পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনায় মাহমুদুল হাসান মহিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। তদন্ত কর্মকর্তার শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার,(১৫ জুলাই ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম মিনহাজুর রহমান এ আদেশ দেন।
ভাঙারি ও পুরনো তারের ব্যবসায়ী মো. সোহাগ ওরফে লাল চাঁদ হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে এদিন মহিনকে আদালতে হাজির করা হয়। তারপর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহিনকে হেফাজতে পেতে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে, আদালত পাঁচ দিনের মঞ্জুর করে।
আবেদনে বলা হয়, ‘এ আসামি মামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেয়া প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যা মামলাটি একটি চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক বিবেচনায় দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এ সংক্রান্তে অনেক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও সংগ্রহ করা হয়েছে সেখানে আরও অজ্ঞাতনামা আসামির উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
‘সোহাগ হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার
ভিডিও পর্যালোচনায় ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের নাম-ঠিকানা শনাক্ত এবং আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের অবস্থান নির্ণয় করে গ্রেপ্তার করার লক্ষ্যে আসামির পুনরায় ১০ রিমান্ডের প্রয়োজন।’
নারায়ণগঞ্জ থেকে আরও একজন গ্রেপ্তার
সোহাগকে মাথা থেঁতলে হত্যা মামলার আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে র্যাব। গতকাল সোমবার রাত ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রাম থেকে নান্নু কাজী নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। গ্রেপ্তার নান্নু কাজীর বয়স ২৭ এবং তার বাবার নাম আব্দুল কাদের কাজী বলে জানিয়েছে র্যাব। তার বিস্তারিত নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ বলেন, গ্রেপ্তার নান্নু কাজী জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে র্যাব-১০-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত সোহাগের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার মামলা করেন। এরপর পুলিশ মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিনকে (২২) গ্রেপ্তার করে। এ সময় রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এরপর গত শুক্রবার কেরাণীগঞ্জ ইবনে সিনা হাসপাতাল থেকে আলমগীর (২৮) ও মনির ওরফে লম্বা মনির (৩২) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গত শুক্রবার গভীর রাতে টিটন গাজী (৩২) নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত রোববার ভোরে নেত্রকোণার দুর্গাপুর পৌরশহর থেকে আরও দুই আসামি সজীব ব্যাপারী ও রাজীব ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে গত বুধবার মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেইটের সামনে কংক্রিট বোল্ডার দিয়ে শরীর ও মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয় সোহাগকে। এরপর এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, ওই হত্যাকাণ্ডে যাদের অংশ নিতে দেখা গেছে এবং নেপথ্যে যাদের নাম আসছে, তারা সবাই সোহাগের পূর্ব পরিচিত। একসময় তাদের কয়েকজন সোহাগের ব্যবসার সহযোগী ছিলেন। তবে আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। পরে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন বলে জানান আদালতের কোতোয়ালি থানার প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী। এ ঘটনায় তার বড় বোন কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যেখানে ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ জনকে।
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনায় মাহমুদুল হাসান মহিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। তদন্ত কর্মকর্তার শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার,(১৫ জুলাই ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম মিনহাজুর রহমান এ আদেশ দেন।
ভাঙারি ও পুরনো তারের ব্যবসায়ী মো. সোহাগ ওরফে লাল চাঁদ হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে এদিন মহিনকে আদালতে হাজির করা হয়। তারপর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহিনকে হেফাজতে পেতে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে, আদালত পাঁচ দিনের মঞ্জুর করে।
আবেদনে বলা হয়, ‘এ আসামি মামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেয়া প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যা মামলাটি একটি চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক বিবেচনায় দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এ সংক্রান্তে অনেক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও সংগ্রহ করা হয়েছে সেখানে আরও অজ্ঞাতনামা আসামির উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
‘সোহাগ হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার
ভিডিও পর্যালোচনায় ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের নাম-ঠিকানা শনাক্ত এবং আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের অবস্থান নির্ণয় করে গ্রেপ্তার করার লক্ষ্যে আসামির পুনরায় ১০ রিমান্ডের প্রয়োজন।’
নারায়ণগঞ্জ থেকে আরও একজন গ্রেপ্তার
সোহাগকে মাথা থেঁতলে হত্যা মামলার আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে র্যাব। গতকাল সোমবার রাত ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রাম থেকে নান্নু কাজী নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। গ্রেপ্তার নান্নু কাজীর বয়স ২৭ এবং তার বাবার নাম আব্দুল কাদের কাজী বলে জানিয়েছে র্যাব। তার বিস্তারিত নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ বলেন, গ্রেপ্তার নান্নু কাজী জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে র্যাব-১০-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত সোহাগের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার মামলা করেন। এরপর পুলিশ মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিনকে (২২) গ্রেপ্তার করে। এ সময় রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এরপর গত শুক্রবার কেরাণীগঞ্জ ইবনে সিনা হাসপাতাল থেকে আলমগীর (২৮) ও মনির ওরফে লম্বা মনির (৩২) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গত শুক্রবার গভীর রাতে টিটন গাজী (৩২) নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত রোববার ভোরে নেত্রকোণার দুর্গাপুর পৌরশহর থেকে আরও দুই আসামি সজীব ব্যাপারী ও রাজীব ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে গত বুধবার মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেইটের সামনে কংক্রিট বোল্ডার দিয়ে শরীর ও মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয় সোহাগকে। এরপর এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, ওই হত্যাকাণ্ডে যাদের অংশ নিতে দেখা গেছে এবং নেপথ্যে যাদের নাম আসছে, তারা সবাই সোহাগের পূর্ব পরিচিত। একসময় তাদের কয়েকজন সোহাগের ব্যবসার সহযোগী ছিলেন। তবে আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। পরে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন বলে জানান আদালতের কোতোয়ালি থানার প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী। এ ঘটনায় তার বড় বোন কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যেখানে ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ জনকে।