এই তালিকায় অনেক বিদেশি কোম্পানি আছে, তাদের চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করার জন্য হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনা আছে
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্লান্ট নিয়ে হওয়া চুক্তিতে অসংলগ্ন ছিল জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘গত সরকারের সময় ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্লান্ট নিয়ে কতগুলো চুক্তি হয়েছিল। এতে অনেক অসংলগ্নতা ছিল, সেগুলো রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’ মঙ্গলবার,(১৫ জুলাই ২০২৫) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। দুটি বৈঠকেই সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা।
এই বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আরেকটি জিনিস আছে এটা গুরুত্বপূর্ণ। গত সরকারের সময় ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্লান্ট নিয়ে কতগুলো চুক্তি হয়েছিল। এতে অনেক অসংলগ্নতা ছিল, সেগুলো রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখানে অনেক বিদেশি কোম্পানি আছে। তাদের চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করার জন্য হাইকোর্ট থেকে একটা নির্দেশনা আছে। এজন্য আলাপ-আলোচনা করে আমরা এটা করবো। এজন্য আইনি সহায়তা দরকার। সেটা করার জন্য আমরা একটা প্রস্তাব অনুমোদন করেছি। এখানে আইনি ব্যাপার আছে। একতরফা তো এটা করা যাবে না।’
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে এসব পাওয়ার প্লান্ট বন্ধের সুপারিশ করে আসছেন অর্থনীতিবিদরা। একই সঙ্গে জ্বালানি রূপান্তরে সরকারকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া সুপারিশ দিয়ে আসছিলেন তারা।
বৈঠক শেষে সিদ্ধান্তের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর নিয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি আগামী ৫ আগস্ট উদ্বোধন করা হবে। এটার কাজ চলছে। আমাদের এলএনজির অপর্যাপ্ততা আছে, আমরা এলএনজি আনছি। এলএনজি আমদানির বিষয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের লক্ষ্যে ঢাকায় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য দুটি প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। দুই প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১১ কোটি ১৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা।
সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। এই জাদুঘরে ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন, শহীদদের স্মারক এবং বিগত ১৬ বছরের নিপীড়নের দলিল-চিত্র সংরক্ষণের পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে উন্মুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়ায় নির্মাণকাজ শুরু করলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (৫ আগস্ট ২০২৫) কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না বলে মত দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে ‘রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন’ দেখিয়ে পিপিএ ২০০৬-এর ধারা ৬৮ ও পিপিআর ২০০৮-এর বিধি ৭৬ (২) অনুযায়ী সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কাজ বাস্তবায়নের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
প্রথম প্রকল্পটি হচ্ছে, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল অংশ: এই অংশে নির্মাণ ও সংস্কার কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে মেসার্স শুভ্রা ট্রেডার্সকে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি ৮২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় প্রকল্প, সিভিল অংশ: সংশ্লিষ্ট নির্মাণকাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পাচ্ছে দি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স
লিমিটেড। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০ কোটি ৩৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
দুই প্রকল্পেই সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যাতে আগামী ৫ আগস্ট ২০২৫-এ প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতি জাদুঘরটি উদ্বোধন করা সম্ভব হয়।
এছাড়া দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে আগস্ট মাসের জন্য এক কার্গো এলএনজি আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কাতার থেকে এই এলএনজি আনতে ব্যয় হবে ৫৫৬ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ৯০৬ টাকা।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে ১ কার্গো (৪-৫ আগস্ট ২০২৫ সময়ে ৩৩তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। পেট্রোবাংলা কর্তৃক ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) স্বাক্ষরকারী চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দাখিল করা ৩টি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়
এই তালিকায় অনেক বিদেশি কোম্পানি আছে, তাদের চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করার জন্য হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনা আছে
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্লান্ট নিয়ে হওয়া চুক্তিতে অসংলগ্ন ছিল জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘গত সরকারের সময় ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্লান্ট নিয়ে কতগুলো চুক্তি হয়েছিল। এতে অনেক অসংলগ্নতা ছিল, সেগুলো রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’ মঙ্গলবার,(১৫ জুলাই ২০২৫) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। দুটি বৈঠকেই সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা।
এই বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আরেকটি জিনিস আছে এটা গুরুত্বপূর্ণ। গত সরকারের সময় ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্লান্ট নিয়ে কতগুলো চুক্তি হয়েছিল। এতে অনেক অসংলগ্নতা ছিল, সেগুলো রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখানে অনেক বিদেশি কোম্পানি আছে। তাদের চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করার জন্য হাইকোর্ট থেকে একটা নির্দেশনা আছে। এজন্য আলাপ-আলোচনা করে আমরা এটা করবো। এজন্য আইনি সহায়তা দরকার। সেটা করার জন্য আমরা একটা প্রস্তাব অনুমোদন করেছি। এখানে আইনি ব্যাপার আছে। একতরফা তো এটা করা যাবে না।’
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে এসব পাওয়ার প্লান্ট বন্ধের সুপারিশ করে আসছেন অর্থনীতিবিদরা। একই সঙ্গে জ্বালানি রূপান্তরে সরকারকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া সুপারিশ দিয়ে আসছিলেন তারা।
বৈঠক শেষে সিদ্ধান্তের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর নিয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি আগামী ৫ আগস্ট উদ্বোধন করা হবে। এটার কাজ চলছে। আমাদের এলএনজির অপর্যাপ্ততা আছে, আমরা এলএনজি আনছি। এলএনজি আমদানির বিষয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের লক্ষ্যে ঢাকায় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য দুটি প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। দুই প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১১ কোটি ১৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা।
সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। এই জাদুঘরে ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন, শহীদদের স্মারক এবং বিগত ১৬ বছরের নিপীড়নের দলিল-চিত্র সংরক্ষণের পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে উন্মুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়ায় নির্মাণকাজ শুরু করলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (৫ আগস্ট ২০২৫) কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না বলে মত দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে ‘রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন’ দেখিয়ে পিপিএ ২০০৬-এর ধারা ৬৮ ও পিপিআর ২০০৮-এর বিধি ৭৬ (২) অনুযায়ী সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কাজ বাস্তবায়নের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
প্রথম প্রকল্পটি হচ্ছে, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল অংশ: এই অংশে নির্মাণ ও সংস্কার কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে মেসার্স শুভ্রা ট্রেডার্সকে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি ৮২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় প্রকল্প, সিভিল অংশ: সংশ্লিষ্ট নির্মাণকাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পাচ্ছে দি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স
লিমিটেড। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০ কোটি ৩৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
দুই প্রকল্পেই সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যাতে আগামী ৫ আগস্ট ২০২৫-এ প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতি জাদুঘরটি উদ্বোধন করা সম্ভব হয়।
এছাড়া দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে আগস্ট মাসের জন্য এক কার্গো এলএনজি আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কাতার থেকে এই এলএনজি আনতে ব্যয় হবে ৫৫৬ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ৯০৬ টাকা।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে ১ কার্গো (৪-৫ আগস্ট ২০২৫ সময়ে ৩৩তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। পেট্রোবাংলা কর্তৃক ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) স্বাক্ষরকারী চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দাখিল করা ৩টি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়