কমলনগরে হতাশায় মাছঘাটের ব্যবসায়ীরা -সংবাদ
লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে ইলিশ পাচ্ছে না জেলেরা। হতাশা নিয়েই নদী থেকে ফিরতে হচ্ছে জেলেদের। এতে লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের। অল্প কিছু মাছ ধরা পড়লেও দাম আকাশচুম্বী। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে ইলিশ।
তবে আহরণ কম হলেও রামগতি-কমলনগরের জেলার ১২টি ঘাটেই হালি বা পিস অনুযায়ী ইলিশের নিলাম বা ডাক ওঠে। কেজি দরে কখনো বিক্রি হয়নি ইলিশ।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য বিভাগ প্রতি বছর ২৩-২৪ হাজার টন ইলিশ উৎপাদন দেখায়। ‘অফিসে বসে’ কর্মকর্তারা ‘অনুমান নির্ভর তথ্য’ দেন বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।
ঘাটের জেলে, আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা জানান, কোনো সরকারি-বেসরকারি গণনাকারীকে কখনো কোনো ঘাটে দেখেননি তারা। এর পরও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার বক্তব্য, উৎপাদন তথ্য সংগ্রহে ১২টি ঘাটে গণনাকারী রয়েছে।
কিন্তু ঘাট ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘এসি রুমে’ বসে মনগড়া হিসাবে প্রকৃত তথ্য আড়াল করছে মৎস্য বিভাগ। মাঠপর্যায়ে কোনো তথ্যই কেউ সংগ্রহ করছে না।
কিন্তু ঘাটের ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতিটি ঘাটে জেলেরা নদী ও সাগর থেকে এসে ঘাটের আড়তদারদের বাক্সে মাছ রাখে। এরপর উন্মুক্ত নিলামে হালি (৪টি) হিসাবে ইলিশ বিক্রি হয়। ইলিশের আকালের কারণে প্রতিদিন সব ঘাটে ১০ টন ইলিশও পাওয়া যায়নি।
বাতিরখাল মাছঘাটের বৃদ্ধ জেলে সালেহ আহম্মদ বলেন, সব মাছ মোকামে যায় না। নদীতে ইলিশ নেই। জাল ফেলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন জেলেরা।
বাতিরখাল মাছঘাটের আড়তদার হেলাল বলেন, ইলিশের নিলাম ডাক হালি হিসাবে করা হয়। সব ঘাটেই একই নিয়ম। গত ১১ বছর কখনো কাউকে হিসাব নিতে দেখিনি।
সোহাগ ব্যাপারী বলেন, জেলা মৎস্য বিভাগের হিসাব অনুমাননির্ভর। বিভিন্ন ঘাটে গিয়ে মাছ ক্রয় করে চাঁদপুরে বিক্রি করি। কখনো কোনো কর্মকর্তা বা গণনাকারীকে ঘাটে এসে ইলিশের হিসাব নিতে দেখিনি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন জানান, জেলায় ২৫টি মাছঘাট আছে। এর মধ্যে সদর, রামগতি, কমলনগর- এরূপ ১২টি বড় মাছঘাটে মৎস্য অফিসের পক্ষ থেকে ১২ জন গণনাকারী রয়েছেন। প্রতি সন্ধ্যায় তারা মৎস্য অফিসে ইলিশ আহরণের হিসাব পাঠান। এর মাধ্যমেই মৎস্য বিভাগ ইলিশ উৎপাদনের হিসাব করেন। সাত বছর ধরে একইভাবে উৎপাদন হিসাব নির্ণয় করা হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান, ২০২৩-২৪ মৌসুমে লক্ষ্মীপুর জেলায় ইলিশ উৎপাদন হয়েছে ২৩ হাজার টন।
কমলনগরে হতাশায় মাছঘাটের ব্যবসায়ীরা -সংবাদ
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে ইলিশ পাচ্ছে না জেলেরা। হতাশা নিয়েই নদী থেকে ফিরতে হচ্ছে জেলেদের। এতে লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের। অল্প কিছু মাছ ধরা পড়লেও দাম আকাশচুম্বী। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে ইলিশ।
তবে আহরণ কম হলেও রামগতি-কমলনগরের জেলার ১২টি ঘাটেই হালি বা পিস অনুযায়ী ইলিশের নিলাম বা ডাক ওঠে। কেজি দরে কখনো বিক্রি হয়নি ইলিশ।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য বিভাগ প্রতি বছর ২৩-২৪ হাজার টন ইলিশ উৎপাদন দেখায়। ‘অফিসে বসে’ কর্মকর্তারা ‘অনুমান নির্ভর তথ্য’ দেন বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।
ঘাটের জেলে, আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা জানান, কোনো সরকারি-বেসরকারি গণনাকারীকে কখনো কোনো ঘাটে দেখেননি তারা। এর পরও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার বক্তব্য, উৎপাদন তথ্য সংগ্রহে ১২টি ঘাটে গণনাকারী রয়েছে।
কিন্তু ঘাট ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘এসি রুমে’ বসে মনগড়া হিসাবে প্রকৃত তথ্য আড়াল করছে মৎস্য বিভাগ। মাঠপর্যায়ে কোনো তথ্যই কেউ সংগ্রহ করছে না।
কিন্তু ঘাটের ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতিটি ঘাটে জেলেরা নদী ও সাগর থেকে এসে ঘাটের আড়তদারদের বাক্সে মাছ রাখে। এরপর উন্মুক্ত নিলামে হালি (৪টি) হিসাবে ইলিশ বিক্রি হয়। ইলিশের আকালের কারণে প্রতিদিন সব ঘাটে ১০ টন ইলিশও পাওয়া যায়নি।
বাতিরখাল মাছঘাটের বৃদ্ধ জেলে সালেহ আহম্মদ বলেন, সব মাছ মোকামে যায় না। নদীতে ইলিশ নেই। জাল ফেলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন জেলেরা।
বাতিরখাল মাছঘাটের আড়তদার হেলাল বলেন, ইলিশের নিলাম ডাক হালি হিসাবে করা হয়। সব ঘাটেই একই নিয়ম। গত ১১ বছর কখনো কাউকে হিসাব নিতে দেখিনি।
সোহাগ ব্যাপারী বলেন, জেলা মৎস্য বিভাগের হিসাব অনুমাননির্ভর। বিভিন্ন ঘাটে গিয়ে মাছ ক্রয় করে চাঁদপুরে বিক্রি করি। কখনো কোনো কর্মকর্তা বা গণনাকারীকে ঘাটে এসে ইলিশের হিসাব নিতে দেখিনি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন জানান, জেলায় ২৫টি মাছঘাট আছে। এর মধ্যে সদর, রামগতি, কমলনগর- এরূপ ১২টি বড় মাছঘাটে মৎস্য অফিসের পক্ষ থেকে ১২ জন গণনাকারী রয়েছেন। প্রতি সন্ধ্যায় তারা মৎস্য অফিসে ইলিশ আহরণের হিসাব পাঠান। এর মাধ্যমেই মৎস্য বিভাগ ইলিশ উৎপাদনের হিসাব করেন। সাত বছর ধরে একইভাবে উৎপাদন হিসাব নির্ণয় করা হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান, ২০২৩-২৪ মৌসুমে লক্ষ্মীপুর জেলায় ইলিশ উৎপাদন হয়েছে ২৩ হাজার টন।