বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচার ও অপপ্রচার এবং মিটফোর্ডে পাশবিক হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে বিএনপি -সংবাদ
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রাজনীতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ এনেছে বিএনপি। দলটি মনে করছে এই ঘটনাকে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত করার পরিকল্পনা চলছে।
সোমবার,(১৪ জুলাই ২০২৫) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এবং নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে রাজনৈতিক রূপ দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।’ দেশে সংঘটিত বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে নাম জড়িয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের চরিত্র হননের চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তার। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব জানান, বিএনপি মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের জন্য একটি ‘তদন্ত ও তথ্যানুসন্ধানী কমিটি’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কমিটি মিটফোর্ড এলাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যার অন্তর্নিহিত কারণ অনুসন্ধান করে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করবে। দেশে সংঘটিত বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের চরিত্রহননের চেষ্টা করা হচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তারা গণতন্ত্রের শত্রু।’ লন্ডন বৈঠকের পর ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণার পর অনেকের মাথা বিগড়ে গেছে এবং ভোট ঠেকাতে চক্রান্তকারীরা দেশকে আবার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান, কারও পাতা ফাঁদে পা না দিতে।
গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে সোহাগকে এলোপাতাড়ি পাথর দিয়ে আঘাত ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম পরদিন কোতোয়ালি থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়। একই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি অস্ত্র মামলাও দায়ের করে। নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে এবং দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে যারা রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট এবং জাতীয় নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত ও অনিশ্চিত করতে চান এবং প্রকারান্তরে ফ্যাসিবাদ উত্থানের পথ সৃষ্টি করতে চান, তাদের চিহ্নিত করা ও প্রতিহত করার প্রত্যয়ও একইসঙ্গে উচ্চারণ করতে চাই।’ তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘অপরাধীর কোনো দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না এবং ব্যক্তির অপরাধের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিকৃত রুচির কিছু গোষ্ঠী তাদের অশ্লীল-কদর্য মানসিকতা কোমলমতি শিশু-কিশোরদের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত করিয়ে আগামী প্রজন্মের মূল্যবোধ ধ্বংস করছে।
বিএনপি মহাসচিব জানান, শত বাধা অতিক্রম করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের মালিকানা বাংলাদেশের মানুষের কাছে ফেরত দেয়াই তাদের একমাত্র অগ্রাধিকার। তিনি সুপরিকল্পিতভাবে দেশের বৃহত্তম ও জনপ্রিয় দলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা এবং দলের শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে ঐক্যবদ্ধ জাতিকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ আজ উন্মোচিত।’ তিনি এই অপরাজনীতি প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সরকারের উদাসীনতার প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ
করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অবনতির ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে দায়িত্বশীল সব রাজনৈতিক দল সচেতন হবেন। রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত এ জাতীয় কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ বাধাগ্রস্ত হলে তার দায় সংশ্লিষ্টদেরই বহন করতে হবে।’
ফ্যাসিবাদের অনুপ্রবেশের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়া হবে না মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা হবে। গুটিকয়েক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকারীর অপচেষ্টায় বাংলাদেশ ব্যর্থ হতে পারে না।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচার ও অপপ্রচার এবং মিটফোর্ডে পাশবিক হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে বিএনপি -সংবাদ
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রাজনীতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ এনেছে বিএনপি। দলটি মনে করছে এই ঘটনাকে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত করার পরিকল্পনা চলছে।
সোমবার,(১৪ জুলাই ২০২৫) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এবং নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে রাজনৈতিক রূপ দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।’ দেশে সংঘটিত বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে নাম জড়িয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের চরিত্র হননের চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তার। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব জানান, বিএনপি মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের জন্য একটি ‘তদন্ত ও তথ্যানুসন্ধানী কমিটি’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কমিটি মিটফোর্ড এলাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যার অন্তর্নিহিত কারণ অনুসন্ধান করে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করবে। দেশে সংঘটিত বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের চরিত্রহননের চেষ্টা করা হচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তারা গণতন্ত্রের শত্রু।’ লন্ডন বৈঠকের পর ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণার পর অনেকের মাথা বিগড়ে গেছে এবং ভোট ঠেকাতে চক্রান্তকারীরা দেশকে আবার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান, কারও পাতা ফাঁদে পা না দিতে।
গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে সোহাগকে এলোপাতাড়ি পাথর দিয়ে আঘাত ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম পরদিন কোতোয়ালি থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়। একই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি অস্ত্র মামলাও দায়ের করে। নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে এবং দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে যারা রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট এবং জাতীয় নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত ও অনিশ্চিত করতে চান এবং প্রকারান্তরে ফ্যাসিবাদ উত্থানের পথ সৃষ্টি করতে চান, তাদের চিহ্নিত করা ও প্রতিহত করার প্রত্যয়ও একইসঙ্গে উচ্চারণ করতে চাই।’ তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘অপরাধীর কোনো দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না এবং ব্যক্তির অপরাধের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিকৃত রুচির কিছু গোষ্ঠী তাদের অশ্লীল-কদর্য মানসিকতা কোমলমতি শিশু-কিশোরদের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত করিয়ে আগামী প্রজন্মের মূল্যবোধ ধ্বংস করছে।
বিএনপি মহাসচিব জানান, শত বাধা অতিক্রম করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের মালিকানা বাংলাদেশের মানুষের কাছে ফেরত দেয়াই তাদের একমাত্র অগ্রাধিকার। তিনি সুপরিকল্পিতভাবে দেশের বৃহত্তম ও জনপ্রিয় দলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা এবং দলের শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে ঐক্যবদ্ধ জাতিকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ আজ উন্মোচিত।’ তিনি এই অপরাজনীতি প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সরকারের উদাসীনতার প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ
করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অবনতির ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে দায়িত্বশীল সব রাজনৈতিক দল সচেতন হবেন। রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত এ জাতীয় কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ বাধাগ্রস্ত হলে তার দায় সংশ্লিষ্টদেরই বহন করতে হবে।’
ফ্যাসিবাদের অনুপ্রবেশের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়া হবে না মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা হবে। গুটিকয়েক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকারীর অপচেষ্টায় বাংলাদেশ ব্যর্থ হতে পারে না।’