বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কার উদ্যোগ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ প্রশংসা করেন। বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতি তার ‘গভীর ভালোবাসা’ প্রকাশ করে বলেন, “আপনি এবং আপনার দুর্দান্ত দল একটি অসাধারণ কাজ করছেন।”
বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানবিষয়ক নতুন ডিভিশন ডিরেক্টর জঁ পেসমে এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
বৈঠকে জোহানেস জুট বলেন, “বাংলাদেশের আর্থিক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের সাহসী পদক্ষেপ অনুকরণীয়। আমরা আমাদের যাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত এবং বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে পাশে থাকতে চাই।”
গত বছরের ‘জুলাই অভ্যুত্থানে’ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, “এটা ছিল আমাদের সবার জন্য এক আবেগঘন মুহূর্ত।”
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, “আমরা দায়িত্ব নেওয়ার সময় চারদিকে এক ধ্বংসস্তূপের মতো অবস্থা ছিল। কিন্তু উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তরুণদের অংশগ্রহণ ছাড়া এ পরিবর্তন সম্ভব হতো না।”
তিনি জানান, “জুলাই অভ্যুত্থানে তরুণরা, বিশেষ করে নারীরা, অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে। তাদের আত্মত্যাগ স্মরণে আমরা ‘জুলাই নারী দিবস’ পালন করছি।”
ড. ইউনূস আরও বলেন, “বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় মেয়েদের জন্য চালু হওয়া শিক্ষা ভাতা কর্মসূচি এখন বিশ্বের কাছে অনুকরণীয়। আমরা চাই, বাংলাদেশ যেন কেবল একটি দেশের সীমা নয়—বরং একটি আঞ্চলিক উৎপাদন কেন্দ্র হয়ে উঠুক।”
বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ও বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, “নতুন ব্যবস্থাপনায় এনসিটিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে। একই সঙ্গে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বৈদেশিক বিনিয়োগ বেড়েছে, যা দেশের অর্থনীতির ইতিবাচক ইঙ্গিত।”
বিশ্ব ব্যাংক ভাইস প্রেসিডেন্ট জানান, গত অর্থবছরে বাংলাদেশে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। আগামী তিন বছরেও এ সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কার উদ্যোগ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ প্রশংসা করেন। বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতি তার ‘গভীর ভালোবাসা’ প্রকাশ করে বলেন, “আপনি এবং আপনার দুর্দান্ত দল একটি অসাধারণ কাজ করছেন।”
বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানবিষয়ক নতুন ডিভিশন ডিরেক্টর জঁ পেসমে এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
বৈঠকে জোহানেস জুট বলেন, “বাংলাদেশের আর্থিক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের সাহসী পদক্ষেপ অনুকরণীয়। আমরা আমাদের যাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত এবং বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে পাশে থাকতে চাই।”
গত বছরের ‘জুলাই অভ্যুত্থানে’ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, “এটা ছিল আমাদের সবার জন্য এক আবেগঘন মুহূর্ত।”
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, “আমরা দায়িত্ব নেওয়ার সময় চারদিকে এক ধ্বংসস্তূপের মতো অবস্থা ছিল। কিন্তু উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তরুণদের অংশগ্রহণ ছাড়া এ পরিবর্তন সম্ভব হতো না।”
তিনি জানান, “জুলাই অভ্যুত্থানে তরুণরা, বিশেষ করে নারীরা, অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে। তাদের আত্মত্যাগ স্মরণে আমরা ‘জুলাই নারী দিবস’ পালন করছি।”
ড. ইউনূস আরও বলেন, “বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় মেয়েদের জন্য চালু হওয়া শিক্ষা ভাতা কর্মসূচি এখন বিশ্বের কাছে অনুকরণীয়। আমরা চাই, বাংলাদেশ যেন কেবল একটি দেশের সীমা নয়—বরং একটি আঞ্চলিক উৎপাদন কেন্দ্র হয়ে উঠুক।”
বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ও বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, “নতুন ব্যবস্থাপনায় এনসিটিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে। একই সঙ্গে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বৈদেশিক বিনিয়োগ বেড়েছে, যা দেশের অর্থনীতির ইতিবাচক ইঙ্গিত।”
বিশ্ব ব্যাংক ভাইস প্রেসিডেন্ট জানান, গত অর্থবছরে বাংলাদেশে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। আগামী তিন বছরেও এ সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।