ঢাকার মধ্যরাতের আকাশজুড়ে ভেসে উঠল ইতিহাসের এক জ্বলজ্বলে অধ্যায়—জুলাই আন্দোলনের স্মৃতি। প্রায় ২ হাজার ড্রোন একসাথে আকাশে উড়ল, ভেসে উঠল গুম-খুন হওয়া ব্যক্তিদের ছবি, আন্দোলনের প্রতীকী স্লোগান আর বিদ্রোহের মুহূর্তগুলো।
সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয় “মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম” শিরোনামে জুলাই পুনর্জাগরণ উৎসব। আয়োজনে ছিল সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সহায়তায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে অসংখ্য মানুষ জড়ো হন স্মৃতির এই মহোৎসবে।
ড্রোন শোর শুরুটা হয় গুম হওয়া বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী, নিখোঁজ মাইকেল চাকমা ও ছাত্রলীগের হামলায় নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছবি দিয়ে। এরপর আকাশে একে একে ভেসে ওঠে স্লোগান: –"শোনো মহাজন, আমরা অনেকজন", "পোস্ট ডিলিট কর, সমস্যা হবে", "আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে" এই সবই যেন আন্দোলনের ধ্বনিত প্রতিধ্বনি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আন্দোলনের নারী সংগঠক উমামা ফাতেমা ও নুসরাত তাবাসসুম। উমামা বলেন, “জুলাই কারো একার না, এটা পুরো বাংলাদেশের।”
নুসরাত বলেন, “আমরা রাজপথে নেমেছিলাম নাগরিক হিসেবে, নারী হিসেবে নয়। আজ যারা সেই নারীদের আয়োজনে ডাকছে, তারাই তখন তাদের বহিষ্কার করেছিল।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সায়মা ফেরদৌস বলেন, “জুলাইয়ের ইতিহাস আমরা কখনোই একদলের হতে দেব না।”
আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ, চট্টগ্রামের কলি কায়েস, নারায়ণগঞ্জের ফারহানা মুনা, মাদারীপুরের আনিশা ও মালিহা, ইডেন কলেজের ইভা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণা রিয়া-সহ অনেকেই মঞ্চে উঠে স্মৃতিচারণ করেন।
অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন সায়ান, এলিটা করিম, এবং পারসা মাহজাবীন। ব্যান্ড পরিবেশনায় ছিল ইলা লা লা ও এফ মাইনর। প্রদর্শিত হয় তথ্যচিত্র ‘দীপক কুমার গোস্বামী স্পিকিং’, আবরার ফাহাদকে নিয়ে তৈরি চিত্র, এবং চলচ্চিত্র ‘জুলাই বিষাদ সিন্ধু’।
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
ঢাকার মধ্যরাতের আকাশজুড়ে ভেসে উঠল ইতিহাসের এক জ্বলজ্বলে অধ্যায়—জুলাই আন্দোলনের স্মৃতি। প্রায় ২ হাজার ড্রোন একসাথে আকাশে উড়ল, ভেসে উঠল গুম-খুন হওয়া ব্যক্তিদের ছবি, আন্দোলনের প্রতীকী স্লোগান আর বিদ্রোহের মুহূর্তগুলো।
সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয় “মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম” শিরোনামে জুলাই পুনর্জাগরণ উৎসব। আয়োজনে ছিল সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সহায়তায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে অসংখ্য মানুষ জড়ো হন স্মৃতির এই মহোৎসবে।
ড্রোন শোর শুরুটা হয় গুম হওয়া বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী, নিখোঁজ মাইকেল চাকমা ও ছাত্রলীগের হামলায় নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছবি দিয়ে। এরপর আকাশে একে একে ভেসে ওঠে স্লোগান: –"শোনো মহাজন, আমরা অনেকজন", "পোস্ট ডিলিট কর, সমস্যা হবে", "আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে" এই সবই যেন আন্দোলনের ধ্বনিত প্রতিধ্বনি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আন্দোলনের নারী সংগঠক উমামা ফাতেমা ও নুসরাত তাবাসসুম। উমামা বলেন, “জুলাই কারো একার না, এটা পুরো বাংলাদেশের।”
নুসরাত বলেন, “আমরা রাজপথে নেমেছিলাম নাগরিক হিসেবে, নারী হিসেবে নয়। আজ যারা সেই নারীদের আয়োজনে ডাকছে, তারাই তখন তাদের বহিষ্কার করেছিল।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সায়মা ফেরদৌস বলেন, “জুলাইয়ের ইতিহাস আমরা কখনোই একদলের হতে দেব না।”
আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ, চট্টগ্রামের কলি কায়েস, নারায়ণগঞ্জের ফারহানা মুনা, মাদারীপুরের আনিশা ও মালিহা, ইডেন কলেজের ইভা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণা রিয়া-সহ অনেকেই মঞ্চে উঠে স্মৃতিচারণ করেন।
অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন সায়ান, এলিটা করিম, এবং পারসা মাহজাবীন। ব্যান্ড পরিবেশনায় ছিল ইলা লা লা ও এফ মাইনর। প্রদর্শিত হয় তথ্যচিত্র ‘দীপক কুমার গোস্বামী স্পিকিং’, আবরার ফাহাদকে নিয়ে তৈরি চিত্র, এবং চলচ্চিত্র ‘জুলাই বিষাদ সিন্ধু’।