বদলির আদেশ প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় আরও আট কর কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। মঙ্গলবার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) এ–সংক্রান্ত পৃথক পৃথক আদেশ জারি করে।

যাঁরা বরখাস্ত হয়েছেন, তাঁরা হলেন ঢাকা কর অঞ্চল-২–এর যুগ্ম কর কমিশনার মাসুমা খাতুন, কর অঞ্চল-১৫–এর যুগ্ম কর কমিশনার মুরাদ আহমেদ, কুষ্টিয়া কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মোরশেদ উদ্দীন খান, নোয়াখালী কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, কক্সবাজার কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার আশরাফুল আলম প্রধান, খুলনা কর অঞ্চলের উপকর কমিশনার শিহাবুল ইসলাম, রংপুর কর অঞ্চলের উপকর কমিশনার নুশরাত জাহান এবং কুমিল্লা কর অঞ্চলের উপকর কমিশনার ইমাম তৌহিদ হাসান।

এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, গত মাসে এনবিআরে যে আন্দোলন হয়েছিল, তাঁরা সবাই সেই আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং কেউ কেউ নেতৃত্বও দিয়েছেন।

আদেশে বলা হয়েছে, গত ২২ জুন জারি করা বদলির আদেশ অবজ্ঞা করে প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করায় তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁদের এনবিআরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালে তাঁরা বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান এসব আদেশে সই করেন।

গত মাসে রাজস্ব খাতে যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ২৮ ও ২৯ জুন সারা দেশে কাজ বন্ধ রাখেন তাঁরা। পরে ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়।

এরপর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়। আন্দোলন প্রত্যাহারের পর এ পর্যন্ত তিনজন সদস্য ও একজন কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। কাজ বন্ধ রাখার দায়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তৎকালীন কমিশনারকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া এনবিআরের দুজন সদস্যসহ ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদক তদন্ত শুরু করেছে। তাঁদের বেশির ভাগই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।