বাংলা একাডেমি সংস্কার কমিটি থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন কবি ব্রাত্য রাইসু। মঙ্গলবার দুপুরে ফেইসবুক পোস্টে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
ব্রাত্য রাইসু বলেন, “আমি মনে করছি, যেই কমিটির সদস্য সংগ্রহের ব্যাপারে দায়সারা ভাব আছে, সেই কমিটিতে গেলে আমার সম্মানহানি ঘটতে পারে এবং আমার কথার মূল্যায়ন ও বিবেচনা আদৌ নাও ঘটতে পারে। তাতে কমিটিতে থাকাটা নিতান্ত অহেতুক হবে। তাই আমি সরে দাঁড়ালাম। তবে এই কমিটির সর্বাঙ্গীন কল্যাণ কামনা করি। আশা করি, কমিটির মাধ্যমে সত্যিই বাংলা একাডেমির একটি তাৎপর্যপূর্ণ রূপান্তর সম্ভব হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, তার চূড়ান্ত সম্মতি ছাড়াই কমিটিতে নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফেইসবুকে তিনি লেখেন, “আমি প্রাথমিকভাবে রাজি ছিলাম, তবে অনুরোধ করেছিলাম চূড়ান্ত নাম ঘোষণার আগে যেন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তা করা হয়নি, তাই নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৭ জুলাইয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলা একাডেমির সংস্কারের লক্ষ্যে ১৯ সদস্যের কমিটি গঠনের তথ্য জানানো হয়। লেখক ও গবেষক ফয়জুল লতিফ চৌধুরীকে সভাপতি এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজমকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠিত হয়।
এ বিষয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, “এই কমিটি মন্ত্রণালয় করেছে, বাংলা একাডেমি করেনি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করব না।”
তবে আজ দুপুরে যোগাযোগ করা হলে মন্ত্রণালয়ের তরফে বলা হয়, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন, আর সংস্কৃতি সচিব মফিদুর রহমান জরুরি সভায় ব্যস্ত আছেন। ফলে তাদের মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে কার্যক্রম শেষ করে বাংলা একাডেমির আইন, কাঠামো ও কার্যক্রম পর্যালোচনার ভিত্তিতে সুপারিশ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে কমিটি নতুন সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- কবি ও প্রাবন্ধিক আবদুল হাই শিকদার, লেখক ও গবেষক সলিমুল্লাহ খান, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের অধ্যাপক সুমন রহমান, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, কবি মোহাম্মদ রোমেল, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ।
এছাড়া আছেন- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক আফসানা বেগম, অধ্যাপক আ আল মামুন, কবি সাখাওয়াত টিপু, লেখক রিফাত হাসান, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক এহসান মাহমুদ, কবি কাজী জেসিন, কথাসাহিত্যিক আহমাদ মোস্তফা কামাল, লেখক ও অনুবাদক জাভেদ হুসেন, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) গবেষণা বিশেষজ্ঞ সহুল আহমদ মুন্না।
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
বাংলা একাডেমি সংস্কার কমিটি থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন কবি ব্রাত্য রাইসু। মঙ্গলবার দুপুরে ফেইসবুক পোস্টে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
ব্রাত্য রাইসু বলেন, “আমি মনে করছি, যেই কমিটির সদস্য সংগ্রহের ব্যাপারে দায়সারা ভাব আছে, সেই কমিটিতে গেলে আমার সম্মানহানি ঘটতে পারে এবং আমার কথার মূল্যায়ন ও বিবেচনা আদৌ নাও ঘটতে পারে। তাতে কমিটিতে থাকাটা নিতান্ত অহেতুক হবে। তাই আমি সরে দাঁড়ালাম। তবে এই কমিটির সর্বাঙ্গীন কল্যাণ কামনা করি। আশা করি, কমিটির মাধ্যমে সত্যিই বাংলা একাডেমির একটি তাৎপর্যপূর্ণ রূপান্তর সম্ভব হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, তার চূড়ান্ত সম্মতি ছাড়াই কমিটিতে নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফেইসবুকে তিনি লেখেন, “আমি প্রাথমিকভাবে রাজি ছিলাম, তবে অনুরোধ করেছিলাম চূড়ান্ত নাম ঘোষণার আগে যেন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তা করা হয়নি, তাই নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৭ জুলাইয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলা একাডেমির সংস্কারের লক্ষ্যে ১৯ সদস্যের কমিটি গঠনের তথ্য জানানো হয়। লেখক ও গবেষক ফয়জুল লতিফ চৌধুরীকে সভাপতি এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজমকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠিত হয়।
এ বিষয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, “এই কমিটি মন্ত্রণালয় করেছে, বাংলা একাডেমি করেনি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করব না।”
তবে আজ দুপুরে যোগাযোগ করা হলে মন্ত্রণালয়ের তরফে বলা হয়, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন, আর সংস্কৃতি সচিব মফিদুর রহমান জরুরি সভায় ব্যস্ত আছেন। ফলে তাদের মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে কার্যক্রম শেষ করে বাংলা একাডেমির আইন, কাঠামো ও কার্যক্রম পর্যালোচনার ভিত্তিতে সুপারিশ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে কমিটি নতুন সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- কবি ও প্রাবন্ধিক আবদুল হাই শিকদার, লেখক ও গবেষক সলিমুল্লাহ খান, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের অধ্যাপক সুমন রহমান, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, কবি মোহাম্মদ রোমেল, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ।
এছাড়া আছেন- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক আফসানা বেগম, অধ্যাপক আ আল মামুন, কবি সাখাওয়াত টিপু, লেখক রিফাত হাসান, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক এহসান মাহমুদ, কবি কাজী জেসিন, কথাসাহিত্যিক আহমাদ মোস্তফা কামাল, লেখক ও অনুবাদক জাভেদ হুসেন, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) গবেষণা বিশেষজ্ঞ সহুল আহমদ মুন্না।