা যায়। আরেকজন এসে প্রায় নিস্তেজ যুবকের মাথায় লাথি মারে এবং একপর্যায়ে পাশে থাকা কংক্রিটের বোল্ডার দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এ ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনা ও প্রতিবাদ শুরু হয়। হত্যাকাণ্ডের পর বহিষ্কার করা হয় বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠনের পাঁচজনকে।
পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা: তদন্তে বিচারিক কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট মামলা
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা তদন্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচারিক কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট মামলা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘শুনানির জন্য রিটটি বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়েছে। আগামীকাল (আজ) তা শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় আসবে।
গত বুধবার পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যা করা হয় সোহাগকে (৩৯)। হত্যার আগে ডেকে নিয়ে তাকে পিটিয়ে, ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। তার শরীরের ওপর উঠে লাফায় কেউ কেউ।
সোহাগ হত্যার ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় গত বৃহস্পতিবার মামলা করেন তার বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২)। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১৫-২০ জনকে।
দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই হত্যা মামলায় টিটন গাজীসহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ছয়জন হলেন মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১), তারেক রহমান রবিন (২২), আলমগীর (২৮), মনির ওরফে ছোট মনির (২৫), সজীব ও রাজীব।
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে মাথা থেঁতলে হত্যার মামলায় আরও দুই আসামিকে রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। ঢাকার মহানগর হাকিম মো. সেফাতুল্লাহ রোববার,(১৩ জুলাই ২০২৫) বিকেলে তাদের চার দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেয়। রিমান্ডে যাওয়া দুই আসামি হলেন মো. আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনির।
প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী রিমান্ডের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এদিন দুই আসামিকে আদালতে তুলে প্রত্যেককে ৭দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান। এ মামলায় গত বৃহস্পতিবার মাহমুদুল হাসান মহিনকে ৫ দিনের এবং গতকাল শনিবার টিটন গাজীকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দেয় আদালত। এ ঘটনায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় গত বৃহস্পতিবার তারেক রহমান রবিনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে গতকাল শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত বুধবার বিকেলে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে প্রকাশ্যে কংক্রিট বোল্ডার দিয়ে শরীর ও মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয় ভাঙারি ও পুরনো তারের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে। পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, ওই হত্যাকাণ্ডে যাদের অংশ নিতে দেখা গেছে এবং নেপথ্যে যাদের নাম আসছে, তারা সবাই পূর্ব পরিচিত। একসময় তাদের কয়েকজন সোহাগের ব্যবসার সহযোগী ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার মামলা করেন। এরপর পুলিশ মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর গত শুক্রবার কেরানীগঞ্জ ইবনে সিনা হাসপাতাল থেকে আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনিরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। একই দিন টিটন গাজীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পরের দিন ঘটনার ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, মিটফোর্ডের ৩ নম্বর গেটের ভেতর থেকে প্রায় বস্ত্রহীন ও রক্তাক্ত এক যুবককে দুইজন টেনেহিঁচড়ে বের করে এনে গালে চড় মারছেন একজন। অন্যজনকে বুকের ওপর লাফাতে দেখা যায়। আরেকজন এসে প্রায় নিস্তেজ যুবকের মাথায় লাথি মারে এবং একপর্যায়ে পাশে থাকা কংক্রিটের বোল্ডার দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এ ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনা ও প্রতিবাদ শুরু হয়। হত্যাকাণ্ডের পর বহিষ্কার করা হয় বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠনের পাঁচজনকে।
পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা: তদন্তে বিচারিক কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট মামলা
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা তদন্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচারিক কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট মামলা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘শুনানির জন্য রিটটি বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়েছে। আগামীকাল (আজ) তা শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় আসবে।
গত বুধবার পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যা করা হয় সোহাগকে (৩৯)। হত্যার আগে ডেকে নিয়ে তাকে পিটিয়ে, ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। তার শরীরের ওপর উঠে লাফায় কেউ কেউ।
সোহাগ হত্যার ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় গত বৃহস্পতিবার মামলা করেন তার বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২)। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১৫-২০ জনকে।
দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই হত্যা মামলায় টিটন গাজীসহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ছয়জন হলেন মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১), তারেক রহমান রবিন (২২), আলমগীর (২৮), মনির ওরফে ছোট মনির (২৫), সজীব ও রাজীব।