স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়ন
উপজেলা পর্যায়ে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির মানসম্মত বাস্তবায়ন কার্যক্রম ম্ল্যূায়ন করা হয়েছে। গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অপারেশনাল প্ল্যান উপজেলা হেলথ কেয়ার ও কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের সহযোগিতায়। এর অর্থায়ন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল - উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন সাব-সেন্টার এবং কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ, পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি এবং চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বর্তমান অবস্থা মূল্যায়ন করা। এছাড়াও একটি পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যবস্থাগুলোকে উন্নত করা। গবেষণায় দেখা যায়, পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মীদের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রাপ্তির হার ১৮% থেকে বেড়ে ৬০% হয়েছে। জীবাণুমুক্ত যন্ত্রপাতির ব্যবহার এবং সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ২০% থেকে ৫০% পর্যন্ত উন্নতি হয়েছে। একই সঙ্গে রোগীদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সন্তুষ্টির হার ৪৫% থেকে ৬৫%-এ পৌঁছেছে।
সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা) ডা. আবু হোসাইন মো. মইনুল আহসান স্বাগত বক্তব্য দেন। গবেষণার প্রধান গবেষক ডা. ফারজানা তাহের মুনমুন। অধ্যাপক ডা. ফারিহা হাসিন, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় উক্ত গবেষণা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত ছিলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিপিএম ডা. ফাতেমা করিম। গবেষণার প্রধান গবেষক ডা. মুনমুন বলেন, “এই গবেষণার ফলাফল স্বাস্থ্যখাতে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে উপজেলাভিত্তিক পর্যায়ে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে, নিয়মিত প্রশিক্ষণ, তদারকি ও স্থানীয় অংশীদারদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা হলে সংক্রমণ হ্রাসে সফলতা পাওয়া যাবে।” গবেষণায় কিছু চ্যালেঞ্জও চিহ্নিত হয়েছে, যেমন লজিস্টিকসের পর্যাপ্ত ব্যবহার না হওয়া, প্রশিক্ষণের ঘাটতি, তদারকির দুর্বলতা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে স্বদিচ্ছার অভাব।
এই গবেষণার সুপারিশ অনুযায়ী, উপজেলা পর্যায়ে একটি মানসম্মত সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন, নিয়মিত প্রশিক্ষণ, সক্রিয় কমিটি এবং জাতীয়-স্থানীয় পর্যায়ে জোরালো তদারকি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। গবেষণা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন শাখা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, আইসিডিডিআরবিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়ন
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
উপজেলা পর্যায়ে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির মানসম্মত বাস্তবায়ন কার্যক্রম ম্ল্যূায়ন করা হয়েছে। গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অপারেশনাল প্ল্যান উপজেলা হেলথ কেয়ার ও কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের সহযোগিতায়। এর অর্থায়ন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল - উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন সাব-সেন্টার এবং কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ, পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি এবং চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বর্তমান অবস্থা মূল্যায়ন করা। এছাড়াও একটি পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যবস্থাগুলোকে উন্নত করা। গবেষণায় দেখা যায়, পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মীদের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রাপ্তির হার ১৮% থেকে বেড়ে ৬০% হয়েছে। জীবাণুমুক্ত যন্ত্রপাতির ব্যবহার এবং সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ২০% থেকে ৫০% পর্যন্ত উন্নতি হয়েছে। একই সঙ্গে রোগীদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সন্তুষ্টির হার ৪৫% থেকে ৬৫%-এ পৌঁছেছে।
সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা) ডা. আবু হোসাইন মো. মইনুল আহসান স্বাগত বক্তব্য দেন। গবেষণার প্রধান গবেষক ডা. ফারজানা তাহের মুনমুন। অধ্যাপক ডা. ফারিহা হাসিন, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় উক্ত গবেষণা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত ছিলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিপিএম ডা. ফাতেমা করিম। গবেষণার প্রধান গবেষক ডা. মুনমুন বলেন, “এই গবেষণার ফলাফল স্বাস্থ্যখাতে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে উপজেলাভিত্তিক পর্যায়ে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে, নিয়মিত প্রশিক্ষণ, তদারকি ও স্থানীয় অংশীদারদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা হলে সংক্রমণ হ্রাসে সফলতা পাওয়া যাবে।” গবেষণায় কিছু চ্যালেঞ্জও চিহ্নিত হয়েছে, যেমন লজিস্টিকসের পর্যাপ্ত ব্যবহার না হওয়া, প্রশিক্ষণের ঘাটতি, তদারকির দুর্বলতা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে স্বদিচ্ছার অভাব।
এই গবেষণার সুপারিশ অনুযায়ী, উপজেলা পর্যায়ে একটি মানসম্মত সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন, নিয়মিত প্রশিক্ষণ, সক্রিয় কমিটি এবং জাতীয়-স্থানীয় পর্যায়ে জোরালো তদারকি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। গবেষণা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন শাখা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, আইসিডিডিআরবিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।